Presidency University Kolkata

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Presidency University) স্নাতক স্তরে পাঠরত এক দরিদ্র ছাত্রকে সেখানকার হিন্দু হস্টেল (Kolkata) ছেড়ে দেওয়ার জন্যে চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। জনি বিশ্বাস নামে ওই ছাত্র এমনিতে সহায় সম্বলহীন কেননা তাঁর বাবা বহু বছর আগেই দ্বিতীয় বিয়ে করে ছেলে ও স্ত্রীকে ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যান। তারপর তাঁর মা-ও বাংলাদেশে চলে যান। বাংলা দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্র জানিয়েছেন যে তাঁকে যদি এখন ছাত্রাবাস ছেড়ে দিতে হয় তবে হয় তাঁকে ফুটপাতে আশ্রয় নিতে হবে, নয়তো আত্মহত্যা করতে হবে।

এদিকে, চলতি মাসের প্রথমে প্রায় একদিন পথ অবরোধে সামিল হয়েছিলেন পড়ুয়ারা। সেই প্রতিবাদের নিন্দা করে উপাচার্য বলেছিলেন, পথ অবরোধ তুললে আমি আলোচনায় বসতে পারি। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, হিন্দু হস্টেলের জীর্ণ তিনটি ওয়ার্ডের সংস্কারের ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে নেই। এটা পূর্ত দফতরের কাজ। অপরদিকে, কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে চলা লাগাতার আন্দোলনে বিরক্ত উপাচার্য গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজারহাট ক্যাম্পাসেই বসছেন বলে খবর। 

হিন্দু হস্টেলের (Hindu Hostel) এক এবং দু’নম্বর ওয়ার্ড খুললেও এখনও খোলেনি তিন, চার এবং পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড। অবিলম্বে ওই তিনটি ওয়ার্ড সংস্কারে হাত দিতে হবে, এই দাবি-সহ আরও বেশ কয়েকটি দাবিতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনকে ঘেরাও করে রেখেছিলেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। টানা ৬ দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে (Presidency University) নিজের কার্যালয়েই আটকে ছিলেন ডিন অরুণকুমার মাইতি। ফলে বুধবার তাঁর কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত পড়ুয়ারা ঘুমিয়ে পড়ার সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চুপিসাড়ে পালাতে হল তাঁকে। ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টে থেকে একটানা নিজের কার্যালয়ে আটক অবস্থায় ছিলেন তিনি।

সোমবার বেলা ২টো থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা, প্রায় ১৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ (Gherao) ছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Presidency University's Vice Chancellor)। এদিন সকালে পড়ুয়াদের খানিকটা 'বোকা বানিয়ে' পাশের দরজা দিয়ে বেরিয়ে ঘেরাও মুক্ত হন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া (Anuradha Lohia)।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়াকে ঘেরাও করে রেখে তাঁরই কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সেখানকার পড়ুয়ারা, এর ফলে ফের উত্তপ্ত হয়েছে সেখানকার পরিস্থিতি। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Presidency University) ছাত্রাবাসের শিক্ষাকর্মীদের ফিরিয়ে আনতে হবে এবং ক্যাম্পাসে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে হবে, পাশাপাশি ছাত্রাবাসের মেরামতির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে, এই রকম কয়েক দফা দাবি নিয়ে উপাচার্যকে (Anuradha Lohia) ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা।

মঙ্গলবার কলেজ স্ট্রিটে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে শুরু করে চার কিলোমিটার দূরে শ্যামবাজার পর্যন্ত যায় ওই মিছিল। 

শুধুই শিক্ষার্থীরা নন। এদিন প্রতিবাদী সমাবেশে যোগ দেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনও। প্রকাশ্যে তাঁরা প্রতিবাদ জানান দিল্লি প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

Hyderabad rape-murder: গত সপ্তাহে হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসককে চারজন যুবক ধর্ষণ করে তাঁকে খুন করে পুড়িয়ে দেয়। ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ।

