শবরীমালা বন্ধ হবে আজ। মিডিয়ার ওপর আক্রমণ হতে পারে বলে এলাকা ফাঁকা করতে বলল পুলিশ।
হাইলাইটস
- আজ পুজোর পর বন্ধ করা হবে মন্দির
- তাদের ওপর আক্রমণ হতে পারে বলে মিডিয়াকে সতর্ক করল পুলিশ
- হাজারেরও বেশি মানুষ এই মুহূর্তে শিবির করে রয়েছে মন্দির চত্বরে
শবরীমালা, কেরালা: পাঁচদিনের পুজোর পর সোমবার রাত দশটার সময় বন্ধ করা হবে শবরীমালা মন্দির। রজঃস্বলা হলেও মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে বলে যে রায় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত তারপর গত 18 অক্টোবর মন্দিরটি খুলে দেওয়া হয়। গত চারদিনে 10-50 বছর বয়সের মধ্যে মোট ন'জন মহিলাকে বিক্ষোভকারীরা মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেয়। একজন 47 বছর বয়সী মহিলাকে মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেওয়ার পর হেনস্থা করা হলে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন গতকাল। ওই এলাকায় উপস্থিত সাংবাদিকদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ, কারণ, সংবাদমাধ্যমের ওপর আক্রমণ নেমে আসতে পারে বলে তাদের কাছে তথ্য ছিল। সরকারকে চিঠি লিখে মন্দির কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিল, মন্দিরের এতদিনের ঐতিহ্য বাধাপ্রাপ্ত হলে তারা মন্দিরে পুজো করা বন্ধ করে দেবে। এই মুহূর্তে মন্দির চত্বর জুড়ে কয়েকহাজার মানুষ ঘাঁটি গেড়েছে। তাদের পণ, কিছুতেই 50 বছরের কম মহিলাদের রজঃস্বলা অবস্থায় মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
বিজেপি তাদের দলীয় কর্মীদের এই বিক্ষোভে সক্রিয়ভাবে সামিল করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তা অস্বীকার করেছে দল। বিজেপির পক্ষ থেকে এই বিষয়টি নিয়ে সংসদে বিশেষ অধিবেশনেরও দাবি তো হয়েছে। চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপও। এই ইস্যুতে তাদের পাশে রয়েছে কংগ্রেসও। দুই দলেরই দাবি সিপিএম শাসিত কেরালার সরকার মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করছে।
শবরীমালা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ার পরেই কেরালার রাজ্য বিজেপি গোটা রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নেয়। এই বিষয়টি নিয়ে কেরালা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কে সুরেন্দ্রন বলেন, "টানা একমাস ধরে শবরীমালা আয়াপ্পা সংরক্ষণ অভিযান চলবে"। তিনি আরও জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে মন্দিরের পবিত্রতা বজায় রাখার গুরুত্ব মানুষকে বোঝাবে দলীয় কর্মীরা।