দিল্লি থেকে নয়ডার সংযোগকারী রাস্তা খুলে দিলেন শাহিনবাগের প্রতিবাদীরা।
হাইলাইটস
- ৭০ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর শনিবার খোলা হল শাহিনবাগের দিল্লি-নয়ডা জনপথ
- শাহিনবাগের প্রতিবাদীরা সেই রাস্তা খুলতে পুলিশকে সহযোগিতা করেন
- দীর্ঘ দিন রাস্তা অবরুদ্ধ থাকার ফলে যে নাগরিক সমস্যা, নজর এড়ায়নি কোর্টের
নয়া দিল্লি: দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির শাহিনবাগ (Shaheen Bagh) সংলগ্ন ৯-নম্বর রাস্তা দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ ছিল। ৭০ দিন পর সেই রাস্তা খুলে গেল। তবে, শাহিনবাগ জনপথের ওপর একটি রাস্তা দিল্লি-নয়ডার সংযোগকারী (Delhi-Noida Link Road) লিঙ্ক রোডে এখনও 'রাস্তা বন্ধ' গার্ডরেল লাগিয়ে রেখেছে দিল্লি পুলিশ। শাহিনবাগে চলা দু'মাস দীর্ঘ সিএএ-বিরোধী (Anti-CAA) আন্দোলনের মধ্যেই সেই রাস্তা খুলতে উদ্যোগ নিলেন প্রতিবাদীরা। এদিন তাঁরাই পুলিশের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে 'রাস্তা বন্ধ' গার্ডরেল সরিয়ে দেন। এযাবৎকাল সেই রাস্তা অবরুদ্ধ থাকার দরুন ট্রাফিক সমস্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির এক বিস্তীর্ণ অংশ। সেই সমস্যা নজর এড়ায়নি সুপ্রিম কোর্টের। শাহিনবাগ জটিলতা কাটাতে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করেছে আদালত। গত ৩দিন সেই মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন প্রতিবাদীরা। অবশেষে সাময়িক সমাধানসূত্র মেলায় পুলিশের উপস্থিতিতে সেই ৯-নম্বর রাস্তা খুলতে উদ্যোগী হল শাহিনবাগ। কিন্তু বন্ধ থাকল জাতীয় সড়কে ওঠার সেই লিঙ্ক রোড।
"বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী প্রধানমন্ত্রী," প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিচারপতি অরুণ মিশ্র
ইতিমধ্যে সেই অবরুদ্ধ রাস্তাকে ঘিরে আক্রমণের সুর চড়িয়েছে বিজেপি। কিছু শতাংশ মানুষ নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য গোটা দিল্লিকে অসুবিধার মধ্যে ফেলছে। এমন অভিযোগ শোনা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের গলাতে। যেহেতু ওই রাস্তা গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়কের অংশ, তাই পুলিশ বাধ্য হয়েছিল গাড়ির অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতে। কিন্তু তাতেও মেটেনি ট্রাফিক জট। জানা গিয়েছে, গত ১৫ ডিসেম্বর সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিশি বর্বরতার অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। সেই অভিযোগেই ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শাহিনবাগ অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে। মূলত, মহিলাদের এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে। তারপর থেকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত দেখেছে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির এই জনপথ। কিন্তু দাবি আদায়ের পথ থেকে টলানো যায়নি শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের। এই আন্দোলনের মূল দাবি; সংসদের অধিবেশন চলাকালীন বিলোপ করতে হবে সিএএ।
ভারতে খোঁজ মিলল বিরাট এক সোনার খনির, রয়েছে প্রায় ৩,৫০০ টন সোনা!
এই সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, প্রথমবার দেশের নাগরিকত্বের প্রমাণ নেবে। এমনটাই সূত্রের খবর। যদিও এর কার্যকারিতা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে নানা মহলে। কিন্তু সরকার বলছে, মুসলিম অধ্যুষিত তিন পড়শি দেশ থেকে ভারতে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে এই আইন। বিরোধীদের আবার অভিযোগ, মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আর ভারতের সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী এই সিএএ।