কলকাতা: কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে (Rajeev Kumar) নিয়ে নির্দেশ দিয়েছে দেশের সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court), বিজেপির সদর দফতর থেকে এই নির্দেশ আসে নি, এমনই বার্তা দিলেন আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। তিনি বলেন, “সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, বিজেপির সদর দফতর থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয় নি। আমি এটা বলছি, কারণ মুখ্যমন্ত্রী(মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)এর অভ্যাস অসাংবিধানিক মন্তব্য এবং অপমান করা”। বিজেপি নেতারা বলেন, তিনি শুধু মুখ্যমন্ত্রীকে ঘটনাটি জানিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আইন আইনের পথেই চলবে, এবং কোনও মন্তব্য করবেন না তিনি।
সিবিআইয়ের গ্রেফতারি এড়াতে সাত দিনে আবেদন করতে পারবেন কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাজীব
রাজীব কুমারের(Rajeev Kumar) পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাঁড়ানো নিয়ে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, “তিনি সবসময়ই অন্যরকম কাজ করেন এবং তাঁকে (রাজীব কুমার) সবচেয়ে ভাল পুলিশ আধিকারিক বলে মন্তব্য করেছেন”। তাঁর কথায়, “যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন এবং দোষীদের গ্রেফতার করা দরকার”। সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে প্রাক্তন কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে(Rajeev Kumar) নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) তারা তার আবেদন জানায়। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারবেন রাজীব কুমারকে।
Lok Sabha Election 2019: দেরিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাজে যোগ দিলেন রাজীব
গত ডিসেম্বরে কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের(Rajeev Kumar) বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। যদিও সিবিআই আধিকারিকদের থানায় নিয়ে গিয়ে আটক করে রাখে কলকাতা পুলিশ।পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ধর্মতলার ধরনায় বসে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনায় সমর্থন করেন আঞ্চলিক দলের বহু নেতা। কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে(Rajeev Kumar) শ্রেষ্ঠ অফিসার বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সারদাকাণ্ডের প্রথম তদন্ত শুরু করে রাজ্য সরকারের তৈরি করা সিট, যার দায়িত্বে ছিলেন খোদ রাজীব কুমার(Rajeev Kumar)।সিবিআইয়ের অভিযোগ, সারদাকাণ্ডের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট করে দিয়েছেন রাজীব কুমার। আর সেই কারণেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।