RSS-এর কৃষ্ণ গোপাল আঙুল তুললেন মুসলিমদের দিকে
হাইলাইটস
- RSS প্রবীণ নেতার মন্তব্য, মুসলিমরা আসতেই শুরু অচ্ছুত নিয়ে ছুঁৎমার্গ
- 'অতীতে গোমাংস ভক্ষণকারীকে বলা হত অচ্ছুত'
- 'আর ব্রিটিশরা 'দলিত' শব্দ ব্যবহার করত বিভেদ তৈরি করতে'
নয়া দিল্লি: ফের বিতর্কিত মন্তব্যে জড়ালেন রাষ্টীয় স্বয়ংসেবক সংঘের এক প্রবীণ নেতা গোপাল কৃষ্ণ (Krishna Gopal)। বর্তমানে অস্পৃশ্যতা প্রসঙ্গে যখন দেশ উত্তাল তখনই আরএসএস নেতার দাবি, দেশে অস্পৃশ্যতা বা ছোঁয়াছুঁয়ির শুরু হয়েছে ইসলাম ধর্ম বা মুসলিমরা আসার পর থেকেই। তাঁর আরও দাবি, ব্রিটিশ শ্ক্তি বিভেদ হানতেই 'দলিত' শব্দের জন্ম দিয়েছিল। তিনি নিজের কথার স্বপক্ষে যুক্তি হিসেবে সিন্ধুর শেষ হিন্দু রাজা দহিরের পরিবারের গল্পও শোনান। প্রবীণ নেতার কথায়, দহিরের স্ত্রী রাজার মৃ্ত্যুর পর জহর ব্রত পালন করেছিলেন। এবং তিনিই প্রথম 'ম্লেচ্ছ' শব্দ ব্যবহার করেন। রানির যুক্তি ছিল ম্লেচ্ছ বা মুসলিমরা তাঁকে ছুঁলে তিনি অপবিত্র হবেন। তাই প্রাণ দিয়ে নিজের সম্মান রক্ষা করেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে কৃষ্ণ গোপাল এও বলেন, প্রাচীন ভারতে যাঁরা গোমাংস খেতেন তাঁদের অস্পৃশ্য বলা হত। কিন্তু সেই সময় কোথাও 'দলিত' শব্দ ব্যবহার করা হত না।
বাংলায় বিজেপি-আরএসএসের উত্থানের জন্য দায়ী মমতা: সোমেন মিত্র
জাতীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল এক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে এই মন্তব্য করেন বলে খবর। তাঁর কথায়, গণপরিষদেও "দলিত"-এর পরিবর্তে "তফসিলি বর্ণ" শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্র সমাজে "দলিত" শব্দটি ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল ।
রাজ্যে কোনও 'বহিরাগত' সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে না: আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত
আরএসএস নেতার মন্ত্বব্য, ধীরে ধীরে সমাজে ছড়িয়ে পড়ে অস্পৃশ্যতা। এবং সমাজের একটি বড় অংশকে অস্পৃশ্য ঘোষণা করা হয়। তাঁদের দীর্ঘদিন নির্যাতন ও অপমান সহ্য করতে হয়েছিল। গোপাল আরও বলেন, রামায়ণের রচয়িতা মহর্ষি বাল্মীকি স্বয়ং দলিত নন, শূদ্র ছিলেন। কিন্তু তাঁকে আজও আমরা শ্রদ্ধা করি।
VIDEO : সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত বলেছিলেন, সংরক্ষণ বিল নিয়ে বিরোধ মেটানো প্রয়োজন