একে তো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লাগাতার ইরানকে দোষারোপ করে সে দেশে সামরিক অভিযান বাড়ানোর হুমকি, তার উপর আবার সৌদি আরবে (Saudi Arbia) দুটি তৈল উৎপাদন কেন্দ্রে হওয়া জোড়া ড্রোন হামলা (Saudi Aramco drone Attack), এর প্রভাব পড়ল বিশ্বব্যাপী তৈল উৎপাদনে। সোমবারই তেলের দাম বাড়ল (Oil pricies) ১০ শতাংশেরও বেশি। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট তেলের দাম ১০.৬৮ শতাংশ বাড়ানোয় এর দাম লাফিয়ে ৬০.৭১ ডলারে দাঁড়িয়েছে. ওদিকে ব্রেন্ট সংস্থায় তেলের দাম ১১.৭৭ শতাংশ বেড়ে ৬৭.৩১ এ দাঁড়িয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত তৈল উৎপাদনকারী সংস্থা আরামকোয় ড্রোন হামলার প্রভাবেই এশিয়ার বাজারে তেলের দামে এই প্রভাব পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই হামলার নেপথ্যে প্রতিবেশী ইয়েমেনের তেহরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের হাত রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এখানেই সৌদি নেতৃত্বাধীন একটি জোট পাঁচ বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়েছিল। এই হামলার জেরে সৌদি আরব বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের পরিমান ৬ শতাংশ বন্ধ করে দিয়েছে।
মোদীর অনুরোধে সৌদির জেলে থাকা ৮৫০ ভারতীয় বন্দিকে মুক্তির নির্দেশ দিলেন সলমন
সৌদি আরবে হওয়া এই ড্রোন হামলার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে দোষারোপ করে বলেন এ ব্যাপারে আমেরিকা চুপচাপ প্রয়োজনীয় সামরিক হামলা করতে চায়। যদিও হামলার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন সচিব মাইক পম্পিও বলেন, "শক্তি উৎপাদনকারী বাজারগুলিতে যাতে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে তা নিশ্চিত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অংশীদার এবং সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করবে এবং ইরান নিজেদের এই আগ্রাসনের বিষয়ে দায় এড়াতে পারে না"। যদিও তেহরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অভিনন্দনকে ছাড়তে কীভাবে পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে আমেরিকা এবং সৌদি আরব?
এই বছরের গোড়ার দিকেও তেলবাহী ট্যাঙ্কারগুলির উপর হামলার ঘটনায় মধ্য প্রাচ্যে ফের যুদ্ধের আশঙ্কা মাথা চাড়া দিয়েছে এই সংবাদটি আবারো জাগিয়েছে। ওই হামলার ঘটনাতেও ইরানকেই দোষারোপ করা হয়েছিল।
"মধ্য প্রাচ্যে উত্তেজনা দ্রুত বাড়ছে, এর ফলে সপ্তাহের শুরুতেই বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধিতে বড়সড় ধাক্কা লাগলেও চলতি সপ্তাহ জুড়েই তেলের দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে", বলেন ওয়ান্ডার অভিজ্ঞ বাজার বিশ্লেষক জেফ্রি হ্যালি ।