Kerala Rain

উত্তর ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।রবিবার প্রবল বৃষ্টির কারণে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও পাঞ্জাবে কমপক্ষে ২৮ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং ২২ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।রবিবারের বৃষ্টির জন্য শুধু হিমাচল প্রদেশে ২২ জন মারা গেছে এবং নয় জন আহত হয়েছে। আধিকারিকদের দেওয়া তথ্যানুসারে, সিমলায় ৯ জন এবং সোলানে ৫ জন মারা গেছে। এ ছাড়া কুলু, সিরমৌর ও চম্বায় ২ জন করে এবং ওনা ও লাহৌল-স্পিতি জেলায় একজন করে মারা যাওয়ার খবর আছে।অন্যদিকে, যমুনা ও অন্যান্য উপনদীতে জলের স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তর প্রদেশে বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দিল্লিতে বন্যার সম্ভাবনা দেখা যাওয়ার ফলে, সরকার রবিবার দেশের রাজধানীতে বন্যার সতর্কতা জারি করেছে। এর পাশাপাশি নিচু অঞ্চলে বসবাসরত লোকদের সেখান থেকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে।

দু’দিনের জন্য কেরলে গিয়েছেন রাহুল। তিনি নিজের লোকসভা এলাকার ত্রাণ শিবিরগুলিতে ঘুরে ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন।

সপ্তাহ খানেকের টানা বৃষ্টিতে ১০ অগাস্টারে  মধ্যে ভরে যায় কেরালার বড় বড় ৩৫টি রিজার্ভার। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয় রিজার্ভারের গেট খুলে দিতে। এতে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয় কেরালায়। 

শুধু তাই নয়  উদ্ধারের কাজ শুরু করার সময়ও তিনি জানতেন না কেমন আছে  তাঁর পরিবার। কিন্তু সেসব কিছুই তখন মাথায় আসেনি তাঁর। সব ভুলে কাজ করে গিয়েছেন। এখন অবশ্য পরিস্থিতি বদলেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়ে দিল কেরালাকে  যে  600  কোটি  টকা দেওয়া হয়েছে সেটা  প্রাথমিক সাহায্য। বিভিন্ন কাজ করতে অতিরিক্ত টাকা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।

কেরালার পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে।  হলফনামায় কেরালার দাবি বিপুল পরিমাণে জল ছাড়ায় লুদ্দিকি জলাধারের উপর চাপ বাড়তে থাকে। একটা সময় বাধ্য হয়ে ওই জলাধার থেকে জল ছাড়তে হয়।

ভয়াবহ বন্যার প্রথমদিন থেকেই নিজেদের নৌকা নিয়ে উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছিলেন তাঁরা।

কেরালার কোঝিকোড় জেলার কারানথুরের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম কৈলাশ। গোটা এলাকা ও বাড়ি জলে ডুবে যাওয়ায় তার বাবা-মা’র সঙ্গে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল সে তিনদিন আগে।

সরকারি হিসেব অনুযায়ী, প্রায় তিনশো মানুষ এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন কেরালার এই ভয়াবহ বন্যায়। ক্ষয়ক্ষতির মোট পরিমাণ 20 হাজার কোটি টাকারও বেশি।

আবহাওয়া দপ্তর বলেছে আজও কেরল জুড়ে বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। পাশাপাশি চলছে উদ্ধার কাজ। সেনা বাহিনীর জওয়ানরা উদ্ধার কাজে নেমেছেন। তবে এখনও বহু মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যায়নি। তাঁরা এখনও জলবন্দি। এ মাসের 8 তারিখ থেকে এখনও পর্যন্ত কমকরে 164 জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর গোটা বর্ষা মরসুম ধরলে সংখ্যাটা প্রায় তিনশো। রাজ্যের তিন হাজার ত্রাণ শিবিরে অংশ নিয়েছে প্রায় ছ’ লক্ষ মানুষ।

টানা বৃষ্টিতে কেরালারা স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত। নয় দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 324। আজও বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। বন্যা পরিস্থিতি দেখতে আজ সকালেই কোচি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আকাশপথে এলাকা পরিদর্শন করবেন তিনি।

কেরলের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে  আরও বেশি করে উদ্যোগ নিতে হবে। বেশি করে নিরাপত্তা বাহিনীর পাঠানোর কথাও বলেন কংগ্রেস সভাপতি।                                      

বৃষ্টি থামার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে গত 24 ঘণ্টায় কেরল জুড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দশগুণ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। আরও দু-একদিন এভাবেই বৃষ্টি হবে বলে খবর। মানে ‘ভগবানের আপন দেশ’ কেরলের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশাঙ্কা।

কেরলের পরিস্থিতি পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। গত পাঁচ দিন ধরে কেরল জুড়ে অতিবৃষ্টি শুরু হয়েছে। কোনও কোনও জায়গার পরিস্থিতি বন্যার মতো। জায়গায় জায়গায় নেমছে ধসও, এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে 37 জনের। রাজ্যের আটটি জেলায় জারি হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। প্রায় 60 হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর।

একই বাড়িতে মোহানানের উপরতলার ঘরে বসবাস করতেন একজন বয়স্ক দম্পতি, ভূমিধসে নিহত হয়েছেন তাঁরাও। কর্মকর্তারা ভারী বৃষ্টি আর বন্যার সতর্কবার্তা জারি করার পরেই ওই পরিবার পেরিয়ারের তীরে নিজের বাড়ি ছেড়ে এই ভাড়াবাড়িতে এসে ওঠেন

