This Article is From Sep 21, 2019

খুন হয়ে যেতে পারেন রাজীব কুমার! বিরোধী কংগ্রেস শিবিরে জোর গুঞ্জন

Saradha chit fund scam: রাজীব কুমার সারদা চিটফান্ড মামলায় সিবিআইয়ের সমনের জবাব দেননি। বর্তমানে তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে সিবিআই।

খুন হয়ে যেতে পারেন রাজীব কুমার! বিরোধী কংগ্রেস শিবিরে জোর গুঞ্জন

রাজীব কুমার সারদা চিটফান্ড মামলায় সিবিআইয়ের সমনের জবাব দেননি।

কলকাতা:

শনিবার পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের সভাপতি (West Bengal Congress President) সোমেন মিত্র (Somen Mitra) দাবি করেন, খুন হয়ে যেতে পারেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার (former Kolkata Police Commissioner) রাজীব কুমার (Rajeev Kumar)! সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে (Saradha chit fund scam) যাতে রাজ্যের শাসকদলের প্রভাবশালীদের নাম প্রকাশ্যে না আসে তাই যে কোনও মুহূর্তে নাকি পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে রাজীব কুমারকে, এমনটাই মনে করেন সোমেন মিত্র। রাজীব কুমার সারদা চিটফান্ড মামলায় সিবিআইয়ের সমনের জবাব দেননি। বর্তমানে তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে সিবিআই। উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা রাজীব কুমার বর্তমানে ফৌজদারি তদন্ত বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ তিনি লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ করেছে সিবিআই।

 রাজীবের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই, আগাম জামিনের শুনানি শনিবার

"এটা পুরোপুরি পরিষ্কার যে, যদি রাজীব কুমারকে সিবিআই গ্রেপ্তার করে এবং তিনি কথা বলেন, তবে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী মানুষ সমস্যায় পড়বেন। এই চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং মন্ত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। সে কারণেই তৃণমূল সরকার রাজীবকে রক্ষা করতে উঠে পড়ে লেগেছে। রাজীব কুমারকে জন্মের মতো চুপ করিয়ে দেওয়ার পথও নিতে পারে এঁরা,” বলেন সোমেন মিত্র। সোমেন মিত্র এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের সন্দেহ যে রাজীব কুমারকে খুন করা হতে পারে।”

সোমেন মিত্র আরও বলেন, “২০১৩ সালে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তের জন্য তৃণমূল সরকার গঠিত বিশেষ তদন্ত দলের (এসআইটি) নেতৃত্বে ছিলেন রাজীব কুমার। তবে ২০১৪ সালে সিবিআই তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পরে অভিযোগ উঠেছে যে, এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহায়তা করার জন্য রাজীব কুমার সারদা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ লোপাট করেছেন।”  সাধারণ মানুষের বিনিয়োগের উপর সুদের হারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সারদা গ্রুপের সংস্থাগুলি লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছ থেকে ২৫০০ কোটি টাকা তছরুপ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।

.