উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলার এক গ্রামে শনিবার পাঁচ ব্যক্তি জীবন্ত জ্বালিয়ে দিল এক মহিলাকে। অভিযোগ, মৃতা মহিলা তাঁর ছ’বছরের সন্তানকে নিয়ে নিজের ঘরে ছিলেন। শুক্রবার মধ্যরাতে ওই পাঁচজন মহিলার ঘরে ঢুকে তাঁকে বলপূর্বক অপহরণ করে সামনের একটি কুটিরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে সফল না হওয়ায় ওই কুটিরের ভিতরেই জীবন্ত জ্বালিয়ে দেয় ওই মহিলাকে।
দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। যদিও, গণধর্ষণের তত্ত্বটি অস্বীকার করেছে পুলিশ। সম্ভল জেলার এসপি আরএম ভরদ্বাজ সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেন, “অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে পেরেছি আমরা। কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে তাদের নাম প্রকাশ করতে পারব না আমরা। খুব তাড়াতাড়িই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও, গণধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে যে তত্ত্বটি ভেসে বেড়াচ্ছে, তা সত্য নয়। কয়েকজন গ্রামবাসী মিলে এই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি”।
সম্ভলপুর জেলার পাঠকপুর গ্রামে শুক্রবার মধ্যরাতে ঘটে ঘটনাটি। মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, অভিযুক্তরা প্রায়ই তাঁকে উত্যক্ত করত। শুক্রবারও তারা উত্যক্ত করতে এলে ওই মহিলা বিরোধিতা করেন। তখনই বচসা শুরু হয়। পরে, রাত্রিবেলায় তাঁর ঘরে ঢুকে অভিযুক্তরা অপহরণ করে নিয়ে যায় তাঁকে।
মৃতার স্বামী দিল্লিতে কাজ করেন।
মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিনি তাদের ফোন করে বলেন, ওই পাঁচজন তাঁকে মেরে ফেলবে। তিনি পুলিশের নম্বরেও ফোন করেছিলেন। কিন্তু কোনও উত্তর পাননি।