தமிழில் படிக்க हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Jul 25, 2019

বিরোধীদের প্রতিবাদের মধ্যেই রাজ্যসভায় পাশ আরটিআই আইন সংশোধনী বিল

সূত্রের খবর, বিজেডি, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মতো জোটের বাইরে থাকা দলগুলি আরটিআই বিলকে সমর্থনে রাজি হয়

Advertisement
অল ইন্ডিয়া ,

বিজু জনতা দল ও তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি আরটিআই সংশোধনী বিলকে সমর্থনে প্রস্তুত বলে সূত্রের খবর

নয়া দিল্লি:

বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল তথ্য জানার অধিকার আইন সংশোধনী বিল। বিজু জনতা দলের সমর্থন চেয়ে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে কথা বলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভোটের আগেই ওয়াকআউট করে কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার আরটিআই আইন নিয়ে সংসদে ব্যাপক হট্টগোল হয়। বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি জানায় বিরোধীরা। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সোমবার বিলটি লোকসভায় পাশ করিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, “সংসদকে খতিয়ে দেখতে হবে। এটি স্ক্রুটিনির প্রয়োজন। এটা কোনও টি-২০ ম্যাচ নয়”। “বিলটি দোসা তৈরি করা নয়” বলে কটাক্ষ করেন রাজ্যসভার আরেকজন সাংসদ।

তথ্য জানার অধিকার আইন পাশ, স্বচ্ছতা আইন লঘু হয়ে যাবে, মত বিরোধীদের

সূত্রের খবর, বিজেডি, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মতো জোটের বাইরে থাকা দলগুলি আরটিআই বিলকে সমর্থনে রাজি হয়েছে। ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতা বিজয় রেড্ডি NDTV কে বলেন, “আমরা তথ্য জানার অধিকার আইন সংশোধনী বিলটিকে সমর্থন করব...সমস্ত বিলকেই স্ট্যান্ডিং কমিটি বা সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি সঠিক নয়”।

Advertisement

আরটিআই বিল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে, বিজেডির প্রসন্ন আচার্য NDTV কে বলেন, “আমরা আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি নিয়ে সরকারকে প্রশ্ন করব এবং আমরা যদি সন্তোষজনক উত্তর পাই, আমরা এটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করব”।

আগে বিলটির বিরোধিতা করেছিল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি। বিলটি নিয়ে দলের সভাপতি কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

Advertisement

কংগ্রেস সূত্রে খবর, তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, সংখ্যা জোগার করা হচ্ছে, সম্ভবত বিলটি পাশ হয়ে যাবে।

তাক্ষণিক “তিন তালাক” রোধে বিল পাশ লোকসভায়, ওয়াকআউট বিরোধীদের

Advertisement

বুধবারই মেয়াদ শেষ হয়েছে পাঁচজন সদস্যের। ফলে বিজেপি ও তাদের জোটসঙ্গীর এখন সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ৬ জন সদস্য কম রয়েছেন। রাজ্যসভায় বরাবরই বিরোধীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।

তথ্য জানার অধিকার আইনে যে সংশোধনী এনেছে সরকার, তার তীব্র বিরোধিতা করেছেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন তথা কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধি।

Advertisement

একটি বিবৃতিতে সনিয়া গান্ধি বলেন, “ঐতিহাসিক তথ্য জানার অধিকার আইনটিকে ধ্বংস করতে মরিয়া কেন্দ্র”। তিনি আরও বলেন, “ব্যাপক আলোচনা এবং পূ্র্ণ সমর্থনে পাশ করানোর পরে বিলটি এখন ধ্বংসের মুখে”।

রাজ্যসভায় বকেয়া ১৬টি বিলের মধ্যে তথ্য জানার অধিকার আইনসহ মোট ৭টি বিলকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি তুলতে বৈঠক করে কংগ্রেস এবং বিরোধীরা।

Advertisement

আরটিআইয়ের সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কেন্দ্র ও রাজ্যের তথ্য কমিশনারদের বেতন, তাঁদের কার্যকালের মেয়াদ ঠিক করবে সরকার।

Advertisement