মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা মুখ খুললেন নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশে যা চলছে তা দুঃখজনক, বলেন মাইক্রোসফটের সিইও
- বাংলাদেশ থেকে কেউ ভারতে এলে আমার ভালোই লাগে, বলেন নাদেলা
- গুগল, ফেসবুক এবং আমাজনের ১৫০ জন কর্মীও খোলা চিঠি লেখেন এই প্রসঙ্গে
নয়া দিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে সারা দেশে যেভাবে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলছে তা দেখে অত্যন্ত মর্মাহত মাইক্রোসফটের প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক সত্য নাদেলা। তিনি বর্তমানে ভারতে যা পরিস্থিতি (CAA Protests) চলছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে নাদেলা বলেন, 'আমার মনে হয় যা ঘটছে তা দুঃখজনক। এটা অত্যন্ত খারাপ। আমি এমন একজন বাংলাদেশী অভিবাসীকে দেখতে চাই, যিনি ভারতে এসে এ দেশে বসবাস করে সক্রিয় অবদান রাখবেন এবং ইনফোসিসের পরবর্তী সিইও হয়ে উঠবেন'' । মাইক্রোসফটের সিইওর (Satya Nadella) বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ। এভাবেই দেশের আইটি সেক্টরের লোকদের এই আইনের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস দেখাতে হবে বলে জানান তিনি।
দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কেরালা
নাদেলা-র বক্তব্যকে সমর্থন করে রামচন্দ্র গুহ টুইটারে লেখেন, 'সত্য নাদেলা যা অনুভব করেছেন তা মুখে প্রকাশ করেছেন জেনে আমি আনন্দিত। আমি চাই যে আমাদের আইটি সেক্টরের মানুষজন তাদের মতামত প্রকাশ্যে আনার সাহস পান।' প্রসঙ্গত, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সরব রামচন্দ্র গুহ। সিএএ নিয়ে তিনি লাগাতার কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে যাচ্ছেন। তিনি এই আইনের প্রকাশ্যে বিরোধিতাও করেছেন। বেঙ্গালুরুতে সিএএর বিরুদ্ধে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য গত মাসে বেঙ্গালুরু পুলিশ গ্রেফতার করে ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহকে।
"যদি কোনও ঐক্য না থাকে...": নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা প্রসঙ্গে বললেন অমর্ত্য সেন
এর পাশাপাশি এই প্রথমবার গুগল, উবর, অ্যামাজন এবং ফেসবুকের মতো বড় সংস্থায় কর্মরত দেড় শতাধিক ভারতীয় বংশোদ্ভূত পেশাদাররা সিএএ এবং এনআরসির বিরুদ্ধে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। নিজেদের চিঠিতে তাঁরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ফ্যাসিবাদী হিসাবে উল্লেখ করেছেন। ওই চিঠির মাধ্যমে ওই পেশাদাররা সত্য নাদেলা, সুন্দর পিচাই এবং রিলায়েন্সের প্রধান মুকেশ আম্বানির মতো ব্যক্তিত্বদের কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের বিষয়ে প্রকাশ্যে নিন্দা করার অনুরোধ করেছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, 'সিএএ ২০১৯ এনআরসির সঙ্গে যৌথভাবে একটি মুসলিম বিরোধী পরিকল্পনা, যা এদেশে মুসলমানদের প্রতি বৈশ্বিক বৈষম্য সৃষ্টি করবে। এমনিতেই অর্থনৈতিক অবনতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভারতের পরিস্থিতি ক্রমশই আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।'
এ ছাড়া রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার দফতর থেকেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে 'মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক' বলে অভিহিত করেছে। মানবাধিকার দফতর তার বিবৃতিতে বলেছে যে এই আইন ভারতীয় সংবিধানে প্রদত্ত সাম্যের প্রতিশ্রুতির বিধানটির "অবমাননা" করেছে।