আনন্দ পাটোয়ার্ধনের পুরষ্কার প্রাপ্ত ডকুমেন্টারি ফিল্ম রাম কে নাম Jadavpur University ক্যাম্পাসে "হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে" প্রদর্শন, গত ২০ শে আগস্ট ওই ছবির চিত্রনাট্য তৈরির জন্য আটক করা হয় হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ জন ছাত্রকে।

মমতা জানান প্রেসিডেন্সি (Presidency University ) এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University Of Calcutta) সামনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) এবং আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের (Asutosh Mukherjee) মূর্তি স্থাপন করবে রাজ্য

হার্ভার্ড অথবা অক্সফোর্ডের মতো হতে হবে প্রেসিডেন্সি বা যাদবপুরের মতো এই রাজ্যের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। বললেন মমতা।

প্রথমে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয় পড়ুয়াদের। পরে তা কমিয়ে করা হয় ছ’ মাস। কিন্তু এবার শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে।

আগামী  এক সপ্তাহের মধ্যেই ১৩০ বছরের পুরনো  হস্টেলের একটি অংশে থাকতে পারবেন তাঁরা। পূর্ত দপ্তরের থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া এই খবর জানিয়েছেন।

কোনও  সুসাইট নোট  উদ্ধার  হয়নি। দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।  রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।                

হিন্দু হস্টেল ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস পেয়েই অনশন তুলে নিলেন আন্দোলোন রত পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে লিখিত ভাবে  জানানো হয়েছে আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ের হিন্দু হস্টেলে ছাত্রদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। সায়ন চক্রবর্তি নামে এক  পড়ুয়া জানিয়েছেন লিখিত আশ্বাস মেলায় অনশন উঠেছে। পাশাপাশি অনশন চলাকালীন অসুস্থ হয়ে  পড়া পড়ুয়াদের চিকিৎসার খরচও  দেবে বিশ্ববিদ্যালয়।       

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Presidency University) স্নাতক স্তরে পাঠরত এক দরিদ্র ছাত্রকে সেখানকার হিন্দু হস্টেল (Kolkata) ছেড়ে দেওয়ার জন্যে চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। জনি বিশ্বাস নামে ওই ছাত্র এমনিতে সহায় সম্বলহীন কেননা তাঁর বাবা বহু বছর আগেই দ্বিতীয় বিয়ে করে ছেলে ও স্ত্রীকে ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যান। তারপর তাঁর মা-ও বাংলাদেশে চলে যান। বাংলা দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্র জানিয়েছেন যে তাঁকে যদি এখন ছাত্রাবাস ছেড়ে দিতে হয় তবে হয় তাঁকে ফুটপাতে আশ্রয় নিতে হবে, নয়তো আত্মহত্যা করতে হবে।

এদিকে, চলতি মাসের প্রথমে প্রায় একদিন পথ অবরোধে সামিল হয়েছিলেন পড়ুয়ারা। সেই প্রতিবাদের নিন্দা করে উপাচার্য বলেছিলেন, পথ অবরোধ তুললে আমি আলোচনায় বসতে পারি। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, হিন্দু হস্টেলের জীর্ণ তিনটি ওয়ার্ডের সংস্কারের ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে নেই। এটা পূর্ত দফতরের কাজ। অপরদিকে, কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে চলা লাগাতার আন্দোলনে বিরক্ত উপাচার্য গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজারহাট ক্যাম্পাসেই বসছেন বলে খবর। 

