Read in English
This Article is From Feb 21, 2020

দিল্লি ভোটের ফল বিশ্লেষণ: মোদি-শাহ নির্ভরতা কমাতে বার্তা দিল আরএসএস

মোদি-শাহ নির্ভরতা কমাক বিজেপি। ঘুরিয়ে পদ্ম শিবিরকে নিজেদের মুখপত্রে এমন বার্তা দিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএস।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

দিল্লি বিজেপির সাংগঠনিক নির্ভরতা বাড়াতে হবে, পর্যালোচনা বৈঠকে পরামর্শ আরএসএস-এর।

Highlights

  • মোদি-শাহ নির্ভরতা কমাতে বিজেপিকে বার্তা দিল আরএসএস
  • সাংগঠনিক সংস্কারের ডাক দিয়ে মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে পরামর্শ সংঘের
  • দিল্লি বিজেপির দুর্বল সংগঠন হারের নেপথ্যে দাবি আরএসএসের
নয়াদিল্লি:

মো-শাহ (মোদি-শাহ) নির্ভরতা কমাক বিজেপি। ঘুরিয়ে পদ্ম শিবিরকে নিজেদের মুখপত্রে এমন বার্তা দিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএস (RSS)। বিজেপির (BJP) রাজনৈতিক দীক্ষা-গুরু হিসেবে জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি আছে  আরএসএসের। দক্ষিণপন্থী সেই সংগঠন দিল্লি ভোটের ফল (Delhi Election Result)  বিশ্লেষণে বসে মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে বলেছে, সবসময় নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ সাহায্য করতে পারবেন না। সর্বস্ব দিয়ে দিল্লি ভোটে দুই সংখ্যায় পৌঁছতে পারেনি কেন্দ্রের প্রধান শাসক দল। ৮টি বিধায়ক নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বিজেপিকে। দিল্লির মতো রাজ্যে কেন এই করুণ হাল গেরুয়া শিবিরের। তার পর্যালোচনা করতে বসেছিল বিজেপির সেই রাজনতিক দীক্ষা-গুরু। সেই পর্যালোচনার পর আরএসএস-এর মনে হয়েছে, ২০১৫ সালের ভোটের পর শিক্ষা নিয়ে তৃণমূল স্তরে সংগঠন বাড়ায়নি বিজেপি। পাশাপাশি ২০২০-র ভোট প্রচারে শেষমুহুর্তে সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। এই দুয়ের ফলায় এত খারাপ ফল। মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে দাবি সংঘের। 

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘অতুলনীয় স্বাগত' জানানো হবে, জানাল বিদেশ মন্ত্রক

তাদের যুক্তি, "বিধানসভা নির্বাচনের মতো ময়দানে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ সবসময় সাহায্য করতে পারবে না। সে রাজ্যে তৃণমূল স্তরে সংগঠনকে বাড়তে দিতে হবে। স্থানীয় সমস্যা ও নাগরিকদের ক্ষোভ বুঝে, সেগুলোর সমধানে কাজ করতে হবে।" এই ভোটে বিজেপির ইস্তেহারে উল্লেখ ছিল, অসংগঠিত ১৭০০ কলোনিকে আইনি স্বীকৃতি দেবে বিজেপি। কিন্তু সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে সেই বার্তা ভোটার অবধি পৌঁছন যায়নি, এমনটাই মত আরএসএস-এর। 

‘‘চিন বুঝেছে সবসময় পাকিস্তানকে সমর্থন করতে পারবে না'': সেনাপ্রধান

Advertisement

এই ভোটে জাতীয়তাবাদকে ইস্যু করে প্রচারে জোড় দিয়েছিল বিজেপি। শাহিনবাগ আন্দোলন ও সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকে চক্ষুশূল করে আক্রমণের বার্তা বাড়িয়েছিল দলের মন্ত্রী-সাংসদরা। প্রায় ৩০০ বিজেপি সাংসদকে পথে নামিয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু ১১ ফেব্রুয়ারির ফলে শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে পদ্ম শিবিরের ভোট কুশলীদের, দাবি বিশ্লেষকদের। 

Advertisement