This Article is From Apr 30, 2020

করোনায় মৃত্যু সংক্রান্ত নথি ফাঁ'স' করে বদলি মেডিক্যাল সুপার! অভিযোগ অধীর চৌধুরীর

যদিও শাসক শিবির তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, "এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত"

করোনায় মৃত্যু সংক্রান্ত নথি ফাঁ'স' করে বদলি মেডিক্যাল সুপার! অভিযোগ অধীর চৌধুরীর

নিজের দাবির স্বপক্ষে একটা ডিউটি রোস্টার শেয়ার করেছেন অধীর চৌধুরী।(প্রতীকি ছবি)

কলকাতা/মুর্শিদাবাদ:

স্বাস্থ্যকর্তার রুটিন বদলি ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের (Murshidabad Medical College) সুপার দেবদাস সাহাকে বদলি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। কংগ্রেস ও বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, সেই হাসপাতালে সংক্রমণে মৃত্যু সংক্রান্ত গোপন নির্দেশ ফাঁস হওয়াতে এই বদলি। যদিও শাসক শিবির তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, "এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।" এই প্রসঙ্গ প্রথম উত্থাপন করেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (MP Adhir Ranjan Chowdhury)। তিনি বলেছেন, "ওই হাসপাতালের সুপার দেবদাস সাহাকে শাস্তিযোগ্য পদক্ষেপে বদলি করা হয়েছে। কারণ তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল করোনা সংক্রমণে মৃত্যু সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রকাশ না করতে।" নিজের দাবির স্বপক্ষে একটা ডিউটি রোস্টার শেয়ার করেছেন অধীর চৌধুরী। সেই রোস্টারের নীচে স্বাক্ষর আছে মেডিক্যাল সুপার দেবদাস সাহার।

৮২ বছর বয়সে প্রয়াত ফুটবলার চুনী গোস্বামী

সেই রোস্টারে উল্লেখ, কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যু হলে ডেথ সার্টিফিকেটে সেই মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা যাবে না।" 
যদিও সেই ডিউটি রোস্টারের সত্যতা যাচাই করেনি পিটিআই। এই মর্মে স্বাস্থ্য দফতর বুধবার রাতে একটি বদলির নির্দেশ জারি করেছে। সেই নির্দেশে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে বদলি করা হয়েছে সেই স্বাস্থ্যকর্তাকে। এদিকে, টুইট করে অধীর চৌধুরী দাবি করেছেন, "সরকারি নির্দেশ অমান্য করার অপরাধে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে অন্য চিকিৎসককে সুপার পদে নিযুক্ত করা হচ্ছে।" 

এদিকে, ভারতে করোনা আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার বা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার হার বেড়ে হয়েছে ২৫.১৩ শতাংশ, ১৪ দিন আগের ১৩ শতাংশের তুলনায় এই হার ভাল উন্নতি বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মোট ৮,৩২৪ জনকে সুস্থ করে তোলা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায়, ১,৭১৮ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। ফলে এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩,০৫০ জন, তারমধ্যে রয়েছে ১,০৭৪ জনের মৃত্যু। সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে, লকডাউনের আগে যেখানে করোনায় আক্রান্ত দ্বিগুণ হওয়ার হার ছিল ৩.৪ দিন, সেখানে তা হয়েছে ১১ দিন।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.