হিন্দু হস্টেলের (Hindu Hostel) এক এবং দু’নম্বর ওয়ার্ড খুললেও এখনও খোলেনি তিন, চার এবং পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড। অবিলম্বে ওই তিনটি ওয়ার্ড সংস্কারে হাত দিতে হবে, এই দাবি-সহ আরও বেশ কয়েকটি দাবিতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনকে ঘেরাও করে রেখেছিলেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। টানা ৬ দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে (Presidency University) নিজের কার্যালয়েই আটকে ছিলেন ডিন অরুণকুমার মাইতি। ফলে বুধবার তাঁর কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত পড়ুয়ারা ঘুমিয়ে পড়ার সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চুপিসাড়ে পালাতে হল তাঁকে। ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টে থেকে একটানা নিজের কার্যালয়ে আটক অবস্থায় ছিলেন তিনি।

সোমবার বেলা ২টো থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা, প্রায় ১৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ (Gherao) ছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Presidency University's Vice Chancellor)। এদিন সকালে পড়ুয়াদের খানিকটা 'বোকা বানিয়ে' পাশের দরজা দিয়ে বেরিয়ে ঘেরাও মুক্ত হন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া (Anuradha Lohia)।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়াকে ঘেরাও করে রেখে তাঁরই কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সেখানকার পড়ুয়ারা, এর ফলে ফের উত্তপ্ত হয়েছে সেখানকার পরিস্থিতি। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Presidency University) ছাত্রাবাসের শিক্ষাকর্মীদের ফিরিয়ে আনতে হবে এবং ক্যাম্পাসে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে হবে, পাশাপাশি ছাত্রাবাসের মেরামতির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে, এই রকম কয়েক দফা দাবি নিয়ে উপাচার্যকে (Anuradha Lohia) ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা।

মঙ্গলবার কলেজ স্ট্রিটে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে শুরু করে চার কিলোমিটার দূরে শ্যামবাজার পর্যন্ত যায় ওই মিছিল। 

শুধুই শিক্ষার্থীরা নন। এদিন প্রতিবাদী সমাবেশে যোগ দেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনও। প্রকাশ্যে তাঁরা প্রতিবাদ জানান দিল্লি প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

Hyderabad rape-murder: গত সপ্তাহে হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসককে চারজন যুবক ধর্ষণ করে তাঁকে খুন করে পুড়িয়ে দেয়। ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ।

আনন্দ পাটোয়ার্ধনের পুরষ্কার প্রাপ্ত ডকুমেন্টারি ফিল্ম রাম কে নাম Jadavpur University ক্যাম্পাসে "হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে" প্রদর্শন, গত ২০ শে আগস্ট ওই ছবির চিত্রনাট্য তৈরির জন্য আটক করা হয় হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ জন ছাত্রকে।

মমতা জানান প্রেসিডেন্সি (Presidency University ) এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University Of Calcutta) সামনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) এবং আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের (Asutosh Mukherjee) মূর্তি স্থাপন করবে রাজ্য

হার্ভার্ড অথবা অক্সফোর্ডের মতো হতে হবে প্রেসিডেন্সি বা যাদবপুরের মতো এই রাজ্যের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। বললেন মমতা।

প্রথমে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয় পড়ুয়াদের। পরে তা কমিয়ে করা হয় ছ’ মাস। কিন্তু এবার শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে।

আগামী  এক সপ্তাহের মধ্যেই ১৩০ বছরের পুরনো  হস্টেলের একটি অংশে থাকতে পারবেন তাঁরা। পূর্ত দপ্তরের থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া এই খবর জানিয়েছেন।

কোনও  সুসাইট নোট  উদ্ধার  হয়নি। দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।  রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।                

হিন্দু হস্টেল ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস পেয়েই অনশন তুলে নিলেন আন্দোলোন রত পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে লিখিত ভাবে  জানানো হয়েছে আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ের হিন্দু হস্টেলে ছাত্রদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। সায়ন চক্রবর্তি নামে এক  পড়ুয়া জানিয়েছেন লিখিত আশ্বাস মেলায় অনশন উঠেছে। পাশাপাশি অনশন চলাকালীন অসুস্থ হয়ে  পড়া পড়ুয়াদের চিকিৎসার খরচও  দেবে বিশ্ববিদ্যালয়।