পরিচালকের দাবি, শবরীমালা মন্দিরের বিষয়ে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় যে পোস্ট করেছিলেন তিনি সেটির কারণেই ডানপন্থী সমর্থকেরা এই আক্রমণ চালিয়েছে
হাইলাইটস
- শুক্রবার ডানপন্থী সমর্থকেরা আক্রমণ করে প্রিয়নন্দনকে
- তাঁকে মেরে গায়ে গোবরজল ঢেলে দেওয়া হয়
- এমন আচরণ বরদাস্ত করা হবে না; মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন
ত্রিশূর: শবরীমালা বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মতামত ব্যক্ত করায় শুক্রবার সকালে সন্দেহভাজন ডানপন্থী সমর্থকদের হাতে নিগৃহীত হলেন জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী পরিচালক প্রিয়নন্দন। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রিয়নন্দনের বাড়ির কাছেই ঘটনাটি ঘটে। পরিচালককে মারধোর করা হয় এবং গোবরজল ঢেলে দেওয়া হয় তাঁর উপর। বিষয়টির তদন্ত চলছে।
গোয়ার সমুদ্র সৈকতে মদ খেলে বা রান্না করলে দু'হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে, হতে পারে জেলও
পরিচালক প্রিয়নন্দন জানান, আক্রমণকারী ব্যক্তিটি এগিয়ে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসা করে যে তিনি ওই ব্যক্তিকে চিনতে পারছেন কিনা। তিনি আরও বলেন, “আমার মনে হচ্ছিল এই ব্যক্তিটি আমার জন্যই অপেক্ষা করছিল। সে আমার পিছু পিছু আসে এবং আমাকে মারে, আমার গায়ে গোবর জল ছুঁড়ে দেয়। সকাল ৯ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে।
প্রিয়নন্দন বলেন, “সাধারণত আমি এই বিশেষ রুটে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ হাঁটতে যাই, কিন্তু আজ সামান্য দেরি হয়ে যায়। এটি একজন মানুষের আক্রমণ নয়, এর পেছনে অন্যরাও রয়েছে।"
৫৩ বছর বয়সী পরিচালকের দ্বিতীয় ছবি ‘পুলিজন্মা' ২০০৬ সালে সেরা ফিচার ফিল্মের জাতীয় পুরস্কার পায়। তাঁর দাবি, শবরীমালা মন্দিরের বিষয়ে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় যে পোস্ট করেছিলেন তিনি সেটির কারণেই ডানপন্থী সমর্থকেরা এই আক্রমণ চালিয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রায় দেয় যে সব বয়সের মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর পোস্টের পরে ডানপন্থী বাহিনীর হুমকির মুখে পড়েন তিনি, পরে ওই পোস্ট সরিয়ে নেন প্রিয়নন্দন।
কলকাতায় এপিজে সাহিত্য উৎসবে উওম্যান'স ভয়েস অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত কবি রঞ্জানি মুরলি
হামলার নিন্দা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পিনারায়ি বিজয়ন জানান, এই ধরনের আক্রমণ বরদাস্ত করা হবে না। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর সরাসরি হামলা। বিজয়ন বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মত প্রকাশ করেছেন বলেই আজ তাঁর প্রতি এমন নিন্দনীয় আক্রমণ করা হল। তাঁর পোস্টের পরেই তিনি সাইবার আক্রমণের শিকার হন। এ সহ্য করা হবে না এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
বামপন্থী ভাবনায় বিশ্বাসী প্রিয়নন্দন তাঁর চলচ্চিত্রের কর্মজীবন শুরু করেন পরিচালক কে আর মোহনান এবং পিটি কুঞ্জু মহাম্মদের সহকারী পরিচালক হিসেবে। ২০০১ সালে তিনি তাঁর প্রথম ফিচার ফিল্ম পরিচালনা করেন এবং আজ পর্যন্ত সাতটি চলচ্চিত্রের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি, অসংখ্য তথ্যচিত্রও তৈরি করেছেন প্রিয়নন্দন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)