This Article is From Dec 26, 2018

ভয়াবহ দুর্ঘটনা চন্দ্রকোনায়, নিহত ৬, আহতের সংখ্যা কুড়ির বেশি

পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, "বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর জন্যই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে"। 

ভয়াবহ দুর্ঘটনা চন্দ্রকোনায়, নিহত ৬, আহতের সংখ্যা কুড়ির বেশি
মেদিনীপুর:

পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায় পথ দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু। আহত  হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। পুলিশ জানিয়েছে সকাল সাতটা নাগাদ চন্দ্রকোণা টাউনের খেজুরডাঙা এলাকায়  তারেকেশ্বরের দিক থেকে  আসা বাসের সঙ্গে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তাতেই এত মানুষের মৃত্যু  হয়েছে। আঞ্চলিক সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা জানা গেছে আহতদের স্থানীয়  হাসপাতালে  নিয়ে  যাওয়া হয়েছে। পরে তাদের ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে। ২০ জন ভয়াবহ আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরে তাদের মধ্যে দুজনকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, বাসের সঙ্গে  ধাক্কা  লাগার আগে  লরিটি একটি মোটরবাইকেও ধাক্কা  মারে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে  তদন্তকারীদের অনুমান গাড়ির গতি বেশি থাকার জন্যই এমনটা হয়েছে। পাশাপাশি সকালের দিকে  কুয়াশার উপস্থিতিও ভাবাচ্ছে  পুলিশকে।

ঘটনায় বাস এবং লরি চালকেরই মৃত্যু হয়েছে  বলে  পুলিশ জানিয়েছে। তাছাড়া  প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান লরি চালক মদ খেয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। অন্যদিকে মৃতদের মধ্যে আছেন তিন মহিলা। তাঁদের একজন মেডিক্যাল পড়ুয়া। তাছাড়া এক নাবালকও বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।

পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, "বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর জন্যই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে"। 

রাজ্যে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যায় কমিয়ে আনতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে  রাজ্য প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ প্রকল্প নিয়ে আশাবাদী। একাধিক সমীক্ষায় দেখা  গিয়েছে নতুন প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে  রাজ্যে পথ  দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছে। কিন্তু তারই মাঝে  এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকছে। মুখ্যমন্ত্রী থেকে  শুরু করে  প্রশাসনের  অনেকেই মনে করেন জন সচেনতনতা তৈরি না হলে কোনও অবস্থায় দুর্ঘটনার সংখ্যা কমবে না। তাই পরিবহণ ব্যবস্থার সঙ্গে  যুক্ত রাজ্য প্রশাসনের সমস্ত  বিভাগই নিজের মতো করে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করছে। দুর্গাপুজোর সময় রাজ্যের ২৮ হাজার ক্লাবকে  ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েও এ  কাজ  করান হয়েছে। তবু কিছু কাজ যে বাকি আছে তা  আবার  প্রমাণ হল।

.