ত্রাণশিবির থেকে বাড়ি এসে মানুষ দেখতে পাচ্ছে কত প্রিয় জিনিস ধ্বংস হয়ে গিয়েছে তাদের।
তরুবনন্তপুরম: দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার সার্টিফিকেটটিই ছিল 19 বছরের ছেলেটির সবেধন নীলমণি। কেরালার ভয়ঙ্কর বন্যায় ভেসে গেল সেই শংসাপত্র। হতাশায় আত্মহত্যা করল সেই ছেলেটি। জানাল পুলিশ। কেরালার কোঝিকোড় জেলার কারানথুরের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম কৈলাশ। গোটা এলাকা ও বাড়ি জলে ডুবে যাওয়ায় তার বাবা-মা’র সঙ্গে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল সে তিনদিন আগে।
কৈলাশ কয়েকদিন আগেই ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বা আইটিআইতে পড়ার সুযোগ পেয়েছিল। উচ্চশিক্ষার জন্য নতুন কয়েক সেট পোশাক এবং অর্থও গুছিয়ে রেখেছিল সে, জানায় পুলিশ।
বৃষ্টি একটু কমে আসার পর গতকাল রবিবার সে তার বাড়িতে ফিরে যায়। সেখানে গিয়ে হতবাক কৈলাশ আবিষ্কার করে বহু যত্নে গুছিয়ে রাখা দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পাস করার সার্টিফিকেটটি ভয়াল বন্যার জলে ভিজে সম্পূর্ণভাবে ছিঁড়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃষ্টি কমার কারণে তার বাবা-মা ত্রাণ শিবির থেকে খানিকটা পরেই তাদের ঘরদোর পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যে বাড়ি ফিরে এসে ছেলের মৃতদেহ দেখতে পান। ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল তার দেহ। জানায় পুলিশ।
তার হতভম্ব ও স্পষ্টতই বিধ্বস্ত বাবা পেশায় একজন শ্রমিক। নিজের সমস্তটা লাগিয়ে দিয়েছিলেন ছেলের পড়াশোনার পিছনে। স্বপ্ন ছিল, ছেলে বড় হলেই, নিজের পায়ে দাঁড়ালেই মিটে যাবে সব কষ্ট।
বন্যার করাল গ্রাসে ভেসে গেলে সেই স্বপ্নও।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)