Gujarat Riots

গুজরাট হিংসা (2002 Gujarat Riots Case) নিয়ে জাকিয়া জাফরির (Zakia Jafri) আবেদনের শুনানির জন্য ১৪ এপ্রিল দিন ধার্য করল সুপ্রিম কোর্ট, এদিন আদালত মন্তব্য করে, বিষয়টি অনেকবার মুলতুবি হয়েছে এবং কোনও না কোনওদিন শুনতেই হবে। ২০০২ গুজরাট হিংসা নিয়ে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দল যে ক্লিনচিট দিয়েছিল, তাকেই চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেন মৃত সাংসদ এহসান জাফরির (Ehsan Jafri) স্ত্রী জাকিয়া জাফরি।

নিজেদের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না তারা, এই শর্তে ২০০২ সালে গুজরাট হিংসার (Gujarat Riots) মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১৪ জনকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি ওই ১৪ জনকে বিভিন্ন সামাজিক ও আধ্যাত্মিক কাজে অংশ নিতে হবে, এই নির্দেশও দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court)।

২০০২ সালে গুজরাটের সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় নিয়ে নানাবতী কমিশনের রিপোর্টে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে তৎকালীন রাজ্য সরকারকে ক্লিন চিট দেওয়া হল। পাশাপাশি সেই সময় জনগণকে নিয়ন্ত্রণে অপারগ হওয়ায় ও "প্রয়োজনীয় ভূমিকা" প্রদর্শন না করায় পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে কমিশন। নানাবতী কমিশন রিপোর্ট জমা দেওয়ার পাঁচ বছর পরে গুজরাট বিধানসভায় বুধবার পেশ করা হয় সেটি।

বিরোধী কংগ্রেস যদিও এই বিষয়টিকে বিজেপি সরকারের বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থ নির্মাণ বোর্ডের (ইউজিএনবি) গৈরিকীকরণের প্রয়াস বলেই মনে করছে। কংগ্রেস আরও জানিয়েছে যে, গোধরার ট্রেন পোড়ানোর ঘটনায় আদালতের রায়কে ‘ঘুরিয়ে' দেওয়ার জন্য তারা লেখকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও করবেন। ‘গুজরাট নি রাজকিয়া গাথা' (Political Saga of Gujarat) নামের এই বইটি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয় এবং বইটির সম্পাদনা করেছেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ এবং বোর্ডের বর্তমান ভাইস-চেয়ারপার্সন ভাবনাবেন দাভে।

শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশও দিয়েছে যে, বিলকিস বানোকে চাকরি ও বাসস্থানও দিতে হবে।

ধর্ষণের ঘটনায় ২০০৮ সালে ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। পাশাপাশি এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলায় অকারণ দেরি করার অভিযোগও আনেন বিলকিস। তাঁকে সাজা দেয় বম্বে হাইকোর্ট। 

তদন্তকারীদের দাবি, গোধরা ট্রেন জ্বালিয়ে ৫৯জন হিন্দু যাত্রীকে খুন করার ঘটনার প্রতিবাদে আমেদাবাদের নিকটবর্তী নারোদা পাটিয়াতে ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে প্রায় ৯৭ জন মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ খুন হন।

২০০২ সালের ঘটনার প্রেক্ষিতে কথা বলতে গিয়ে হামেশাই ১৯৮৪ সালের উল্লেখ করা হয়ে থাকে। আবার ১৯৮৪ সালের কথা বলতে গিয়ে আদালত ২০১৩ সালের মুজফফরনগরে হওয়া দাঙ্গার প্রসঙ্গ তুলে ফেলল। আমরা কেউ কখনও এই নিয়ে গলা ফাটাইনি। রায় বেরোনোর পর কেবল মনে হয়েছে কোথাও গিয়ে বোধহয় আমাদের এই অভাবিত মৌনতারও একটি প্রায়শ্চিত্ত হল।

আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হতে চলেছে। পিটিশন জমা দিয়েছিলেন গুজরাট দাঙ্গায় অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত জাকিয়া জাফরি। 

