हिंदी में पढ़ें
This Article is From May 12, 2020

ছেলেমেয়েদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হত না! সঈফ আলি খান জানিয়েছিলেন জীবনের ব্যথাভরা কাহিনি

সঈফ বলেছেন, ‘‘আমাকে অমৃতা সিংহকে ৫ কোটি টাকা দিতে বলা হয়েছিল। এছাড়াও প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা করে দিতে হত। আমি শাহরুখ খান নই। আমার কাছে অত টাকা ছিল না।’’

Advertisement
বিনোদন Written by , Edited by

সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) অনুমতি ছিল না সারা ও ইব্রাহিমের সঙ্গে দেখা করার।

Highlights

  • বিবাহ বিচ্ছেদের পরে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি ছিল না সঈফ আলি খানের
  • ছেলের ছবি পার্সে নিয়ে ঘুরতেন
  • মেয়ে সারার কথাও সারাক্ষণ মনে পড়ত তাঁর
নয়াদিল্লি:

বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা সঈফ আলি খান (Saif Ali Khan) রুপোলি পর্দার এক অবিসংবাদী তারকা। কিন্তু ফিল্মি জগতের বাইরেও তাঁর জীবনের সঙ্গে এমন কিছু বিষয় জড়িয়ে রয়েছে যা জানলে আপনারা হতভম্ব হয়ে যাবেন। ‘দ্য টেলিগ্রাফ'-কে দেওয়া এক পুরনো সাক্ষাৎকারে সঈফ আলি খান জানিয়েছিলেন, তাঁর ও অমৃতা সিংহের (Amrita Singh) বিচ্ছেদের পরে পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছিল যে, তাঁর দুই সন্তান সারা আলি খান (Sara Ali Khan) ও ইব্রাহিম আলি খানের সঙ্গে দেখা করার কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। সঈফ জানিয়েছেন, সেই কঠিন সময়ে ছেলে ইব্রাহিমের ছবি পার্সে নিয়ে ঘুরতেন তিনি। আর সময় পেলে তাতে চোখ বোলাতেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ছবিটা দেখলেই কান্না পেত।

নিজের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সঈফ জানাচ্ছেন, ‘‘আমি ও আমার স্ত্রী নিজের নিজের পথে চলে গিয়েছিলাম। আমি আমার স্ত্রীকে সম্মান করি। কিন্তু প্রতি বার, বারবার আমাকে মনে করিয়ে দেওয়া হত আমি বেকার বাবা ও খারাপ স্বামী। আমার পার্সে ইব্রাহিম আলি খানের ছবি থাকত। আমি সব সময় সেই ছবির দিকে তাকিয়েই বসে থাকতাম। কান্না পেত। মেয়ে সারাকেও সব সময় মনে পড়ত। নিজের সন্তানদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি ছিল না আমার। ওদেরও অনুমতি ছিল না আমার কাছে আসার। একা একা আমার কাছে থাকার অনুমতিও ছিল না। কেন? কেননা আমার জীবনে এক মহিলা ছিলেন, যিনি আমার বাচ্চাদের তাদের মায়ের বিরুদ্ধে উস্কানি দিতে পারে।''

সঈফ আরও জানাচ্ছেন, ‘‘আমাকে অমৃতা সিংহকে ৫ কোটি টাকা দিতে বলা হয়েছিল। আড়াই কোটি টাকা আমি প্রথমেই দিয়ে দিয়েছিলাম। এছাড়াও প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা করে আমাকে ওকে দিতে হত, যতদিন না আমার ছেলের বয়স ১৮ হয়। আমি শাহরুখ খান নই। আমার কাছে অত টাকা ছিল না। আমি কথা দিয়েছিলাম বাকি টাকাও দিয়ে দেব। তার জন্য আমাকে মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করতে হলে করব।''

প্রসঙ্গত, এখন পরিস্থিতি বদলেছে। সারা-ইব্রাহিম তাঁদের বাবার সঙ্গে ছবি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাশাপাশি বহুবার তাঁরা তাঁদের বাবার সঙ্গে দেখা করতেও যান।

Advertisement
Advertisement