Extradited: সঞ্জীব চাওলার বিরুদ্ধে ২০০০ সালে ভারতে একটি ক্রিকেট ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ রয়েছে
হাইলাইটস
- শেষ পর্যন্ত ভারতে নিয়ে আসা সম্ভব হল সঞ্জীব চাওলাকে
- ম্যাচ গড়াপেটায় অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ী বর্তমানে একজন ব্রিটিশ নাগরিক
- প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে ব্রিটেন থেকে তাঁকে ভারতে ফেরানো হয় বৃহস্পতিবার
নয়া দিল্লি: প্রায় কুড়ি বছর ধরে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল ম্যাচ গড়াপেটায় (Match Fixing) অভিযুক্ত সঞ্জীব চাওলাকে, শেষ পর্যন্ত ভারতের দাবি মেনে তাঁকে (Sanjeev Chawla) প্রত্যর্পণ করল ব্রিটেন। ১৯৯২ সালে স্বাক্ষরিত হওয়া ভারত-ব্রিটেন প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় এটিই প্রথম হাই-প্রোফাইল প্রত্যর্পণ (Extradited) বলে জানা গেছে। অভিযোগ, ২০০০ সালে ম্যাচ গড়াপেটার জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক হ্যানসি ক্রোনিয়ের (Hansie Cronje) সঙ্গে বুকিদের যোগাযোগ করিয়ে দেন ৫০ বছর বয়সী ব্রিটিশ নাগরিক সঞ্জীব চাওলা। তাঁকে বৃহস্পতিবার ভারতে নিয়ে আসা হয়। জানা গেছে, তাঁকে দিল্লির তিহার জেলে রাখা হবে। তবে তার আগে সঞ্জীব চাওলার শারীরিক পরীক্ষা করে তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হবে।
সম্প্রতি ভারতে তাঁর প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে ক্রিকেট-বুকি সঞ্জীব চাওলার আবেদন খারিজ করে দেয় ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস। ইংল্যান্ডের স্বরাষ্ট্র সচিব সাজিদ জাভিদ তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অনুমতিপত্রে স্বাক্ষর করলে তার বিরুদ্ধে আবেদন করে ওই মানবাধিকার আদালতের দ্বারস্থ হন সঞ্জীব। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় আদালতে।
লোক দেখাতেই কি হাফিজ সইদের ৬ বছরের কারাদণ্ড? প্রশ্ন ভারতের
২০০০ সালের ৭ এপ্রিল দিল্লি পুলিশ প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার তৎকালীন অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রোনিয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ আনে। সে বছরই ১৫ জুন ক্রোনিয়ে ম্যাচ গড়াপেটার কথা স্বীকার করে নেন। এই খবরে আলোড়ন উঠেছিল ভারত তথা বিশ্ব ক্রিকেট মহলে। জোর কদমে তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত চলাকালীনই ২০০২ সালের পয়লা জুন এক বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান ৩২ বছর বয়সী হ্যান্সি ক্রোনিয়ে।
দলের ওয়েবসাইটে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলার বিবরণ দিতে হবে : সুপ্রিম কোর্ট
তারপরেও অবশ্য চার্জশিটে ক্রোনিয়ের নাম ছিল। ২০১৩ সালে দিল্লি পুলিশ যে চার্জশিট পেশ করে, সেখানে ক্রোনিয়ের সঙ্গে সঞ্জীব চাওলার নামও রাখা হয়। চাওলা তার বহু বছর আগেই অবশ্য লন্ডনে চলে যান। তখন ওই দেশের কাছে তাঁকে ফেরানোর জন্যে আবেদন করে ভারত। যদিও এক সময় ব্রিটিশ আদালতে এমন প্রশ্নও ওঠে, ভারতের তিহার জেলে রাখলে সঞ্জীবের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। ২০১৮ সালে নিরাপত্তার ব্যাপারে চূড়ান্ত নিশ্চয়তার পরই হস্তান্তর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ।
ব্রিটেনের আদালতের নথিতে সঞ্জিব চাওলাকে দিল্লি বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে ১৯৯৬ সালে ব্যবসায়িক কাজে ভিসা নিয়ে তিনি সেদেশে যান। পরে ২০০০ সালে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়ে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।