রোজভ্যালিকাণ্ডে(Rose Valley) তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।(ফাইল ছবি)
কলকাতা: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে তলব করার, ঠিক একদিন পরেই রোজভ্যালিকাণ্ডে (Rose Valley) অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে (Rituparna Sengupta) ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সূত্রের খবর, বিদেশ ভ্রমণে রোজভ্যালিকর্তা গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গী হতে এবং তাঁর প্রসার ও সিনেমার প্রোযোজনার কাজে সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে। ইডির (ED) একটি সূত্র সংবাদসংস্থা ইডিকে জানিয়েছে, “রোজভ্যালিকাণ্ডে আমরা অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে (Rituparna Sengupta) ডেকে পাঠিয়েছি। আগামী সপ্তাহে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে”। তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন করা হলে কোনও জবাব মেলেনি অভিনেত্রীর তরফে। ১৯ জুলাই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। আর্থিক তছরুপ আইনে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে।
রোজভ্যালিকাণ্ডে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে তলব করল ইডি
সূত্রের খবর, ২০১০ এবং ২০১১-এ তাঁর সংস্থা আইডিয়া লোকেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন লিমিটেডের, রোজভ্যালি থেকে নেওয়া ২.৭৫ কোটি টাকার বিষয়ে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি(ED)। তারমধ্যে ২৩.৫ লক্ষ টাকা অভিনেতা নিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, এই টাকা লেনদেনের উৎস সম্পর্কে জানতে চান তদন্তকারীরা।
রোজভ্যালির(Rose Valley) প্রযোজনা ও পরিবেশনার একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য “মনের মানুষ” এবং “হ্যাংওভার”। ৫৮তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায় “মনের মানুষ”।
রোজভ্যালিকাণ্ডে মদন মিত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির
চলতি বছরের গোড়ার দিকে, চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে ডেকে পাঠানো হয় চলচ্চিত্র প্রয়োজক শ্রীকান্ত মোহতাকে, তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। চিটফাকাণ্ডে সোমবার তৃণমূলনেতা মদন মিত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি(ED)। সারদা কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে ২০১৪-এ রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী থাকাকালীন গ্রেফতার করা হয় মদন মিত্রকে। ২১ মাস জেলবন্দি থাকার পর জামিনে মুক্ত হন তিনি।
রোজভ্যালি মামলায় সর্বস্বান্ত আমানতকারীদের টাকা ফেরত পাওয়ার সুযোগ তৈরি হল
ইডির(ED) তথ্য অনুযায়ী, সারদা কেলেঙ্কারির থেকে পাঁচগুণ বড় রোজভ্যালি(Rose Valley) কেলেঙ্কারি। ২০১৫-এ রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতমকুণ্ডুকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পাশাপাশি হোটেল, রিসর্টসহ তাঁর মোট ২,৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করা হয়। চিটফান্ড সংস্থা চালানোর জন্য সংস্থার তরফে মোট ২৭টি কোম্পানি খোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
ইডির (ED) অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে আমানাতকারীদের ৮ থেকে ২৭ শতাংশ হারে টাকা ফেরৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সংস্থার তরফে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)