হাইলাইটস
- আবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার
- সাত দিনের মধ্যে আগাম জামিনের করার সময়সীমা পেয়েছেন তিনি
- সেই সময়সীমা বাড়াতে চেয়েই আদালতের স্বারস্থ হয়েছেন তিনি
নিউ দিল্লি: আবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হলেন কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার (EX Top Cop Of Kolkata) । তাঁর গ্রেফতারির উপর থাকা রক্ষা কবচ তুলে নিয়েছে শীর্ষ আদালত। সাত দিনের মধ্যে আগাম জামিনের করার সময়সীমা পেয়েছেন তিনি। সেই সময়সীমা বাড়াতে চেয়েই আদালতের স্বারস্থ হয়েছেন তিনি। বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপধ্যায় এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার অবসরকালীন বেঞ্চে (Vacation Bench) তাঁর আইনজীবি বলেন আদালত সাত দিন সময় দিয়েছিল। তার মধ্যে চার দিন অতিক্রান্ত। কিন্তু কলকাতায় আইনজীবীরা ধর্মঘট করেছেন বলে ওখানকার আদালতে আবেদন করা যাচ্ছে না। তাই আগাম জামিনের জন্য আরও কিছুটা সময় দেওয়া হোক। দ্রুত শুনানির আবেদনও জানান তিনি। আইনজীবীর বক্তব্য শুনে দুই বিচারপতি বলেন, ওই রায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ দিয়েছিল তাই এভাবে শোনা যাবে না। পাশাপাশি রাজীবের আইনজীবীকে নিয়ম মেনে আদালতের রেজিস্ট্রারের কাছে মামলা নথিভুক্ত করাতে বলে আদলত।
বুথ ফেরত সমীক্ষার পরদিনই এক ধাক্কায় অনেকটা উঠল বাজার, ১০টি তথ্য
আগের দিন রায় ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে যে রক্ষা কবচ দেওয়া হয়েছিল তা তুলে নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সিবিআইকে আইন মেনে কাজ করার নির্দেশ দেয় আদালত। এবং রাজীবকে বলে আইনি ব্যবস্থা করতে সাত দিন সময় পাবেন তিনি। সেই সময়ের মধ্যে তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। এবার সময়সীমা বাড়াতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি। সারদা চিটফান্ড কাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ এনেছে সিবিআই। তাঁকে গ্রেফতার করতে চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই।
রাজীবকে মাথা করে সারদা মামলায় বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে রাজ্য সরকার। তখন বিধাননগর কমিশনারেটের কমিশনার ছিলেন রাজীব। পরে এই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করে তথ্য প্রমাণের সঙ্গে তথ্যপ্রমাণ বিকৃত করা হয়েছে । সিটের প্রধান হিসেবে রাজীবকে কাঠগড়ায় তোলে সিবিআই। তাঁকে জেরাও করতে চায়। কিন্তু বারবার জেরা এড়িয়ে যান রাজীব।
সন্ত্রাসের অভিযোগে আটটি লোকসভা কেন্দ্রের কয়েকটি বুথে পুননির্বাচনের দাবি জানাল বিজেপি
শেষমেশ বাড়ি গিয়ে তাঁকে জেলা করার পরিকল্পনা করে সিবিআই। তখন কলকাতার পুলিশ কমিশনার হিসেবে সরকারি বাসভবনেই থাকতেন রাজীব। সেখানে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা পৌঁছতেই পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নয়। কোনও অবস্থাতেই রাজীবের সঙ্গে সিবিআইয়ের আধিকারিকদের দেখা করতে দিতে রাজি হন না কলকাতা পুলিশের কর্মীরা। গোলমাল বাড়তে থাকায় সিবিআই আধিকারিকদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ শুরু করেন মমতা দীর্ঘ ৭০ ঘন্টা ধর্মতলায় অবস্থান করেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট জানায় রাজীবকে হাজিরা দিতে হবে। সেই মতো শিলংয়ে গিয়ে সিবিআইয়ের জেরার সম্মুখীন হন রাজীব। প্রায় ৬ দিন ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। আরও নানা ঘটনা ঘটতে থাকে একই সময়।