সংশোধনী বিলটির বিরোধিতা করেছে বিজেডি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং টিআরএস।
নয়াদিল্লি: কথা থাকলেও বুধবার রাজ্যসভায় পেশ করা হলনা তথ্য জানার অধিকার আইন(RTI Act)। বিলটির পাশ হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আরও খতিয়ে দেখতে চায় সরকার। সরকারকে ইস্যু ভিত্তিক সমর্থন জানিয়েছে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রসমিতি এবং বিজু জনতা দল, তবে তথ্য জানার অধিকার আইনের ক্ষেত্রে তারা বিরোধীদের সঙ্গ দেবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। সোমবার বিলটি (RTI Act) পাশ হয়ে গিয়েছে লোকসভায়, বিরোধীদের অভিযোগ, নতুন সংশোধনী কার্যকরা করা হলে, তথ্য জানার অধিকার আইন লঘু হয়ে পড়বে। সিলেক্ট কমিটিতে পাঠিয়ে বিলটি স্ক্রুটিনির দাবি তুলেছে তারা। বর্তমানে তথ্য কমিশনারের কার্যকালের মেয়াদ পাঁচ বছর।
প্রস্তাবিত সংশোধনীতে তথ্য কমিশনারদের কার্যকালের মেয়াদ হবে সরকার নির্ধারিত। বিলে(RTI Act) আরও বলা হয়েছে, তাঁদের বেতন কাঠামোও নির্ধারণ করবে সরকার। বর্তমানে তথ্য কমিশনারের বেতন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সমান।
আরটিআই আন্দোলনকারীদের দাবি, তথ্য কমিশনারদের বেতন ও কার্যকালের মেয়াদ সরকার নির্ধারিণ করা মানেই, তাঁদের স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওপর জোর করে হস্তক্ষেপ করা।
রাজ্যসভায় এখনও পর্যন্ত সংঘ্যালঘু এনডিএ সরকার। বিলটিকে পাশ করাতে বলে জোটের বাইরের দলগুলিরও সমর্থন পেতে হবে মোদি-সরকারকে। রাজ্যসভায় এই মুহুর্তে ১১৬ জন সদস্য রয়েছেন এনডিএ-র, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে পাঁচ কম।–এর
বিজেডি এবং টিআরএস মিলিয়ে মোট সদস্যসংখ্যা ১৩। তবে তাদের বিলটিকে সমর্থন না করারই সম্ভাবনা।
টিআরস নেতা কেশব রাও NDTV কে বলেন, “আমরা বিলটির তীব্র বিরোধিতা করছি।এটা শুধুমাত্র আইনকে লঘুই করে দেবে না, রাজ্য ও কেন্দ্রের তথ্য কমিশনার ও তাঁদের প্রধানের পদমর্যাদাকেও কমিয়ে দেবে”।
বুধবার একটি বৈঠক করে বিরোধী দলগুলি। সেখানেই মোট সাতটি বিল বেছে নেওয়া হয়, যে বিলগুলিকে তারা আলোচনার জন্য বিশেষ কমিটিতে পাঠাতে চায়। বৈঠকের পর কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমি সরকারকে বলতে চাই, আজ বা কাল, আরটিআই বিল যেদিনই আনা হোক না কেন, আমরা এটাকে বিশেষ কমিটিতে পাঠানোর চেষ্টা করব। আমি শুধু এটা আপনাদের আগে থেকে বলে রাখলাম”।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন NDTV কে বলেন, “আমরা চাই, আরও আলোচনার জন্য আরটিআই সংশোধনী বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হোক”।
সরকারের তরফে একাধিকবার জানানো হয়েছে, সংশোধনী বিলটি তথ্য কমিশনারদের প্রভাবিত করবে না, শুধু কতগুলি বিশৃঙ্খলা সংশোধন করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত বিষয়ক মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, “আমরা হ্স্তক্ষেপ করছি না, এবং প্রতিষ্ঠানের স্বশাসনের ওপর প্রভাব ফেলবে, এমন কিছু করা হবে না”।