রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন করা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সম্মতি সুপ্রিম কোর্টের
নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court) অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিক( illegal Bangladesh nationals) ও রোহিঙ্গাদের( Rohingyas) মতো অনুপ্রবেশকারীদের সনাক্তকরণ ও তাঁদের দেশের বাইরে বিতাড়িত(deport) করার বিষয়ে একটি মামলার শুনানিতে সম্মতি দিয়েছে। ২০১৭ সালে বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়ের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি দীপক গুপ্তার নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার দ্রুত শুনানিতে রাজি হয়ে জানিয়েছে যে “আগামী ৯ জুলাই এই মামলাটির শুনানি হবে”। উপাধ্যায় তাঁর আবেদনে মায়ানমারের ৪০হাজার অবৈধ রোহিঙ্গা মুসলমানদের এদেশে বসবাসের কথা তুলে ধরে তাঁদের শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অবস্থানকেও সমর্থন করার কথা বলেছেন।
ওই আবেদনে কেন্দ্রীয় সরকার(Central Govt) ও রাজ্য সরকারগুলিকে এইসব অবৈধ বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা সহ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দেশ থেকে বিতাড়িত করার বিষয়ে শীর্ষ আদালতকে নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
“যেভাবে মায়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে বিরাট সংখ্যায় অনুপ্রবেশকারীরা এদেশে প্রবেশ করছে তাতে যে শুধু দেশের সীমান্ত এলাকার জনসংখ্যাগত কাঠামোর উপর আঘাত আসছে তা নয়, এর ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের জাতীয় সংহতি ও নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে”,ওই আবেদনে বলা হয় একথাও।ওই আবেদন এও অভিযোগ করা হয়েছে যে মায়ানমার থেকে এজেন্ট মারফৎ অবৈধভাবে রোহিঙ্গাদের(Rohingyas) পশ্চিমবঙ্গের বেনাপোল-হরিদাসপুর- এবং হিলি সীমান্ত,ত্রিপুরার সোনামোরা ও কলকাতা ও গুয়াহাটি দিয়ে এদেশে অনুপ্রবেশ করানো হয়েছে।
“এই পরিস্থিতিতে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে”, বলে অভিযোগ করা হয় শ্রী উপাধ্যায়ের ওই আবেদনে।
তবে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দুই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী মোহাম্মদ সালিমুল্লাহ এবং মোহাম্মদ শাকিরের আবেদন জমা পড়েছে এই মর্মে যে, রোহিঙ্গারা মায়ানমার থেকে পালিয়ে এসে রিফিউজি হিসাবে ভারতে আশ্রয় নেয়। কেননা মায়ানমারে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক বৈষম্য, সহিংসতা ও রক্তপাতের ঘটনা ঘটে চলেছিল।তাই সেখান থেকে পালিয়ে এসে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে তাঁরা।
যদিও আরএসএস তথা রাষ্ট্রীয় স্বভিমান আন্দোলনের নেতা কে এন গোবিন্দচার্যও রোহিঙ্গাদের দায়ের করা ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হস্তক্ষেপের আবেদন জানান শীর্ষ আদালতকে।তিনি ওই দুই রোহিঙ্গার আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন যে, রোহিঙ্গারা দেশের বোঝা এবং এরা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট বিপজ্জনক।