This Article is From Jul 12, 2019

জল বাঁচাও দিবস পালন করল রাজ্য সরকার

প্রতি বছর ১২ জুলাই দিনটিতে তাঁর সরকার “জল বাঁচাও দিবস” (Save Water Day) পালন করবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

জল বাঁচাও দিবস পালন করল রাজ্য সরকার

জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি থেকে মেয়ো রোডে গান্ধিমূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত পদযাত্রা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।(ফাইল ছবি)

কলকাতা:

“জল বাঁচাও দিবস” (Save Water Day) পালন করল রাজ্য সরকার। শুক্রবার “জল বাঁচাও দিবস”-এ(Save Water Day) পথে নেমে জল বাঁচানোর বার্তা দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা বিশ্বে জল সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে, এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কাছে প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করার জন্য সাধারণ মানুষকে আবেদন করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তার জন্য “প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ” করারও আহ্বান জানালেন তিনি। জল সংরক্ষণের ওপর জোর দিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় জল সঙ্কট একটা বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা মনে করি, আমাদের জলের উৎসকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে”।

বৃষ্টির জল সংরক্ষণের ওপর এদিন জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী, পাশাপাশি প্রতি বছর ১২ জুলাই দিনটিতে তাঁর সরকার “জল বাঁচাও দিবস” (Save Water Day) পালন করবে বলে জানান তিনি। জল বাঁচাও দিবসে পালনে জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি থেকে মেয়ো রোডে গান্ধিমূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত পদযাত্রা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে পা মেলান মন্ত্রিসভার সদস্য, সরকারি আধিকারিক, লেখক, অভিনেতা থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী ও ক্রীড়াবিদরা। 

নীল রং-এর উত্তরীয় গায়ে দিয়ে এদিন সবাই পদযাত্রায় সামিল হন। উত্তরীয়-এ লেখা, “জল বাঁচাও, জীবন বাঁচাও”(Save Water, Save Life)। জল সংরক্ষণের আবেদন জানিয়ে এদিন প্লাকার্ডও ছিল তাঁদের হাতে।মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তেহারে ৫০,০০০ পুকুর খননের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, ২০১৬ পর্যন্ত ১.৫ লক্ষ পুকুর খনন করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের তরফে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সরকারের তরফে মানুষের কাছে এবং ব্যক্তিগত কাউকেও অনেক প্রতিশ্রুতিই দেওয়া হয়, কিন্তু অনেক প্রতিশ্রুতই রক্ষা হয় না। আমি প্রতিশ্রুতি পালন করি”। তিনি জানান, রাজ্য সরকারের তরফে “জল ধরো, জল ভরো”(Jal dharo Jal bharo) প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত তিন লক্ষ জলাধার খনন করা হয়েছে। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অনেক চেক ড্যাম তৈরি করা হয়েছে এবং অনেকগুলিকে সেচ দফতর সংস্কার করেছে, যেগুলির মাধ্যমে বর্ষায় যেমন বন্যা এড়ানো যায়, তেমনই শুখা মরশুমে জল সরবরাহও করা সম্ভব হয়। সমাজের সর্বস্তরে জল সংরক্ষণের প্রচারের জন্য একদিন “ছাত্র দিবস” পালন করা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)

.