গুজরাট হিংসা (2002 Gujarat Riots Case) নিয়ে জাকিয়া জাফরির (Zakia Jafri) আবেদনের শুনানির জন্য ১৪ এপ্রিল দিন ধার্য করল সুপ্রিম কোর্ট, এদিন আদালত মন্তব্য করে, বিষয়টি অনেকবার মুলতুবি হয়েছে এবং কোনও না কোনওদিন শুনতেই হবে। ২০০২ গুজরাট হিংসা নিয়ে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দল যে ক্লিনচিট দিয়েছিল, তাকেই চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেন মৃত সাংসদ এহসান জাফরির (Ehsan Jafri) স্ত্রী জাকিয়া জাফরি।

নিজেদের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না তারা, এই শর্তে ২০০২ সালে গুজরাট হিংসার (Gujarat Riots) মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১৪ জনকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি ওই ১৪ জনকে বিভিন্ন সামাজিক ও আধ্যাত্মিক কাজে অংশ নিতে হবে, এই নির্দেশও দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court)।

২০০২ সালে গুজরাটের সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় নিয়ে নানাবতী কমিশনের রিপোর্টে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে তৎকালীন রাজ্য সরকারকে ক্লিন চিট দেওয়া হল। পাশাপাশি সেই সময় জনগণকে নিয়ন্ত্রণে অপারগ হওয়ায় ও "প্রয়োজনীয় ভূমিকা" প্রদর্শন না করায় পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে কমিশন। নানাবতী কমিশন রিপোর্ট জমা দেওয়ার পাঁচ বছর পরে গুজরাট বিধানসভায় বুধবার পেশ করা হয় সেটি।

বিরোধী কংগ্রেস যদিও এই বিষয়টিকে বিজেপি সরকারের বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থ নির্মাণ বোর্ডের (ইউজিএনবি) গৈরিকীকরণের প্রয়াস বলেই মনে করছে। কংগ্রেস আরও জানিয়েছে যে, গোধরার ট্রেন পোড়ানোর ঘটনায় আদালতের রায়কে ‘ঘুরিয়ে' দেওয়ার জন্য তারা লেখকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও করবেন। ‘গুজরাট নি রাজকিয়া গাথা' (Political Saga of Gujarat) নামের এই বইটি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয় এবং বইটির সম্পাদনা করেছেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ এবং বোর্ডের বর্তমান ভাইস-চেয়ারপার্সন ভাবনাবেন দাভে।

শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশও দিয়েছে যে, বিলকিস বানোকে চাকরি ও বাসস্থানও দিতে হবে।

ধর্ষণের ঘটনায় ২০০৮ সালে ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। পাশাপাশি এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলায় অকারণ দেরি করার অভিযোগও আনেন বিলকিস। তাঁকে সাজা দেয় বম্বে হাইকোর্ট। 

তদন্তকারীদের দাবি, গোধরা ট্রেন জ্বালিয়ে ৫৯জন হিন্দু যাত্রীকে খুন করার ঘটনার প্রতিবাদে আমেদাবাদের নিকটবর্তী নারোদা পাটিয়াতে ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে প্রায় ৯৭ জন মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ খুন হন।

২০০২ সালের ঘটনার প্রেক্ষিতে কথা বলতে গিয়ে হামেশাই ১৯৮৪ সালের উল্লেখ করা হয়ে থাকে। আবার ১৯৮৪ সালের কথা বলতে গিয়ে আদালত ২০১৩ সালের মুজফফরনগরে হওয়া দাঙ্গার প্রসঙ্গ তুলে ফেলল। আমরা কেউ কখনও এই নিয়ে গলা ফাটাইনি। রায় বেরোনোর পর কেবল মনে হয়েছে কোথাও গিয়ে বোধহয় আমাদের এই অভাবিত মৌনতারও একটি প্রায়শ্চিত্ত হল।

আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হতে চলেছে। পিটিশন জমা দিয়েছিলেন গুজরাট দাঙ্গায় অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত জাকিয়া জাফরি।