উত্তর ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।রবিবার প্রবল বৃষ্টির কারণে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও পাঞ্জাবে কমপক্ষে ২৮ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং ২২ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।রবিবারের বৃষ্টির জন্য শুধু হিমাচল প্রদেশে ২২ জন মারা গেছে এবং নয় জন আহত হয়েছে। আধিকারিকদের দেওয়া তথ্যানুসারে, সিমলায় ৯ জন এবং সোলানে ৫ জন মারা গেছে। এ ছাড়া কুলু, সিরমৌর ও চম্বায় ২ জন করে এবং ওনা ও লাহৌল-স্পিতি জেলায় একজন করে মারা যাওয়ার খবর আছে।অন্যদিকে, যমুনা ও অন্যান্য উপনদীতে জলের স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তর প্রদেশে বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দিল্লিতে বন্যার সম্ভাবনা দেখা যাওয়ার ফলে, সরকার রবিবার দেশের রাজধানীতে বন্যার সতর্কতা জারি করেছে। এর পাশাপাশি নিচু অঞ্চলে বসবাসরত লোকদের সেখান থেকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে।

দু’দিনের জন্য কেরলে গিয়েছেন রাহুল। তিনি নিজের লোকসভা এলাকার ত্রাণ শিবিরগুলিতে ঘুরে ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন।

সপ্তাহ খানেকের টানা বৃষ্টিতে ১০ অগাস্টারে  মধ্যে ভরে যায় কেরালার বড় বড় ৩৫টি রিজার্ভার। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয় রিজার্ভারের গেট খুলে দিতে। এতে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয় কেরালায়। 

শুধু তাই নয়  উদ্ধারের কাজ শুরু করার সময়ও তিনি জানতেন না কেমন আছে  তাঁর পরিবার। কিন্তু সেসব কিছুই তখন মাথায় আসেনি তাঁর। সব ভুলে কাজ করে গিয়েছেন। এখন অবশ্য পরিস্থিতি বদলেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়ে দিল কেরালাকে  যে  600  কোটি  টকা দেওয়া হয়েছে সেটা  প্রাথমিক সাহায্য। বিভিন্ন কাজ করতে অতিরিক্ত টাকা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।

কেরালার পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে।  হলফনামায় কেরালার দাবি বিপুল পরিমাণে জল ছাড়ায় লুদ্দিকি জলাধারের উপর চাপ বাড়তে থাকে। একটা সময় বাধ্য হয়ে ওই জলাধার থেকে জল ছাড়তে হয়।

ভয়াবহ বন্যার প্রথমদিন থেকেই নিজেদের নৌকা নিয়ে উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছিলেন তাঁরা।

কেরালার কোঝিকোড় জেলার কারানথুরের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম কৈলাশ। গোটা এলাকা ও বাড়ি জলে ডুবে যাওয়ায় তার বাবা-মা’র সঙ্গে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল সে তিনদিন আগে।

সরকারি হিসেব অনুযায়ী, প্রায় তিনশো মানুষ এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন কেরালার এই ভয়াবহ বন্যায়। ক্ষয়ক্ষতির মোট পরিমাণ 20 হাজার কোটি টাকারও বেশি।

আবহাওয়া দপ্তর বলেছে আজও কেরল জুড়ে বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। পাশাপাশি চলছে উদ্ধার কাজ। সেনা বাহিনীর জওয়ানরা উদ্ধার কাজে নেমেছেন। তবে এখনও বহু মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যায়নি। তাঁরা এখনও জলবন্দি। এ মাসের 8 তারিখ থেকে এখনও পর্যন্ত কমকরে 164 জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর গোটা বর্ষা মরসুম ধরলে সংখ্যাটা প্রায় তিনশো। রাজ্যের তিন হাজার ত্রাণ শিবিরে অংশ নিয়েছে প্রায় ছ’ লক্ষ মানুষ।

টানা বৃষ্টিতে কেরালারা স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত। নয় দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 324। আজও বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। বন্যা পরিস্থিতি দেখতে আজ সকালেই কোচি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আকাশপথে এলাকা পরিদর্শন করবেন তিনি।

কেরলের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে  আরও বেশি করে উদ্যোগ নিতে হবে। বেশি করে নিরাপত্তা বাহিনীর পাঠানোর কথাও বলেন কংগ্রেস সভাপতি।                                      

বৃষ্টি থামার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে গত 24 ঘণ্টায় কেরল জুড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দশগুণ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। আরও দু-একদিন এভাবেই বৃষ্টি হবে বলে খবর। মানে ‘ভগবানের আপন দেশ’ কেরলের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশাঙ্কা।

কেরলের পরিস্থিতি পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। গত পাঁচ দিন ধরে কেরল জুড়ে অতিবৃষ্টি শুরু হয়েছে। কোনও কোনও জায়গার পরিস্থিতি বন্যার মতো। জায়গায় জায়গায় নেমছে ধসও, এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে 37 জনের। রাজ্যের আটটি জেলায় জারি হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। প্রায় 60 হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর।

একই বাড়িতে মোহানানের উপরতলার ঘরে বসবাস করতেন একজন বয়স্ক দম্পতি, ভূমিধসে নিহত হয়েছেন তাঁরাও। কর্মকর্তারা ভারী বৃষ্টি আর বন্যার সতর্কবার্তা জারি করার পরেই ওই পরিবার পেরিয়ারের তীরে নিজের বাড়ি ছেড়ে এই ভাড়াবাড়িতে এসে ওঠেন