রাত পোহালেই সরস্বতী পুজো। ছোটবেলায় সরস্বতী পুজো মানেই ছিল ভোর বেলা উঠে স্নান সেরে শাড়ি-পাঞ্জাবি পরে বাড়িতে বা স্কুলে গিয়ে অঞ্জলি দেওয়া আর দুপুরে সকলে মিলে পাত পেড়ে খিচুড়ি, আলুর দম খাওয়া। তবে সরস্বতী পুজোর অন্যতম আকর্ষণ কিন্তু হাতেখড়ি। বিদ্যার দেবীর আরাধনা করে বাঙালি ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা শুরু করার রীতি আমাদের দেশে বহু প্রাচীনকাল থেকেই রয়েছে। বলা ভালো, বাঙালি মা বাবারা চিরকাল এই প্রথাই মেনে এসেছে। সরস্বতী পুজোয় সকালবেলা পুরোহিতের হাতেই সাধারণত হয়ে থাকে হাতেখড়ি। যার স্মৃতি বড় হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ হয়ে যায় মলিন। কিন্তু যে সব খুদেদের হাতেখড়ি হয়, তাদের হাতেখড়ি যদি কোনও তারকার হাত ধরে হয় তবে কেমন দাঁড়ায় ব্যাপারটা? বড় হওয়ার পর তারা পুরোনো সব ছবি দেখে বুঝতে পারবে বাংলা শিল্প-সাহিত্য জগতের কোনও গুণী মানুষ তার জীবনের এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ দিনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। মন্দ নয় ব্যাপারটা। আর সে কারণেই 'শব্দবাজি' এই বছর এনেছে এমনই এক প্রয়াস। তাদের ভাবনা ছিল কোনও বিশেষ বা কৃতি বাঙালির হাত ধরে ভবিষ্যতের বাঙালির হাতেখড়ি করিয়ে দেওয়া। তাই আগামী কাল সরস্বতী পুজোয় তারা নিয়ে এসেছে 'শব্দবাজি হাতেখড়ি উৎসব'।
আরও পড়ুনঃ কেন সবসময় বুকপকেটে গোলাপ রাখতেন জওহরলাল নেহেরু?
আগামীকাল গল্ফগ্রীন শারদোৎসব কমিটির সহযোগিতায় বিকেল ৪টে থেকে গল্ফগ্রীন ফেজ টু তে অনুষ্ঠিত হবে হাতেখড়ি অনুষ্ঠান। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এছাড়া প্রায় ১২০টি শিশুর হাতেখড়ি করবেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, পি. সি সরকার জুনিয়র, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভাস চক্রবর্তী ও সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
শব্দবাজির উদ্যোগে প্রথমবার হাতেখড়ি উৎসব আয়োজিত হতে চলেছে আগামীকাল। তারই পোস্টার।
শব্দবাজি যার মস্তিষ্কপ্রসূত, সেই আর জে রয় জানান, "শব্দবাজি হাতেখড়ি উৎসবের এটা প্রথম বছর। আশা করছি আগামী বছরগুলোতেও একে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।"
২-৪ বছর বয়সী যে সব শিশুদের এখনও হাতেখড়ি হয়নি তাদের হাতেখড়ি করানো হবে এই অনুষ্ঠানে। আপনার বাড়ির খুদেটির যদি এই বছর হাতেখড়ি করানোর কথা ভেবে থাকেন তাহলে দেরি না করে যোগাযোগ করুন শব্দবাজদের সঙ্গে আর পৌঁছে যান শব্দবাজি হাতেখড়ি উৎসবে।