চিঠিতে তিনি লিখেছেন, "আজ আমি এই চিঠি লিখছি অত্যন্ত উদ্বেগের থেকে"
দেশকে বাঁচান। সোমবার এই আবেদন করে সব অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আর বিরোধী দলের নেতাদের চিঠি লিখলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সিএএ আর এনআরসি বিরুদ্ধে আন্দোলনে তিনি চরম পন্থা নিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জনসভায় তিনি নিয়ম করে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে তোপ দাগছেন। সেই বিরোধী আন্দোলনে অন্য দলের নেতা ও অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের সমর্থন পেতে তিনি এই চিঠি লেখেন বলে, তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর। তিনি চিঠিতে জানিয়েছেন, আসুন আমরা একসাথে বসে পরিকল্পনা করি। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আজ আমি এই চিঠি লিখছি অত্যন্ত উদ্বেগের থেকে। দেশজুড়ে যে প্রস্তাবিত এনআরসি এবং সিএএ লাগার কথা বলা হয়েছে, তাতে দেশের সব সম্প্রদায়, ধর্ম, জাতির মানুষ আতঙ্কিত। পুরুষ-মহিলা, ধনী-গরীব নির্বিশেষে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। খুব খারাপ সময় চলছে।
বৈঠকে গিয়ে যাদবপুরে কালো পতাকা দেখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়
তার আবেদন, "আমাদের উচিত এখন দানবীয় এই আইনের বিরোধিতা করতে সংঘবদ্ধ হওয়া। শান্তিপূর্ণ ও যুক্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রের এই অসৎ প্রয়াসকে আটকানো। তাই দেশের সব প্রবীণ রাজনীতিবিদদের কাছে আমার অনুরোধ আসুন আমরা এক হই এবং দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করি।" তিনি পৃথক ভাবে তিনটি চিঠি এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, কংগ্রেসের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আব্দুল্লাহকে চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, বিরোধী নেতাদের অশান্ত এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি চাইছে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে। এই প্রয়াস আটকাতে সব বিরোধীকে এক ছাতার তলায় আসার দরকার, মনে করেন তিনি।
সিএএ'র সমর্থনে নাড্ডার নেতৃত্বে কলকাতায় পদযাত্রা বিজেপির
এদিনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা জেপি নাড্ডা সিএএ'র সমর্থনে একটি মিছিল করেন। এই মিছিল থেকে তিনি অভিযোগ করেন মমতা ব্যানার্জী ইচ্ছাকৃত ভাবে সিএএ নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। তারপরেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠি তাৎপর্যপূর্ণ, দাবি তৃণমূল শিবিরের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গোটা দেশ থেকে সমর্থন আদায় করতে মরিয়া। এদিনের চিঠি তারই প্রমাণ বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)