This Article is From May 07, 2018

আতঙ্কিত কলকাতাবাসী, কলকাতায় মৃত পশুর মাংস, গ্রেপ্তার 10

মাংস শব্দটি হঠাৎ করে কলকাতা বাসীর কাছে আতঙ্কজনক শব্দে পরিণত হয়েছে. প্রায় সারা কলকাতা জুড়ে  রেস্টুরেন্ট গুলিতে ধাবায় পরে থাকা মৃত পচা মাংস সাপ্লাই করা হোত

আতঙ্কিত কলকাতাবাসী, কলকাতায় মৃত পশুর মাংস, গ্রেপ্তার 10
Kolkata: মাংস শব্দটি হঠাৎ করে কলকাতাবাসীর কাছে আতঙ্কজনক শব্দে পরিণত হয়েছে. প্রায় সারা কলকাতা জুড়ে  রেস্টুরেন্ট গুলিতে ধাবায় পরে থাকা মৃত পচা মাংস সাপ্লাই করা হোত, এই খবর  ছড়িয়ে পড়ার পরে সমস্ত রেস্টুরেন্ট ও বাজারে মাংস বিক্রির হার কমে গেছে, মানুষ নিরামিষ খাদ্য ও মাছ খেয়েই দিন কাটাচ্ছে. 

প্রায় এক সপ্তাহ আগে লেকটাউনের কাছাকাছি অঞ্চল থেকে মুরগির মাংসের পাইকারি বিক্রেতা ধরা পড়ার আগেই গা -ঢাকা দিয়েছে. পুলিশ তার দোকানে গিয়ে ফ্রিজ থেকে পচা মুরগির মাংস উদ্ধার করেছে. কলকাতার রাস্তার ধরে যে মটন-বিরিয়ানি বা চিকেন রোল গুলি বিক্রি হয়, তা পচা মাংস থেকেই তৈরী হোত বলে অনুমান করা হচ্ছে.  

এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় 10 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে. দিল্লী চিকেন সেন্টার নামক একটা চিকেন শপে ছাপা মেরে পাঁচটা ফ্রিজ ভর্তি পচা মাংস পাওয়া গেছে এবং সেখানে সমস্ত অসুস্থ পাখিদের রাখা ছিল. 

70 কিলো পচা চিকেন সহ এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে দুইজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে. এরপর 24 পরগনা থেকে পচা মাংস সহ আরো দুজনকে হাতে না হাতে ধরা হয়. 20  টন মাংস পাওয়া গেছে রাজাবাজার নারকেলডাঙা কোল্ড স্টোরেজ থেকে. পুলিশ অফিসার কোটেশ্বর  রাও জানিয়েছেন যে, ''এই ঘটনায় বহু মানুষ যুক্ত আছে সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই.'' 

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ''যখনই কোনো মরা পশু ভাগাড়ে ফেলা হোত তখনই সেই দলের লোকেরা জায়গা মতো খবর পৌঁছে দিত, সেখান থেকে সেগুলিকে কোল্ড স্টোরেজে পৌঁছে দেওয়া হোত, প্রসেসিংয়ের পর সেগুলি বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে দেওয়া হোত.''      

এই ঘটনার আরো তথ্য পাওয়ার জন্য পুলিশ সাধ্য মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে. পরীক্ষা করে দেখার জন্য মাংসের নমুনা গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে. এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে তার জন্য কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশন যথাযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছে. 
.