অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। (প্রতীকী)
কলকাতার দুই ব্যবসায়ী পরিবারের তরুণকে (Scions Of Two Kolkata Business Families) যৌন নিগ্রহের (Sex Extortion) অপরাধে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুই ধৃতের বয়স কুড়ির ঘরে। ঘটনায় ওই দুই পরিবারের একটি পরিবারের রাঁধুনিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই তিনজনের বিরুদ্ধে একটি যৌন চক্র চালানোর অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মহিলাদের ঘনিষ্ঠ ও আপত্তিকর ছবি ফাঁস করার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করার। সব মিলিয়ে ১৮৭ জন মহিলার সঙ্গে এই আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে।২৮ জানুয়ারি তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে ওই দুই তরুণকে। এর ১০ দিন আগেই গ্রেফতার হয় ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রাঁধুনি।
জানা গিয়েছে, দুই তরুণের তরফে রাঁধুনি ওই মহিলাদের ফোন করে ব্ল্যাকমেল করত। তাঁদের ঘনিষ্ঠ ছবি ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে অর্থ দাবি করত।
"কোনও প্রমাণ নেই": CAA বিক্ষোভকারীদের জামিন, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে প্রথম অভিযোগ করেন এক তরুণী। গত নভেম্বরে তিনি পুলিশকে জানান, ছ'বছর আগে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক (দুই অভিযুক্তের মধ্যে একজন) তাঁর কয়েকটি ঘনিষ্ঠ ছবি তোলেন। হোয়াটসঅ্যাপে সেই ছবি দেখিয়ে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়।
Anti-CAA বনধ, সংঘর্ষে মুর্শিদাবাদে মৃত ২
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, যে নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কল করা হয়েছে তা ‘ভার্চুয়াল সিম নম্বর'। সাধারণ সিমের থেকে এই সিম আলাদা। এই সিমকে চিহ্নিত করা বেশি কঠিন।
পরে পুলিশের উপস্থিতিতে ওই তরুণী তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করে জানতে চান, সে কি ওই ছবি অন্য কাউকে দেখিয়েছে। জানায়, সে তা করেনি।
এরপর এই দুই অভিযুক্ত নিজেদের মধ্যে সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে কথা বলে, পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে গিয়েছে। তখন তাদের আর এক সঙ্গী ওই রাঁধুনিকে ও অপর পালাতে সাহায্য করে। কিন্তু পুলিশ একজনের ফোন সনাক্ত করে ফেলে, জানতে পারে এদের মধ্যে একজন ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে যাচ্ছে।
দেওঘর থেকে পুলিশ একটি হার্ড ডিস্ক পায়। সেই হার্ড ডিস্কে রয়েছে ১৮৭টি ফোল্ডার। প্রতিটি ফোল্ডার হয় এই দুই অভিযুক্তের প্রেমিকার নামে সেভ করা।
ধীরে ধীরে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয় পুলিশের কাছে। দুই তরুণই মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিত। আর সেই সুযোগে তাঁদের ঘনিষ্ঠ ভিডিও ও ছবি তুলে নিত। কখনও তাঁদের অনুমতিতে। বেশির ভাগ সময়ে তাঁদের অনুমতি ছাড়াই।