This Article is From Jun 11, 2019

সন্দেশখালির ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করল বিজেপি

সন্দেশখালির ঘটনায় নিহত প্রদীপ মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডলের ভাঙ্গিপাড়ার বাড়িতে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy)।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া
সন্দেশখালি:

সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)  শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করল বিজেপি (BJP) । সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়, পাশাপাশি সন্দেশখালির ঘটনায় (Sandeshkhali Clash) এনআইএ তদন্তের দাবি করলেন তিনি। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে সংঘর্ষে তিনজনের দেহ বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃতদের মধ্যে দুজন তাদের কর্মী বলে দাবি করেছে বিজেপি (BJP), অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) দাবি, তৃতীয় ব্যক্তি তাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সন্দেশখালিতে সংঘর্ষের (Sandeshkhali Clash) পর থেকেই তাদের বহু কর্মীই নিখোঁজ বলে দাবি করে তৃণমূল(TMC) ও বিজেপি(BJP)। শনিবার সন্দেশখালিতে(Sandeshkhali)  সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকেই মুখে কুলপ এঁটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ। মৃতের সংখ্যা নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয় নি তারা।

সন্দেশখালির ঘটনায় ঘৃতাহুতির কাজ করেছে মমতার বক্তব্য, অভিযোগ বিজেপির

সন্দেশখালিতে ইতিমধ্যেই গিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়(Mukul Roy)। সেখানকার মানুষ এখনও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি মুকুল রায়,  বলেন, “আমাদের দুই সমর্থকের হত্যার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করেছি আমরা”। মুকুল রায়ের কথায়, “ঘটনায় যদি কাউকে দায়ী করা যায়, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”। হত্যার ঘটনায় যুক্ত কাউকেই গ্রেফতার করা হবে না, এই ধরণের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে মুকুল রায়(Mukul Roy)বলেন, “ঘটনায় যদি কাউকে দায়ী করা যায়, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”। তাঁর দাবি, “বিকেলে নিজেদের বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন প্রদীপ এবং সুকান্ত। তাঁদের বাইরে তুলে নিয়ে এসে তৃণমূল কর্মীরা খুন করেছে”।

Advertisement

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক: বিজেপি নেতা

সন্দেশখালির ঘটনায় নিহত প্রদীপ মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডলের ভাঙ্গিপাড়ার বাড়িতে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy)। অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলে নিহতদের পরিবারকে সবরকম সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। শনিবার সন্দেশখালির ঘটনায় (Sandeshkhali clashes)মৃত্যু হয় কায়ুম মোল্লা নামে এক যুবকের, তিনি তাদের দলীয় কর্মী ছিলেন বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের কর্মীদের ওপর বিজেপি হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই রয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরও। সেই দফতর তাঁর ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে দাবি করেছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “সরকার ফেলে দিতে পরিকল্পনা করে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে” বিজেপি।

Advertisement

হাইওয়েতেই মৃত কর্মীদের দাহ করতে চেয়ে বিজেপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

তৃণমূল  সুপ্রিমো বলেন, “এটা একটা প্ল্যানড গেম। তাদের চক্রান্ত, আমার কন্ঠরোধ করা, কারণ তারা জানে, একমাত্র  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে। আমাদের সরকার ফেলে দেওয়ার এই চক্রান্ত সফল হবে না”। “দলীয় সমর্থকদের হত্যা”র প্রতিবাদে সোমবার বসিরহাটে ১২ ঘন্টার বনধ ডাকে বিজেপি।সন্দেশখালির যে গ্রামে ঘটনাটি ঘয়েছে, সেটি বসিরহাট মহকুমার মধ্যেই পড়ে।

Advertisement

লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে ভাল ফল করেছে বিজেপি (BJP)। গতবারের নির্বাচনে রাজ্যে মাত্র ২টি আসন পেলেও, এবারে তারা একলাফে পৌঁছেছে ১৮ আসনে। আর তারপরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ৩৪টি আস পেলেও, এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ২২।

Advertisement