This Article is From Jun 13, 2019

শুক্রবার সন্দেশখালি যাচ্ছে জাতীয় তপশিলি জাতি কমিশন

শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে(Sandeshkhali) তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ঘটনায় মৃত্যু হয় তিনজনের।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া
কলকাতা:

শুক্রবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাচ্ছে জাতীয় তপিশিলি জাতি কমিশন (National Commission for Scheduled Castes)।  সন্দেশখালিতে হিংসার ঘটনায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন জাতীয় তপশিলি জাতি কমিশনের (NCSC) প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এমনটাই জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে। কমিশনের চেয়ারম্যান রামশঙ্কর কাঠেরিয়া সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে(Sandeshkhali) যাবে কমিশনের (NCSC) পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল, সেই দলে থাকবেন কাঠেরিয়াও। হত্যার ঘটনার রিপোর্ট সহ রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয়কুমার দে, পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র, স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সন্দেশখালিতে(Sandeshkhali) উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।ঘটনায় মৃত্যু হয় তিনজনের।

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন রাজ্যপাল

সেই ঘটনায় তিনজনের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট হাসপাতালে। সেখানেই দুজনকে তাদের দলের কর্মী বলে দাবি করে বিজেপি, তৃতীয়জন তাদের কর্মী বলে দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস।নিহত তৃতীয় ব্যক্তি কায়ুম মোল্লা, তাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে দাবি করে তৃণমূল নেতৃত্ব।  সন্দেশখালির ঘটনায়(Sandeshkhali clashes) নিহত প্রদীপ মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডলের ভাঙ্গিপাড়ার বাড়িতে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায় । অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলে নিহতদের পরিবারকে সবরকম সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

Advertisement

বিজেপির লালবাজার অভিযানে ধুন্ধুমার: বিজেপি কর্মীদের উপর পুলিশের জলকামান, লাঠিচার্জ

শনিবার সন্দেশখালির ঘটনায় (Sandeshkhali clashes) মৃত্যু হয় কায়ুম মোল্লা নামে এক যুবকের, তিনি তাদের দলীয় কর্মী ছিলেন বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের কর্মীদের ওপর বিজেপি হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই রয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরও। সেই দফতর তাঁর ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে দাবি করেছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “সরকার ফেলে দিতে পরিকল্পনা করে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে” বিজেপি।

Advertisement

রাজ্যে রাজনৈতিক সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছেন মমতা দাবি বাবুলের

রাজ্যে ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী (Keshrinath Tripathi) এমনটাই খবর রাজভবন সূত্রে। রাজ্যের সমস্ত বড় দল দলকে চিঠি  দিয়ে ওইদিন বিকেল চারটেয় বৈঠকে হাজির থাকতে বলেছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী (Keshrinath Tripathi), সূত্র  মারফৎ এমনটাই জানা গিয়েছে। রাজ্যপালের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্য সরকারের তরফেই এই পদক্ষেপ করা উচিত ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, “আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আমরা ত্রিপাঠীর চিঠি পেয়েছি। আমরা আগামিকালের বৈঠকে যোগ দিতে পারি”। তবে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, তারা এখনও পর্যন্ত কোনও চিঠি পায় নি। তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান নেতা বলেন, “এমরা চিঠি পাই, তারপর এটা নিয়ে ভাবব”।

Advertisement