हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Apr 24, 2019

এন ডি তিওয়ারির ছেলে রোহিতকে হত্যা করেছে তাঁর স্ত্রী, দেড় ঘন্টায় সাফ প্রমাণ: পুলিশ

পুলিশের পদস্থ কর্তা রাজীব রঞ্জন বলেন, অপূর্বা শুক্লা তিওয়ারি নিজের দোষ কবুল করে জানিয়েছেন, তাঁর এবং রোহিত তিওয়ারির বিবাহিত জীবন মোটেই সুখকর ছিল না

Advertisement
অল ইন্ডিয়া (with inputs from IANS)

Highlights

  • তিনদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ তাঁর স্ত্রী'কে
  • ১৬ এপ্রিল বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে মারা হয় রোহিত তিওয়ারিকে
  • তাঁর স্ত্রী সমস্ত প্রমাণ লোপাট করে দেন, জানায় পুলিশ
নিউ দিল্লি:

তাঁর মৃত্যুর পর পেরিয়ে গিয়েছে এক সপ্তাহ। তার মধ্যেই তদন্তপ্রক্রিয়া মোটামুটি গুটিয়ে আনল দিল্লি পুলিশ।  উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন ডি তিওয়ারির পুত্র রোহিত তিওয়ারির মৃত্যুটি যে সাধারণ মৃত্যু নয়, তা নিয়ে সন্দেহ ছিলই গোয়েন্দাদের। সেই সন্দেহের নিরসন ঘটল রোহিত তিওয়ারির স্ত্রী অপূর্বা শুক্লা তিওয়ারিকে গ্রেফতারের পর। পুলিশ বুধবার জানাল, অপূর্বাই তাঁর স্বামীকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। গত ১৬ এপ্রিল রোহিত তিওয়ারির রহস্যজনক মৃত্যুর পর  তিনদিন ধরেই পেশায় আইনজীবী অপূর্বাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে রোহিত তিওয়ারির মৃত্যু হৃদরোগে হয়েছে বলে মনে করা হলেও পরে কিছু সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের।       

কন্যাশ্রীর পর রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ স্বীকৃতি পেল উৎকর্ষ বাংলা

দিল্লি পুলিশের পদস্থ কর্তা রাজীব রঞ্জন বলেন, “অপূর্বা শুক্লা তিওয়ারি নিজের দোষ কবুল করে জানিয়েছেন, তাঁর এবং রোহিত তিওয়ারির বিবাহিত জীবন মোটেই সুখকর ছিল না। তিনি এই কথাও জানান যে তাঁর সমস্ত আশা ও স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। ওই দিন তাঁদের দুজনের মধ্যে ভয়ানক ঝামেলা হয়। সেই ঝামেলা তারপর হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। ওই সময়ই অপূর্বা শুক্লা তিওয়ারি তাঁর স্বামীর মুখে বালিশ চেপে ধরেন। ওই সময় মদ্যপান করছিলেন রোহিত তিওয়ারি। তাই তিনি বাধা দেওয়ার অবস্থায় ছিলেন না”।

তাঁর নিজের ঘরেই রাত একটা নাগাদ হত্যা করা হয় রোহিত তিওয়ারিকে। “তারপর অপূর্বা শুক্লা তিওয়ারি তাঁর স্বামী-হত্যার সমস্ত প্রমাণ নষ্ট করে দেন। এবং, খুন থেকে প্রমাণ লোপাট- এই পুরো ব্যাপারটি করতে সময় লেগেছিল মাত্র দেড় ঘন্টা”, বলেন এক পদস্থ পুলিশকর্তা।

Advertisement

ওই পুলিশকর্তাই জানান, রোহিত তিওয়ারি তাঁর এক আত্মীয়ার সঙ্গে মদ্যপান করেই চলেছিলেন”। তাঁর ইনসমনিয়া থাকার জন্য তাঁকে পরদিন সকালেও কেউ ডেকে তোলেননি ঘুম থেকে। বিকেল চারটে নাগাদ একজন খেয়াল করেন রোহিতের নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে।

সেইসময়ই রোহিতের মা উজ্জ্বলা তিওয়ারি নিজের চিকিৎসার জন্য ছিলেন হাসপাতালে। তিনি বাড়ি থেকে ফোন পেয়ে রোহিতের জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে দেন।

Advertisement

মমতা দিদি এখনও বছরে দু-একটা পাঞ্জাবি আর মিষ্টি পাঠান: অক্ষয় কুমারকে বললেন মোদী

ওই সময় বাড়িতে ছিলেন রোহিতের স্ত্রী অপূর্বাও।

Advertisement

কয়েক বছর আগে পর্যন্ত নিয়মিত খবরে থাকতেন রোহিত। একটা সময় তিনি দাবি করেন এন ডি তিওয়ারি তাঁর বাবা। এই দাবির স্বপক্ষে টানা ৬ বছর  আইনি লড়াই করেছেন তিনি। ২০১২ সালে নেতার ডিএনএ পরীক্ষার দাবি তোলেন রোহিত। কিন্তু উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে রাজি হননি। শেষমেষ অবশ্য ডিএনএ পরীক্ষায় রাজি হন তিনি। ২০১৪ সালে দিল্লি হাইকোর্ট রোহিতকে এন ডি তিওয়ারির ছেলে বলে স্বীকৃতি দেয়।      

Advertisement