This Article is From Jun 06, 2020

লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের প্রতিবাদ! আন্দোলনে আরএসএস-এর শ্রমিক সংগঠন

কেবল বিএমএস নয়, অন্য ১০টি শ্রমিক সংগঠন শ্রমিক বিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে

লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের প্রতিবাদ! আন্দোলনে আরএসএস-এর শ্রমিক সংগঠন

করোনা সংক্রমণ আর লকডাউন আবহে একাধিক আর্থিক সংস্কারের পথে হেঁটেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

হাইলাইটস

  • "লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ শ্রমিক-বিরোধী"
  • এই অভিযোগ তুলে পথে নামছে আরএসএস -এর শ্রমিক সংগঠন
  • ১০ জুন থেকে বিক্ষোভ ও ধর্না সংঘটিত করবে তারা
নয়া দিল্লি:

লাভজনক (PSU) সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণ আর এফডিআইয়ের (FDI) কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ঘিরে আরএসএস-এর অন্দরে মতবিরোধ তুঙ্গে। রেল, প্রতিরক্ষার মতো ক্ষেত্রে এফডিআইয়ের আগমন দেশের হিতের বিরোধী। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা করা সাম্প্রতিক সংস্কারি সিদ্ধান্ত শ্রমিক-বিরোধী। এই অভিযোগ তুলে ১০ জুন থেকে পথে নামছে সংঘের (RSS) শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সমিতি বা বিএমএস। সংগঠনের (BMS) অভিযোগ, "শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা না করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Government)।" বিএমএস-এর মহাসচিব এনডিটিভিকে বলেছেন, "১০ জুন থেকে আমরা দেশব্যাপী বিরোধ প্রদর্শন আর ধর্না কর্মসূচি শুরু করছি। সংস্কারের নামে শ্রমিক বিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদির সরকার। সংস্কার প্যাকেজ দেশের হিতের পরিপন্থী। সোনার ডিম দেওয়া মুরগীকেই মারতে চাইছে কেন্দ্রের সরকার।" আরএসএস সূত্রের খবর, বিএমএস দেশের প্রতিটা সরকারি সংস্থার সামনে সেভ ইন্ডিয়া প্রচার শুরু করছে। সরকারকে রাজস্ব দিচ্ছে, এমন সংস্থার বিলগ্নিকরণ কিংবা এফডিআইয়ের বিরুদ্ধে প্রচার কর্মসূচি শুরু হবে। রেল আর ডিফেন্স অর্ডিন্যান্স কারখানায় বেসরকারি পুঁজির প্রবেশ ভুল। কয়লার মতো ক্ষেত্রে এফডিআই  শ্রমিক বিরোধী। প্রতিরক্ষার মতো সংবেদনশীল ক্ষেত্রে এফডিআই প্রবেশ ভুল সিদ্ধান্ত। এমনটাই মনে করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। 

তবে কেবল বিএমএস নয়, অন্য ১০টি শ্রমিক সংগঠন শ্রমিক বিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাম শ্রমিক সংগঠন সিআইটিইউ'র সাধারণ সম্পাদক তপন সেনের দাবি, "কেন্দ্রের মোদির সরকার শ্রমিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ২০১৫ সালের পর থেকে শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেনি কেন্দ্র।তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১০টি শ্রমিক সংগঠন জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়ে পরথে নামব।"

বিশেষজ্ঞদের দাবি, "করোনা সংক্রমণ, লকডাউনের জেরে ধুঁকতে থাকা অর্থব্যবস্থার জোড়া ফলার মধ্যেই ফের একবার শ্রমিক আন্দোলন সামলাতে কোমর বাঁধতে হবে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে।"  

.