ভোপালে এক ১০ দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে এটি বিতরণ করা হয়।
ভোপাল: কংগ্রেসের এক সংস্থা, সেবা দল (Seva Dal) প্রচারিত একটি বুকলেট নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধল। সেই বইতে দাবি করা হয়েছে মহাত্মা গান্ধির হত্যাকারী নাথুরাম গডসে ও হিন্দু মহাসভার (Hindu Mahasabha) প্রাক্তন নেতা ভিডি সাভারকারের (VD Savarkar) মধ্যে ‘শারীরিক সম্পর্ক' ছিল। ভোপালে এক দশদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে এটি বিতড়িত হয়। বুকলেটে দাবি করা হয়েছে, ডমিনিক ল্যাপিয়ের ও ল্যারি কলিন্সের লেখা বই ‘ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট' থেকে এই তথ্য নেওয়া হয়েছে। সেবা দলের প্রধান লালজি দেশাই জানাচ্ছেন, বুকলেটে বর্ণিত তথ্য ‘‘ঐতিহাসিক তথ্য''। এবং এও বলেন, ‘‘বিজেপি যাঁদের ‘হিরো' হিসেবে বর্ণনা করে তাঁদের স্বরূপ মানুষের জানা দরকার।''
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘‘লেখক প্রমাণের ভিত্তিতে এটি লিখেছেন। তিনি সমকামী ছিলেন কি ছিলেন না এটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আজ আমাদের দেশে প্রত্যেক আইনি অধিকার রয়েছে নিজেদের পছন্দ বেছে নেওয়ার।''
“পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গর্জে উঠুন”, নাগরিকত্ব আইনের বিক্ষোভকারীদের বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
তিনি আরও বলছেন, ‘‘কিন্তু যা উল্লেখ করা হয়েছে তা ঐতিহাসিক তথ্য যার সমর্থনে যথাযথ তথ্যসূত্র রয়েছে। বিজেপি যাঁদের ‘হিরো' হিসেবে বর্ণনা করে তাঁদের স্বরূপ মানুষের জানা দরকার।''
এর পাশাপাশি স্বাধীনতার সময়ে দেশভাগের জন্যও সাভারকারকে দায়ী করা হয়েছে ওই বুকলেটে।
আমিও গৃহবন্দী, ফের সরব মেহবুবা-কন্যা
ওই বুলেট ছাড়াও দ্বিতীয় একটি বুকলেট রয়েছে, যেখানে আরএসএস ও বিজেপি প্রসঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ‘ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট' বই থেকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, নাথুরাম গডসে ব্রাহ্মচর্য গ্রহণ করার আগে একবারই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তাঁর একমাত্র শারীরিক সম্পর্কটি ছিল নিজের রাজনৈতিক গুরু বীর সাভারকারের সঙ্গে।''
বিজেপির মুখপাত্র রজনীশ আগরওয়াল সাভারকারকে অবমাননা করার অভিযোগে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস সাভারকারকে মুসলিম-বিরোধী হিসেবে দেখাতে চায়।'' তাঁর দাবি, সাভারকার একজন দেশভক্ত ছিলেন। কংগ্রেস একজন দেশভক্তের চরিত্র হনন করছে। কংগ্রেস কখনওই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পছন্দ করে না।
দ্বিতীয় বুকলেটের নাম ‘আরএসএস অউর বিজেপি, কুছ তথ্য অউর জানকারি'। এতে কংগ্রেস দাবি করেছে, আরএসএস অ্যাডলফ হিটলার ও মুসোলিনিকে শ্রদ্ধা করত।
বুকলেট প্রসঙ্গে রজনীশ আগরওয়াল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে আরও বলেন, যে দল তথ্য বিকৃত করে তাদের থেকে সার্টিফিকেট চায় না আরএসএস। তিনি এও জানিয়ে দেন, আরএসএস গঠিত হয় ১৯২৫ সালে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার সাত বছর পরে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার ১৪ বছর আগে।
(তথ্যসূত্র: এএনআই)