This Article is From Jul 25, 2020

আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত খোদ রাজস্ব বিভাগের আধিকারিক! বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি

নীরজ সিং নামে ওই আধিকারিকের ৩.৮৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি, ২০১৭ সালে কলকাতা পুলিশে নীরজ ও তাঁর সহযোগীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়

আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত খোদ রাজস্ব বিভাগের আধিকারিক! বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি

Enforcement Directorate: ওই রাজস্ব আধিকারিকের বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে ইডি (প্রতীকী)

হাইলাইটস

  • এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জালে এক রাজস্ব বিভাগের আধিকারিক
  • তাঁর বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ তছরুপের অভিযোগ
  • ওই সরকারি কর্তার প্রায় সমস্ত সম্পত্তিই বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি
নয়া দিল্লি:

কলকাতায় আয়কর বিভাগের তদন্ত শাখায় কর্মরত এক রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকের (IRS officer) বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের (Money Laundering) অভিযোগে তাঁর ৩.৮৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ওই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাটি (Enforcement Directorate) জানিয়েছে, নীরজ সিং নামে ওই সরকারি কর্তার মুম্বইয়ে অবস্থিত ৩.১৫ কোটি টাকার আবাসিক সম্পত্তি এবং ব্যাঙ্কে রাখা ৭৩.১৬ লক্ষ টাকা প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের অধীনে বাজেয়াপ্ত করেছেন ইডি আধিকারিকরা। এর আগে ২০১৭ সালে এই নীরজ সিং এবং তাঁর সহযোগী গোবিন্দ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ এফআইআর দায়ের করে তাঁদের বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের অভিযোগ এনেছিল।

কলকাতার আয়কর দফতরের তদন্ত শাখার তৎকালীন অতিরিক্ত কমিশনার নীরজ সিংয়ের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ এই অভিযোগ দায়ের করে যে "তিনি সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ তছরুপ করেছেন।"

তদন্তে দেখা গেছে যে "সহযোগী আগরওয়ালকে সামনে রেখেই অবৈধ কাজকর্ম করতেন নীরজ সিং এবং বিভিন্ন সংস্থার বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ তছরুপ করতেন।"

ইডি এক বিবৃতিতে বলেছে, "আগরওয়াল সিংয়ের তছরুপ করা অর্থ তাঁরই বিভিন্ন সংস্থায় লাগাতেন। বিমানের টিকিট, ভ্রমণ এবং হোটেল খরচ সহ নীরজ সিংয়ের ব্যক্তিগত খরচও বহন করতেন তিনিই।"

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা এও দাবি করেছেন, নীরজ সিং তাঁর এক আত্মীয়ের নাম করে ২০১৪ সালে মুম্বইয়ে একটি আবাসিক সম্পত্তি হাতিয়েছিলেন।

ইডি জানিয়েছে যে, এই সম্পত্তি অধিগ্রহণের জন্য, নীরজ সিং গোবিন্দ আগরওয়ালের মাধ্য়মে প্রচুর সংস্থায় তাঁর টাকা খাটাতেন। আর যে টাকা লাভ হতো তা সব অন্যদের অ্যাকাউন্টে রাখতেন। 

"সিংয়ের কাছে তাঁর আত্মীয়দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল এবং অবৈধভাবে যে টাকা তিনি হাতাতেন সেসবই ওই অ্যাকাউন্টগুলোতে রাখতেন তিনি", বলেন এক ইডি আধিকারিক।

.