This Article is From Jan 25, 2019

বেকারদের থেকে স্রেফ পরীক্ষায় বসার টাকা নিয়েই ৪২৭ কোটি আয় করেছে ভারতীয় রেল!

পরীক্ষার আবেদন মূল্য ফেরত দেওয়ার পরেও ৮৮৭ কোটি টাকার থেকে রেলের মোট রোজগার হয়েছে ৪২৭ কোটি টাকা।

বেকারদের থেকে স্রেফ পরীক্ষায় বসার টাকা নিয়েই ৪২৭ কোটি আয় করেছে ভারতীয় রেল!
নিউ দিল্লি:

ফের ব্যাপক পরিমাণ শূন্যপদের নিয়োগ করতে চলেছে ভারতীয় রেল। রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বুধবার ফের ২ লাখ ৩২ হাজার বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগের কথা ঘোষণা করেছেন।  গত বছরের চাকরির পরীক্ষায় রেল বেকারদের কাছ থেকে প্রায় চারশো কোটি টাকা উপার্জন করেছে। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে যখন রেল প্রায় সওয়া লক্ষ শূন্যপদে নিয়োগের ঘোষণা করে তখন প্রায় ২ কোটি ৩৭ লাখ প্রার্থী আবেদন জমা দেন। সম্প্রতি আরটিআই-এর উত্তরে জানা গিয়েছে যে এই পরীক্ষার জন্য আবেদন মূল্য হিসেবে রেল প্রায় ৯০০ কোটি টাকাও রোজগার করেছে।

ভোপালের আরটিআই কর্মী ডাঃ প্রকাশ অগ্রবাল বলেন যে, রেল স্বীকার করে নিয়েছে যে আবেদনের টাকা হিসেবে ১ লক্ষ ২৭ হাজার প্রার্থীর থেকে ৯০০ কোটি টাকা উপার্জন হয়েছে। এর মধ্য থেকেই পরীক্ষায় উপস্থিত হতে না পারা প্রার্থীদের টাকাও অবশ্য ফেরত দিয়েছে রেল।

আসলে রেল পরীক্ষার আবেদনের মূল্যের দু'টি বিভাগ রেখেছিল। সাধারণ এবং সংরক্ষিত বিভাগ। সাধারণ শ্রেণির প্রার্থীদের থেকে ৫০০ টাকা নেওয়া হয়, যার মধ্য থেকে যারা পরীক্ষাতে বসতে পারেননি তাঁদের ৪০০ টাকা করে ফেরত দেওয়া হয়। অন্যদিকে সংরক্ষিত প্রার্থীদের জন্য ২৫০ টাকা করে আবেদনের মূল্য নেওয়া হয় এবং পরীক্ষায় অনুপস্থিতদের এই পুরো টাকাই তাঁদের অ্যাকাউন্টে রেল পাঠিয়ে দেবে বলে জানায়।

দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষক

রেলওয়ে বোর্ডের প্রাক্তন সদস্য সুবোধ জৈন জানান যে, পরীক্ষার আবেদনপত্রের জন্য একটি নির্দিষ্ট মূল্য ধার্য করার নেপথ্যের কারণ হল মূলত দুটি। প্রথমত, এই সূত্রে জমা হওয়া বিপুল অর্থটির সাহায্যে পরীক্ষার প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা। দ্বিতীয়ত, পরীক্ষা দিতে অনিচ্ছুক প্রার্থীদের আবেদন পাঠানোর রাস্তাটি বন্ধ করা।পরীক্ষার আবেদন মূল্য ফেরত দেওয়ার পরেও ৮৮৭ কোটি টাকার থেকে রেলের মোট রোজগার হয়েছে ৪২৭ কোটি টাকা। ২ কোটি ৩৭ লক্ষ প্রার্থী আবেদন করেছেন। এর মধ্যেও সাধারণ ও সংরক্ষিত শ্রেণির মোট ৮৩ লাখ ৮৮ হাজার প্রার্থী পরীক্ষা দিতেই আসেননি না। তাই এঁদের পুরো টাকাই রেলের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। রেল সূত্র অনুযায়ী, পরীক্ষা না দেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে প্রায় ৫০,৩২,৮০০, অর্থাৎ ৬০ শতাংশই সাধারণ শ্রেণির যাঁদের থেকে রেল ৫০০ টাকা করে নিয়েছে। সুতরাং এই বিভাগ থেকে আয় হয়েছে ২৫১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এদিকে অনুপস্থিত থাকা প্রায় ৩৩,৫৫,২০০ জন সংরক্ষিত বিভাগের প্রার্থীদের থেকেও প্রথমে ২৫০ টাকা নেওয়া হয়। তাহলে রেলের অ্যাকাউন্টে ৮৩ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা আসে। ফর্ম পূরণের পরেও পরীক্ষা দিতে আসেনি এমন প্রার্থীদের কাছ থেকে রেলওয়ে ৩৩৫ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা রোজগার করেছে।

কাজে ফাঁকি! সেনা বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পাঁচ আধিকারিককে বরখাস্ত করল মন্ত্রক

রেল সূত্রের খবর, পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন মোট ১ কোটি ৫৩ লাখ প্রার্থী। এখন, যদি ৬০% প্রার্থী সাধারণ বিভাগের হন, যাঁদের থেকে নেওয়া ৫০০ টাকার মধ্যে ৪০০ টাকা ফেরত দেওয়ার পরেও রেলের কাছে প্রার্থী পিছু ১০০ টাকা করে থাকে, তাহলে রোজগার হয়েছে ৯১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। উপস্থিত ও অনুপস্থিতি মিলিয়ে রেলের রোজগার হয়েছে মোট ৪২৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

যদি রেলমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী ফের ২ লাখ ৩২ হাজার নয়া শূন্যপদে নিয়োগের কথা ওঠে তাহলে রেলের আয় কত হতে পারে? আন্দাজ করেই নিন।

.