Rohingya Muslims: সাতজন রোহিঙ্গা মুসলিমকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানালো সুপ্রিম কোর্ট
হাইলাইটস
- সরকার আদালতকে জানায়, মায়ানমার তাঁদের ফিরিয়ে নিতে চেয়েছে
- আসামের একটি বন্দিশালা থেকে মায়ানমারে পাঠানো হবে তাঁদের
- ভারতে 40,000 রোহিঙ্গার মধ্যে 16,000 জন জাতিসঙ্ঘের দ্বারা নিবন্ধিত
নিউ দিল্লি: সাত রোহিঙ্গা মুসলিমকে মায়ানমারে পাঠানোর সিদ্ধান্তই বহাল রাখল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। আসামের একটি বন্দিশালা থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের মায়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেই জানিয়েছে আদালত। শীর্ষ আদালত জানায়, "আমরা যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়েছে তার উপর হস্তক্ষেপ করতে চাই না,"। আদালত সরকারের বক্তব্যই মেনে নেয়। ভারত সরকার জানিয়েছিল, রোহিঙ্গারা অবৈধ অভিবাসী এবং মায়ানমার তাদের নিজের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে।
7 জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে মায়ানমারে পাঠাচ্ছে আসাম
এই রোহিঙ্গারা সেন্ট্রাল রাখাইনের কাউক দও টাউনশিপ থেকে এসেছেন। যেখান থেকে হাজার হাজার মানুষ সংখ্যালঘুদের উপর জাতিগত আক্রমণের কারণে পালিয়ে আসেন। 2012 সালে দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য সাতজনকে রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকালই তাঁদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর কথা জানায় সরকার। সরকারের শীর্ষ আইনজীবী তুষার মেহতা, আদালতে বলেন যে মায়ানমারের দূতাবাস রোহিঙ্গাদের পরিচয়ের শংসাপত্র দিতে রাজি হয়েছে।
রোহিঙ্গা সমস্যায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো উচিত ভারতের: রাষ্ট্রপুঞ্জ
নয়াদিল্লির এই পদক্ষেপ জাতিসংঘের সমালোচনার মুখে পড়েছে। তাঁদের মতে, বলপূর্বক শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।
জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক তেন্ডাই আচিউম বলেন, "এই রোহিঙ্গারা তাঁদের দেশে যে পরিমাণে জাতি ও সংস্থাগত বৈষম্যের শিকার হয়েছে, যে পরিমাণে তাঁদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে তা স্বীকার করতে ভারতের আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা প্রদান তাঁদেরও দায়িত্ব।”
মায়ানমারে বহু বছর ধরে নির্যাতন চলার পর প্রায় 40,000 রোহিঙ্গা ভারতে চলে এসে বসবাস করতে শুরু করে। তাদের প্রায় 16,000 জন জাতিসংঘের উদ্বাস্তু সংস্থা দ্বারা নিবন্ধিতও হয়েছেন।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা এই বিষয়টিকে ‘এথনিক ক্লিন্সিং’ বা জাতিগত পরিস্কারকরণ হিসেবেই দেখেছেন। মায়ানমার অবশ্য এই অভিযোগ স্বীকার করেনি। গত বছরের আগস্ট মাসে রোহিঙ্গা সেনারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার পরেই দেশের সামরিক সেনা পাল্টা বিদ্রোহ অপারেশন চালু করে।
গত বছর সরকার আদালতকে জানায় যে, রোহিঙ্গা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকারক। বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সাথে তাঁদের যোগ আছে এবং সন্ত্রাস হামলার জন্য আইএসআইএস এদেরকে ব্যবহার করছে। রাজ্য সরকারকে তাদের সনাক্ত করে ও নির্বাসন দেওয়ার জন্যও জানায় সরকার।