हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Jul 06, 2020

করোনার পর এবার বিউবোনিক প্লেগ, চিন থেকে এই রোগের সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা

Bubonic plague: "হু" জানিয়েছে, এই অসুখে আক্রান্ত রোগীর সময় মতো চিকিৎসা না হলে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হতে পারে

Advertisement
ওয়ার্ল্ড Edited by

Bubonic plague: মারমোটের মতো বুনো ইঁদুরের মাধ্যমে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে (প্রতীকী)

Highlights

  • চিনের মঙ্গোলিয়ান প্রদেশে মিলল বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্তদের সন্ধান
  • এই রোগ মহামারী রূপে দেখা দিতে পারে, তাই আগাম সতর্কতা জারি করা হল
  • মূলত বুনো ইঁদুর থেকেই এই রোগ ছড়ায়
বেজিং:

করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) উপদ্রবে একেই নাজেহাল সারা বিশ্ব, তার মধ্যে আবার করোনা আঁতুড়ঘর চিনে এক নতুন মারণ রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিয়েছে। সেদেশের (China) সরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, চিনের উত্তরাংশের একটি শহরে বিউবোনিক প্লেগের ফলে মহামারীর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই রোগ (Bubonic plague) খুব দ্রুত অন্যদের মধ্য়েও ছড়িয়ে পড়তে পারে সেই আশঙ্কা করে মঙ্গোলিয়ার মতো জায়গাগুলোতে তৃতীয় স্তরের সতর্কবার্তা ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার বায়ানুরের একটি হাসপাতালে প্রথম বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত এক রোগীর সন্ধান মেলে যা নাকি ভয়ঙ্কর সংক্রামকই শুধু নয়, প্রাণঘাতীও। এরপরেই স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সতর্কতা জারি করে বলা হয়, "বর্তমানে এই শহরে এই প্লেগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। জনসাধারণকে তাই স্বাস্থ্যসুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা অর্জন করতে হবে এবং সজাগ থাকতে হবে। এছাড়া যাঁদের শরীরে এই রোগের লক্ষণ দেখা যাবে তাঁরা বিন্দুমাত্র দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন"। জানা গেছে, আপাতত ২০২০ সালের একেবারে শেষপর্যন্ত এই স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি থাকবে।

রাশিয়াকে পিছিয়ে ভারত এগিয়ে, করোনা সংক্রমণের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে এল ভারত

১ জুলাই, চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সিংহুয়া জানায় যে, পশ্চিম মঙ্গোলিয়ার খোভদ প্রদেশে (Inner Mongolia Autonomous Region) সম্প্রতি দুই সম্ভাব্য বিউবোনিক প্লেগ রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তাঁদের টেস্টে রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজনের বয়স ২৭ বছর এবং অন্য জনের বয়স ১৭ বছর। তাঁরা সম্পর্কে দুই ভাই। 

Advertisement

২০২১-এর আগে কোনও ভ্যাকসিন বাজারে নয়: বিজ্ঞান মন্ত্রক

একজন স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত দুই ভাই মারমোটের (Rodent) মাংস খেয়েছিলেন। সেখান থেকেই এই রোগটি তাঁদের শরীরে ছড়ায়। যার জেরে মারমোটের মাংস না খাওয়ার জন্য় প্রশাসনের তরফে বাসিন্দাদের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

Advertisement

জানা গেছে, বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত ওই দু'জনের সংস্পর্শে আসা আরও ১৪৬ জনকে চিহ্নিত করে আইসোলেট করে রাখা হয়েছে। হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসাও চলছে।

বিউবোনিক প্লেগ হ'ল এক ধরণের ব্যাকটিরিয়া ঘটিত রোগ যা মারমোটের মতো বুনো ইঁদুরগুলির ফুসফুসে বাসা বাঁধে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুসারে, এই অসুখে আক্রান্ত রোগীর সময় মতো চিকিৎসা না করানো হলে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে একজন প্রাপ্তবয়স্কের মৃত্যু হতে পারে।

Advertisement

গত বছরও মারমোটের মাংস খেয়ে পশ্চিম মঙ্গোলিয়ান প্রদেশের এক দম্পতি বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

Advertisement