ফিঙ্গার পয়েন্ট এলাকায় চিনা নির্মাণ স্থগিত করা হয়েছে। here for high resolution pic
নয়াদিল্লি: ইন্দো-চিন সীমান্তের বিতর্কিত ফিঙ্গার-৪ (Indo-China border) এলাকায় ক্রমশ হালকা হচ্ছে চিন সেনার উপস্থিতি। এনডিটিভি'র হাতে আসা ১০ জুলাইয়ের উপগ্রহ চিত্রে (Sattelite images of Finger-4 area) তেমন ছবি এসেছে। তবে, চিনা নির্মাণ, তাঁবু ও শেড এখনও ওই এলাকায় রয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ পুরোপুরি চিন সেনা ২ কিমি পিছনে সরেছে, এটা দাবি করা যাবে না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই খবর। চিনা হোভারক্রাফ্ট প্যাংগং লেক (Panggong lake) সংলগ্ন এলাকায় পড়ে রয়েছে। এমনকী, দশটি বড় মাপের নৌকাও ফিঙ্গার-৪ এলাকার পূর্ব প্রান্তে ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। তবে, সমঝোতা হয়েছে এলএসি বরাবর দু'কিমি পিছু হটবে দুই দেশের বাহিনী। ইন্দো-চিন সীমান্তের কয়েকটি বিতর্কিত জায়গায় সেই সমঝোতা সম্পন্ন করেছে দুই দেশের সামরিক বাহিনী। সামরিক ভাষায় যাকে ডিজএনগেেজমেন্ট বলে। জানা গিয়েছে, হটস্প্রিং ও গোগরা এলাকা থেকেও পিছু হটবে ইন্দো-চিন বাহিনী। প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার ৪ এলাকায় লাল ফৌজের গতিবিধি পরিলক্ষিত হয়েছিল। তাঁবু থেকে সামরিক সজ্জা সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে সে দেশের বাহিনী।
সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, এলএসি'র ডি-ফ্যাক্টো বর্ডার এলাকায় অবস্থান করছে লালফৌজ। সেখানেই তাঁদের অবস্থানের কথা। যে চারটি জায়গা থেকে বাহিনী সরাবে দুই বাহিনী, সেগুলো হলো লাদাখ গালওয়ান উপত্যকা, হটস্প্রিংস, গোগরা এবং প্যাংগংয়ের ফিঙার রিজিয়ন। হটস্প্রিংস আর গোগরায় আগামিকাল বাহিনী পর্বে ডিফ্যাক্টো বর্ডারের দিকে।
এদিকে উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, কিছু জায়গায় নির্মাণগুলি ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং জায়গাটি পরিষ্কার।এই এলাকাটি পেট্রোল পয়েন্ট ১৪ নম্বরে, যেখানে ১৫ জুন লাঠি, রড, পাথর নিয়ে সংঘর্ষ হয় ভারত ও চিনা সেনার। সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান নিহত হন। সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্তাদের ধারণা, ৪৫ জন চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কর্নেল পদ মর্যাদার এক আধিকারিকও রয়েছেন, যিনি সংঘর্ষে প্রাণ হারান।
প্যাংগং লেকের বিতর্কিত এলাকা।
সাম্প্রতিক আলোচনার পর, নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়, “রাষ্ট্রনেতাদের ঐক্যমতে পৌঁছানোর মত মেনে চলা হবে” এবং “সমস্যা তৈরি করে মতপার্থক্য রাখা হবে না”। এছাড়াও, বিবৃতি জানানো হয়, “দ্রুততার সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ডিসএগেজমেন্ট প্রক্রিয়া শেষ করতে সম্মত হয়েছে দুইপক্ষই”।
ভারতীয় ভূখণ্ড দখলে এখনও তৎপর লাল ফৌজ। উপগ্রহ চিত্রে তেমনটাই ইঙ্গিত।
সরকারি সূত্র NDTV কে জানিয়েছে, জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সমস্ত এলাকা থেকে চিনের সরে যাওয়া নিয়ে “সাবধানীভাবে আশাবাদী”, এবং দুই দেশের মধ্যে ওই সময়ের মধ্যে সেনাপর্যায়ের আরও উচ্চ-স্তরের বৈঠক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।