Sarojini Naidu: ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৯ সালে হায়দরাবাদে জন্ম হয়েছিল রাজনীতিবিদ ও কবি সরোজিনীর
নিউ দিল্লি: এক কথায় ভারতের নাইটিঙ্গল নামে সকলেই তাঁকে জানে। সরোজিনী নাইডু (Sarojini Naidu) আজকের দিনে অর্থাৎ ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৯ সালে জন্ম নেন। হায়দরাবাদে জন্ম হয়েছিল রাজনীতিবিদ ও কবি সরোজিনীর। অনন্য প্রতিভার অধিকারী সরোজিনী মাত্র ১২ বছর বয়সে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় বসেন, এবং সেই পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অধিকার করেন। ১৬ বছর বয়সে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি লন্ডন চলে যান। লন্ডনের কিংস কলেজ এবং পরে কেমব্রিজের গিরটন কলেজে পড়াশোনা করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি কম বয়স থেকেই সরোজিনী নাইডু কবিতাও লিখতেন। ১৯১৪ সালে ইংল্যান্ডে তিনি প্রথম গান্ধীজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁর চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত হয়ে নিজের জীবন দেশের সেবায় উৎসর্গ করেন। সরোজিনী (Sarojini Naidu) গান্ধীজির বহু সত্যাগ্রহে অংশগ্রহণ করেছেন এবং আন্দোলনের মুখ হিসেবে তাঁকে জেলেও বন্দি করা হয়। স্বাধীনতার পরে উত্তরপ্রদেশ জেলার প্রথম মহিলা রাজ্যপাল ছিলেন তিনিই। আজ অসামান্য প্রতিভাশালী এই বিপ্লবী ও নেতা এবং কবি সরোজিনী নাইডুর জন্মজয়ন্তী।
খাবার পছন্দ না হওয়ার জন্য বিয়েবাড়ির অতিথিদের সঙ্গে মারামারি হোটেলকর্মীদের, দেখুন ভিডিও
সরোজিনী নাইডুর জীবনের ১০ টি বিশেষ তথ্য-
1. সরোজিনী নাইডুর রাজনৈতিক পরিচয় অনুযায়ী তিনি ছিলেন কংগ্রেসের প্রথম মহিলা। শুধু তাই নয়, তিনিই কোনও রাজ্যের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল ছিলেন। তিনি উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল ছিলেন।
2. সরোজিনী নাইডুর পিতা অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন একজন বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ। সরোজিনীর মা বরোদা সুন্দরী ছিলেন কবি, সেই যুগে বাংলা ভাষায় যে মহিলারা কবিতা লিখতেন তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য ছিলেন সরোজিনীর মা।
3. মাত্র ১৯ বছর বয়সে গোবিন্দারাজুলু নাইডুর সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় তাঁর।
4. কেবল রাজনীতি নয়, সরোজিনী নাইডু সাহিত্যের ক্ষেত্রেও তাঁর বিশেষ অবদান রেখেছেন। তাঁর মায়ের মতোই শৈশব থেকেই কবিতা লিখেতেন সরোজিনী। তাঁর প্রথম কবিতা সংগ্রহ ‘দ্য গোল্ডেন থ্রেসহোল্ড' প্রকাশিত হয় ১৯০৫ সালে।
5. লন্ডনের কিংস কলেজ এবং পরে কেমব্রিজের গিরটন কলেজে তিনি তাঁর উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করেন।
6. সরোজিনী নাইডু গান্ধীজির বহু সত্যাগ্রহে অংশগ্রহণ করেন এবং ১৯৪২ সালে ‘ভারত ছাড়ো' আন্দোলনে যোগ দিয়ে জেলেও যান তিনি।
7. সরোজিনী নাইডুর সঙ্গে সমাজের একেবারে মাটির স্তরের মানুষদের যোগাযোগ ছিল নিবিড়। বিপ্লবের মন্ত্র ছড়াতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন তিনি, কথা বলতেন সমস্ত মানুষের সঙ্গে এবং দেশবাসীদের নিজেদের কর্তব্যের কথা বারেবারে স্মরণ করাতেন।
আজ দিল্লির যন্তরমন্তরের সমাবেশে মমতা
8. সরোজিনী নাইডু বহুভাষাবিদ ছিলেন। নানা ক্ষেত্রেই প্রয়োজন ও পরিস্থিতি বুঝে ইংরেজি, হিন্দি, বাংলা অথবা গুজরাটি ভাষায় নিজের বক্তৃতা দিতেন তিনি। লন্ডনের সভায় ইংরেজিতে তাঁর বক্তৃতা শুনে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যান উপস্থিত শ্রোতামণ্ডলী।
9. সরোজিনী নাইডুকে ‘দ্য নাইটিঙ্গল অফ ইন্ডিয়া' নামেই ডাকা হয়।
10. ১৯৪৯ সালের ২ মার্চ'প্রয়াত হন সরোজিনী নাইডু।