Nrc

নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে ফের উত্তপ্ত দিল্লি। গত ৩ দিনে আইন-পন্থী ও বিরোধীদের সংঘর্ষে (Delhi violence) মৃত ৭ জন। মৃতদের মধ্যে দিল্লি পুলিশের কনস্টেবল রতন লালও আছেন। এবার এই সংঘর্ষের ঘটনায় সরব হল বলিউড।

অসমে চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণ (NRC) তালিকা প্রকাশের মাস ছয়েক পর ফের একবার ওই তালিকা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হল। এনআরসি তালিকা থেকে বিদেশি সন্দেহে থাকা মানুষজনের বিস্তারিত বিবরণ খতিয়ে দেখার লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রক্রিয়া চালানো হবে বলে খবর। ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চলেছেন। এনআরসি (Assam NRC) সংক্রান্ত কাজ পরিচালনা করার জন্যে নতুন কো-অর্ডিনেটর হীরেশ দেবশর্মা অসমের ৩৩ টি জেলার শাসককে এনআরসিতে তালিকায় থাকা সন্দেহযোগ্য "অযোগ্য ব্যক্তিদের" বিশদ বিবরণ দেওয়ার জন্যে নির্দেশ দিয়েছেন। এনআরসি-র কাজের সঙ্গে যুক্ত একজন শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপটি চূড়ান্ত এনআরসির (National Register of Citizens) একটি অংশ যেখানে কোনও "অযোগ্য" ব্যক্তিকে নাগরিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

উদ্ধব ঠাকরে বলেন, "আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এনআরসি'র মাধ্যমে দেশব্যাপী নাগরিকত্ব প্রমাণের প্রক্রিয়া চালু করা হবে না। তাই সিএএ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।"

‘আমসু’র শীর্ষস্থানীয় নেতা বলছেন, ‘‘যাঁরা বাদ পড়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই দরিদ্র মানুষ। তাঁরা জানেন না কী করতে হবে। আইনজীবীরা ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা চাইছেন।’’

জীবন যুদ্ধে বহুদিন ধরেই যুঝছেন অসমের বক্সা জেলার বাসিন্দা জাবেদা বেগম, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর স্বামী রেজ্জাক আলি অসুস্থ অবস্থায় ঘরে পড়ে রয়েছেন, ফলে সংসার চালাতে উপার্জন করতে এখন বেরোতে হচ্ছে বছর পঞ্চাশের ওই মহিলাকেই। তবু প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু মরার উপর খাঁড়ার ঘা পড়ল তখনই যখন তিনি জানতে পারলেন জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তালিকায় (NRC) তিনি নাকি বিদেশি ঘোষিত হয়েছেন। না, তারপরেও দমে যাননি তিনি। নিজের এবং নিজের পরিবারের নাগরিকত্ব প্রমাণ (Assam NRC) করার প্রয়োজনে জাবেদা বেগম দ্বারস্থ হয়েছিলেন গুয়াহাটি হাইকোর্টের, কিন্তু সেখানেও মামলা  হেরে গেলেন তিনি। অসমের (Assam) বিদেশি ট্রাইব্যুনাল তাঁকে বিদেশি আখ্যা দিয়েছে, নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হলে তাঁর এখন একমাত্র অবলম্বন সুপ্রিম কোর্ট। 

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (CAA) এবং জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী (NPR) নিয়ে মহারাষ্ট্রের শাসক জোটের পক্ষে তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার শিবসেনার তরফে বিতর্কিত এই আইনটি, এবং এনপিআর কে সমর্থনের কথা জানানো হয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কোনও বিপদ নেই এবং সেরাজ্যে এনপিআর আটকাবেন না তিনি। মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে কংগ্রেস, শিবসেনা এবং এনসিপির মতো আদর্শগতভাবে ভিন্ন দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন শরদ পাওয়ার। এদিন শিবসেনার অবস্থান খারিজ করে দিয়েছেন তিনি, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে সহমতে পৌঁছানো হবে বলে জানিয়েছেন শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) ।

জমির রাজস্বের রসিদ, ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট কিংবা প্যান কার্ড— কোনওটাই নাগরিকত্ব্রের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এদিন গুয়াহাটি হাইকোর্ট একথা জানিয়েছে। এদিন ‘বিদেশি’ ক্যাটিগরিতে থাকা এক মহিলার আবেদনকে প্রত্যাখ্যান করে একথা জানায় আদালত। যদিও অসমে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরির সময় নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে জমি ও ব্যাঙ্কের কাগজপত্রের নথি গ্রহণ করা হয়েছিল। অন্তত ১৯ লক্ষ মানুষ নিজেকে নাগরিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছেন। গত আগস্টে প্রকাশিত তালিকায় তাঁদের নাম বাদ পড়েছে। অসংখ্য ট্রাইবুন্যালে চলছে শুনানি। তবে ট্রাইবুন্যালে প্রত্যাখ্যাত হলেও সুযোগ থাকছে হাইকোর্ট, এমনকী সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ারও। সরকার জানিয়েছে, সমস্ত আইনি সুযোগ না নেওয়া পর্যন্ত কাউকে ডিটেনশন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে না। 

নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (NRC) এবং জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীর (NPR) বিরুদ্ধে “মিথ্য এবং উদ্দ্যেশ প্রণোদিত” প্রচার চলছে দেশের ক্ষতি করার জন্য, সোমবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে (Ram Nath Kovind) চিঠি দিয়ে এমনটাই জানালেন প্রাক্তন বিচারপতি, আমলা, সেনা আধিকারিক এবং শিক্ষাবিদ সহ মোট ১৫০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। চিঠিতে, গুরুত্ব দিয়ে নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Amendment Act) বিরুদ্ধে চলতে থাকা বিক্ষোভকে দেখার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, এবং দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করা এবং এর পিছনে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

এক ম্যাগসাইসাই পুরস্কার বিজয়ী সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করল লখনউ পুলিশ। সোমবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরোধিতায় এক প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ওই সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।  

ফের সংশোধিত নাগরিক আইন বা সিএএ (CAA), এনআরসি এবং এনপিআর-এর বিরোধিতা করে পথে নামল মুম্বই (Mumbai)। শহরের ঐতিহাসিক আজাদ ময়দানে (Azad Maidan) প্রায় কয়েক হাজার প্রতিবাদীর জমায়েত হয়েছিল। সেই তালিকায় শনিবার মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতোন। এদিনের প্রতিবাদ সভা থেকে উর্দু কবি (Urdu Poet's Poem) ফইয়াজ আহমেদের কবিতা "হাম দেখেঙ্গে" উদ্ধৃত করে স্লোগান তোলা হয়।

অসমে এনআরসি বা নাগরিক তালিকা (NRC) থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, গায়েব হয়ে যাচ্ছে এনআরসি (National Register of Citizens) সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ইমেল, আর তাতেই নড়েচড়ে বসেছেন সে রাজ্যের সরকারি আধিকারিকরা। "ইচ্ছাকৃতভাবেই গায়েব করা হচ্ছে" ওই সব তথ্য, এমনটাই মনে করছেন এনআরসির (Assam NRC) কাজের সঙ্গে জড়িত কর্তারা। একটি সূত্র NDTV-কে জানিয়েছে ওই ঘটনায় কেন্দ্রকে তদন্ত করার অনুরোধ করা হয়েছে অসমের পক্ষ থেকে।

জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (NRC), বা নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (CAA) নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রীতিমতো খড়গস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । বুধবার তিনি একধাপ এগিয়ে অভিযোগ করলেন, এ রাজ্যের রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিসগুলিকে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জী এবং জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীকে “এগিয়ে দিতে” নথি জোগাড়ের “কাজে লাগানো” হচ্ছে।

Assam NRC: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অবশ্য জানিয়েছে যে, এনআরসির তথ্য নিরাপদেই আছে! “ক্লাউড ভিজিবিলিটি’র ক্ষেত্রে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা” দেখা দিয়েছে বলেই এই বিপত্তি। "বিপুল পরিমাণ এই তথ্যের জন্য ক্লাউড পরিষেবা সরবরাহ করেছিল উইপ্রো এবং তাদের চুক্তি ছিল গত বছরের ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। তবে এই চুক্তি পূর্বের সহ-সমন্বয়কারী (প্রতীক হাজেলা) পুনর্নবীকরণ করেননি। সুতরাং, ১৫ ডিসেম্বর থেকে সব তথ্য অফলাইন হয়ে গেছে উইপ্রোর নিয়মে। আমি ২৪ ডিসেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেছি,” এনআরসির রাজ্য সমন্বয়ক হিতেশ দেবশর্মা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন।

একটি সরকারি রাস্তার উপর এভাবে অনির্দিষ্টকাল ধরে বিক্ষোভ চলতে পারে না, শাহিনবাগ (Shaheen Bagh) নিয়ে কেন্দ্র ও দিল্লি পুলিশকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

কলকাতা বইমেলায় (Kolkata Book Fair) বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার উপস্থিতি ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। তাঁকে (BJP Leader Rahul Sinha) ঘিরে ধরে মেলা প্রাঙ্গণে উপস্থিত বামপন্থীকর্মীরা নাগরিকত্ব আইন বিরোধী (Anti-CAA Slogan) স্লোগান তোলেন।বেঁধে যায় সংঘর্ষ। শুরু হয়ে যায় দু'পক্ষের (Suffle Between BJP and Protestors) হাতাহাতি ও ঘুসোঘুসি।

নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে ফের উত্তপ্ত দিল্লি। গত ৩ দিনে আইন-পন্থী ও বিরোধীদের সংঘর্ষে (Delhi violence) মৃত ৭ জন। মৃতদের মধ্যে দিল্লি পুলিশের কনস্টেবল রতন লালও আছেন। এবার এই সংঘর্ষের ঘটনায় সরব হল বলিউড।

অসমে চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণ (NRC) তালিকা প্রকাশের মাস ছয়েক পর ফের একবার ওই তালিকা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হল। এনআরসি তালিকা থেকে বিদেশি সন্দেহে থাকা মানুষজনের বিস্তারিত বিবরণ খতিয়ে দেখার লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রক্রিয়া চালানো হবে বলে খবর। ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চলেছেন। এনআরসি (Assam NRC) সংক্রান্ত কাজ পরিচালনা করার জন্যে নতুন কো-অর্ডিনেটর হীরেশ দেবশর্মা অসমের ৩৩ টি জেলার শাসককে এনআরসিতে তালিকায় থাকা সন্দেহযোগ্য "অযোগ্য ব্যক্তিদের" বিশদ বিবরণ দেওয়ার জন্যে নির্দেশ দিয়েছেন। এনআরসি-র কাজের সঙ্গে যুক্ত একজন শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপটি চূড়ান্ত এনআরসির (National Register of Citizens) একটি অংশ যেখানে কোনও "অযোগ্য" ব্যক্তিকে নাগরিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

উদ্ধব ঠাকরে বলেন, "আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এনআরসি'র মাধ্যমে দেশব্যাপী নাগরিকত্ব প্রমাণের প্রক্রিয়া চালু করা হবে না। তাই সিএএ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।"

‘আমসু’র শীর্ষস্থানীয় নেতা বলছেন, ‘‘যাঁরা বাদ পড়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই দরিদ্র মানুষ। তাঁরা জানেন না কী করতে হবে। আইনজীবীরা ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা চাইছেন।’’

জীবন যুদ্ধে বহুদিন ধরেই যুঝছেন অসমের বক্সা জেলার বাসিন্দা জাবেদা বেগম, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর স্বামী রেজ্জাক আলি অসুস্থ অবস্থায় ঘরে পড়ে রয়েছেন, ফলে সংসার চালাতে উপার্জন করতে এখন বেরোতে হচ্ছে বছর পঞ্চাশের ওই মহিলাকেই। তবু প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু মরার উপর খাঁড়ার ঘা পড়ল তখনই যখন তিনি জানতে পারলেন জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তালিকায় (NRC) তিনি নাকি বিদেশি ঘোষিত হয়েছেন। না, তারপরেও দমে যাননি তিনি। নিজের এবং নিজের পরিবারের নাগরিকত্ব প্রমাণ (Assam NRC) করার প্রয়োজনে জাবেদা বেগম দ্বারস্থ হয়েছিলেন গুয়াহাটি হাইকোর্টের, কিন্তু সেখানেও মামলা  হেরে গেলেন তিনি। অসমের (Assam) বিদেশি ট্রাইব্যুনাল তাঁকে বিদেশি আখ্যা দিয়েছে, নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হলে তাঁর এখন একমাত্র অবলম্বন সুপ্রিম কোর্ট। 

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (CAA) এবং জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী (NPR) নিয়ে মহারাষ্ট্রের শাসক জোটের পক্ষে তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার শিবসেনার তরফে বিতর্কিত এই আইনটি, এবং এনপিআর কে সমর্থনের কথা জানানো হয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কোনও বিপদ নেই এবং সেরাজ্যে এনপিআর আটকাবেন না তিনি। মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে কংগ্রেস, শিবসেনা এবং এনসিপির মতো আদর্শগতভাবে ভিন্ন দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন শরদ পাওয়ার। এদিন শিবসেনার অবস্থান খারিজ করে দিয়েছেন তিনি, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে সহমতে পৌঁছানো হবে বলে জানিয়েছেন শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) ।

জমির রাজস্বের রসিদ, ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট কিংবা প্যান কার্ড— কোনওটাই নাগরিকত্ব্রের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এদিন গুয়াহাটি হাইকোর্ট একথা জানিয়েছে। এদিন ‘বিদেশি’ ক্যাটিগরিতে থাকা এক মহিলার আবেদনকে প্রত্যাখ্যান করে একথা জানায় আদালত। যদিও অসমে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরির সময় নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে জমি ও ব্যাঙ্কের কাগজপত্রের নথি গ্রহণ করা হয়েছিল। অন্তত ১৯ লক্ষ মানুষ নিজেকে নাগরিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছেন। গত আগস্টে প্রকাশিত তালিকায় তাঁদের নাম বাদ পড়েছে। অসংখ্য ট্রাইবুন্যালে চলছে শুনানি। তবে ট্রাইবুন্যালে প্রত্যাখ্যাত হলেও সুযোগ থাকছে হাইকোর্ট, এমনকী সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ারও। সরকার জানিয়েছে, সমস্ত আইনি সুযোগ না নেওয়া পর্যন্ত কাউকে ডিটেনশন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে না। 

নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (NRC) এবং জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীর (NPR) বিরুদ্ধে “মিথ্য এবং উদ্দ্যেশ প্রণোদিত” প্রচার চলছে দেশের ক্ষতি করার জন্য, সোমবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে (Ram Nath Kovind) চিঠি দিয়ে এমনটাই জানালেন প্রাক্তন বিচারপতি, আমলা, সেনা আধিকারিক এবং শিক্ষাবিদ সহ মোট ১৫০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। চিঠিতে, গুরুত্ব দিয়ে নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Amendment Act) বিরুদ্ধে চলতে থাকা বিক্ষোভকে দেখার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, এবং দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করা এবং এর পিছনে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

এক ম্যাগসাইসাই পুরস্কার বিজয়ী সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করল লখনউ পুলিশ। সোমবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরোধিতায় এক প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ওই সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।  

ফের সংশোধিত নাগরিক আইন বা সিএএ (CAA), এনআরসি এবং এনপিআর-এর বিরোধিতা করে পথে নামল মুম্বই (Mumbai)। শহরের ঐতিহাসিক আজাদ ময়দানে (Azad Maidan) প্রায় কয়েক হাজার প্রতিবাদীর জমায়েত হয়েছিল। সেই তালিকায় শনিবার মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতোন। এদিনের প্রতিবাদ সভা থেকে উর্দু কবি (Urdu Poet's Poem) ফইয়াজ আহমেদের কবিতা "হাম দেখেঙ্গে" উদ্ধৃত করে স্লোগান তোলা হয়।

অসমে এনআরসি বা নাগরিক তালিকা (NRC) থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, গায়েব হয়ে যাচ্ছে এনআরসি (National Register of Citizens) সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ইমেল, আর তাতেই নড়েচড়ে বসেছেন সে রাজ্যের সরকারি আধিকারিকরা। "ইচ্ছাকৃতভাবেই গায়েব করা হচ্ছে" ওই সব তথ্য, এমনটাই মনে করছেন এনআরসির (Assam NRC) কাজের সঙ্গে জড়িত কর্তারা। একটি সূত্র NDTV-কে জানিয়েছে ওই ঘটনায় কেন্দ্রকে তদন্ত করার অনুরোধ করা হয়েছে অসমের পক্ষ থেকে।

জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (NRC), বা নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (CAA) নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রীতিমতো খড়গস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । বুধবার তিনি একধাপ এগিয়ে অভিযোগ করলেন, এ রাজ্যের রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিসগুলিকে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জী এবং জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীকে “এগিয়ে দিতে” নথি জোগাড়ের “কাজে লাগানো” হচ্ছে।

Assam NRC: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অবশ্য জানিয়েছে যে, এনআরসির তথ্য নিরাপদেই আছে! “ক্লাউড ভিজিবিলিটি’র ক্ষেত্রে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা” দেখা দিয়েছে বলেই এই বিপত্তি। "বিপুল পরিমাণ এই তথ্যের জন্য ক্লাউড পরিষেবা সরবরাহ করেছিল উইপ্রো এবং তাদের চুক্তি ছিল গত বছরের ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। তবে এই চুক্তি পূর্বের সহ-সমন্বয়কারী (প্রতীক হাজেলা) পুনর্নবীকরণ করেননি। সুতরাং, ১৫ ডিসেম্বর থেকে সব তথ্য অফলাইন হয়ে গেছে উইপ্রোর নিয়মে। আমি ২৪ ডিসেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেছি,” এনআরসির রাজ্য সমন্বয়ক হিতেশ দেবশর্মা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন।

একটি সরকারি রাস্তার উপর এভাবে অনির্দিষ্টকাল ধরে বিক্ষোভ চলতে পারে না, শাহিনবাগ (Shaheen Bagh) নিয়ে কেন্দ্র ও দিল্লি পুলিশকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

কলকাতা বইমেলায় (Kolkata Book Fair) বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার উপস্থিতি ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। তাঁকে (BJP Leader Rahul Sinha) ঘিরে ধরে মেলা প্রাঙ্গণে উপস্থিত বামপন্থীকর্মীরা নাগরিকত্ব আইন বিরোধী (Anti-CAA Slogan) স্লোগান তোলেন।বেঁধে যায় সংঘর্ষ। শুরু হয়ে যায় দু'পক্ষের (Suffle Between BJP and Protestors) হাতাহাতি ও ঘুসোঘুসি।