নিউ দিল্লি: সারদা চিটফান্ড মামলায় সিবিআইয়ের কাজে বাধা দিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মামলা থেকে সরলেন এক বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির এই মামলাটি শোনার কথা ছিল কিন্তু তা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও। এই বেঞ্চে নাগেশ্বর এবং প্রধান বিচারপতি ছাড়াও ছিলেন সঞ্জীব খান্না। এ নিয়ে বুধবার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও বিচারপতি সরে যাওয়ায় পিছিয়ে গেল মামলা। এখন এই মামলার শুনানি হবে ২৭ তারিখ। তার আগে তৈরি হবে নতুন বেঞ্চ।
ব্যাপারটার সূত্রপাত এ মাসের তিন তারিখ। কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের সরকারি বাস ভবনে তাঁকে জেরা করতে যায় সিবিআই। সারদা তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার আগে ছিল রাজ্য পুলিশের সিটের হাতে। তারই প্রধান ছিলেন রাজীব। দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁকে জেরা করতে চেয়েছেন সিবিআই। কিন্ত তিনি যাননি বলে দাবি তদন্ত সংস্থার। এরপরই তাঁর বাড়ি যায় সিবিআই। আধিকারিকদের বাধা দেয় কলকাতা পুলিশ। সিবিআইয়ের আধিকারিকদের কোনও কথা বা শুনে তাঁদের আটক করে শেক্সপিয়ার সরণি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সিবিআইয়ের হানার প্রতিবাদ করে ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। শুনানির পর শীর্ষ আদালত জানায় জেরা এড়াতে পারবেন না রাজীব। তবে তাঁকে গ্রেফতারও করা যাবে না আপাতত। আদালতের নির্দেশ মেনে শিলঙে যায় দু'পক্ষই। টানা ছ'দিন জেরা সামলান রাজীব। এরপর কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি। এরই মধ্যে কমিশনারের পদ থেকে সরে যান তিনি। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারও একাধিকবার দাবি করেছে তদন্তে সাহায্য করছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং লোকসভায় জানান, সিবিআইয়ের আধিকারিকদের জোর করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কমিশনার তদন্তে সাহায্য করেনি। বারবার ডাকার পর পুলিশ কমিশনার হাজিরা দেননি। আইন কার্যকর করার দায়িত্ব যে সংস্থার হাতে থাকে তাকে ভালভাবে কাজ করতে না দেওয়া হলে সেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক বিষয়। এমন ঘটনার কথা আগে শোনা যায়নি। চিটফান্ড কাণ্ডে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়েছে। আর সিবিআই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই এই তদন্ত করছে। কিন্তু তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)