হাইলাইটস
- ঔষধ গুলি উৎপাদন, বিতরণ এবং বিক্রির ওপর প্রতিবন্ধকতা লাগানো হয়েছে
- মাথা ব্যথা, সর্দি, পেট খারাপ, পেটব্যথা প্রভৃতি কারণে সেবন করা হয়ে থাকে
- সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই নির্ণয়ের ভিত্তিতে আর্জি জানিয়েছিল
নিউ দিল্লি: স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রালয় জনস্বার্থের কথা মাথায় রেখে বুধবার 328 টি এফডিসি (ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন)-এর ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করলেন। এই ঔষধ গুলি উৎপাদন, বিতরণ এবং বিক্রির ওপর প্রতিবন্ধকতা লাগানো হয়েছে।এর মধ্যে এমন দুটি ঔষধ আছে, যেগুলি কোনো রকম প্রেসকিপশন ছাড়াই মানুষ ঔষধের দোকান থেকে কিনে নিয়ে আসে, এবং এর সেবন করে শীঘ্র আরাম পাওয়ার চেষ্টা করে। এর মধ্যে এমন কিছু ঔষধ আছে, যেগুলি মাথা ব্যথা, সর্দি, পেট খারাপ, পেটব্যথা প্রভৃতি কারণে সেবন করা হয়ে থাকে। মন্ত্রালয় শর্তসাপেক্ষ ভাবে ছয়টি এফডিসি-র উৎপাদন, বিক্রি ও বিতরণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা আরোপ করেছে।
এরআগে কেন্দ্র সরকার 2016 -এর মার্চ মাসে ঔষধ এবং প্রসাধন সামগ্রী অধিনিয়ম, 1940-এর ধারা 26এ অনুসারে জনস্বার্থের উদ্দেশ্যে 344 টি এফডিসি উৎপাদন, বিক্রি ও বিতরণের ক্ষেত্রে বাধা নিষেধ আরোপ করেছিলেন। যদিও এই উৎপাদন কম্পানি গুলি উচ্চ আদালত এবং সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই নির্ণয়ের ভিত্তিতে আর্জি জানিয়েছিল। 2017 সালের 15 ই ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা জারি করা নির্দেশ পালন করার জন্য ড্র্যাগ টেকনিক্যাল এডভাইজার বোর্ড দ্বারা এর অবকলন করা হয়েছিল। 1940 -এর ধারা 5 অনুসারে এই বোর্ডের গঠন করা হয়েছিল।
ঔষধ সম্পর্কিত রিপোর্ট বোর্ড কেন্দ্র সরকারের কাছে অর্পণ করেছিল। ড্র্যাগ টেকনিকাল এডভাইজার বোর্ড বিভিন্ন বিষয় ছাড়া একথাও জানিয়েছিল যে, 328 এফডিসি-তে যে সামগ্রীর ব্যবহার করা হয়, তার কোনো চিকিৎসকিয় ঔচিত্য নেই। সরকার স্যারিডন, ডিকোল্ড, জিন্তাপ, সুমো, জিরোডল, ফেনসিডিল, ভিক্স একশান 500, কোরেক্স, বেশ কিছু এন্টিবায়োটিক্স, পেন কিলারস, সুগার ও হৃদরোগের ঔষধ অন্তর্ভুক্ত আছে। এখনো কিছু এফডিসি ঔষধ বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে, মনে করা হচ্ছে এই গুলি বিক্রির ক্ষেত্রেও বাধা নিষেধ আরোপ করা হবে।
VIDEO: নার্সিং হোম গুলির ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ আরোপ হবে কি?
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)