Weather News

বুধবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে (Heavy rain in Kolkata) জল থৈ থৈ কলকাতা শহর ও শহরতলীর বহু অঞ্চল। লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বহু এলাকায় জল জমে গেছে।

আজ (মঙ্গলবার) থেকেই তুমুল বৃষ্টিতে ভাসতে চলেছে রাজ্য (West Bengal)। আবহাওয়া দফতর তার পূর্বাভাসে বলেছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ার কারণে মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার, এই ৩ দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের (Monsoon 2020 updates) সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার এই নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।

একে করোনা ভাইরাসের দাপটে নাজেহাল রাজ্যের মানুষ, তার উপর আবার আজ (বৃহস্পতিবার) উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতের (Monsoon 2020 update) সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস (West Bengal Weather Forecast) দিল হাওয়া অফিস। তবে শুক্রবার সকালে দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই একটানা বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গে, তার ফলে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের বহু নিচু এলাকা বৃষ্টির জলে ভেসে গেছে। 

Kolkata Weather Update: শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। বৃষ্টির পরিমাণ ১১.৮ মিলিমিটার। বেলা বাড়লেও আকাশ মেঘাচ্ছন্নই রইবে বলে খবর।

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ ১২ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা এরকমই থাকবে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গতকাল যদিও তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায়।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল ডিসেম্বরের শুরুতেই তাপমাত্রা কমবে। কলকাতায় শীত ধীরে ধীরে প্রবেশ করবে ।তবে প্রথম সপ্তাহ থেকে এখন প্রায় শেষ সপ্তাহের দিকে আমরা এগোচ্ছি। গতকাল থেকে কলকাতায় শীতের কাঁপন অনুভব করা যাচ্ছে। গতকাল শহরের তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ২ ডিগ্রি নেমে যায়। গত পরশু যা ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল তা নেমে দাঁড়ায় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। আজ তাপমাত্রা আরও খানিকটা কমে নেমে যায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নীচে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে  আজ রাতের দিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে। গত কয়েক বছর আবহাওয়ার  খামখেয়ালিপনায় শীতের আমেজ সেভাবে অনুভুত হয়নি।

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত আর তাই আগামী দুদিন কলকাতায়(Kolkata Weather Update) বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী  বৃষ্টি হবে মাঝেমাঝেই,  জানাল আবহাওয়া দফতর। আজ সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন।   রাত থেকেই বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। কখনও  বিক্ষিপ্ত   কখনও জোড়ে বৃষ্টি পড়ছে। নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে বঙ্গোপসাগরের ওপর, তার ফলেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং বৃষ্টি চলবে। ভারী বৃষ্টিও হতে পারে মাঝে মাঝেই, জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী দুদিন ভারী বৃষ্টি  সতর্কতা রয়েছে কলকাতায়। শুধু কলকাতা নয় রাজ্যের সমস্ত জেলাতেও বৃষ্টি সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত সপ্তাহেও ভিজেছিল কলকাতা(Kolkata Weather Update) , বৃষ্টি হয়েছিল । কোথাও ছিটেফোঁটা কোথাও আবার সামান্য একটু বেশি। যদিও আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে কালীপুজোর দিন আবহাওয়ার উন্নতি হবে,মেঘ কেটে গিয়ে অবস্থার উন্নতি হবে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে তার ফলেই এই বৃষ্টি এবং এই বৃষ্টি ক্রমেই বাড়াবে ।

এর আগে ১৯৭১ সালে শেষ এমন দেরি করে বর্ষা বিদায় নিয়েছিল রাজ্য থেকে। বর্ষা সেবার বিদায় নিয়েছিল ১ অক্টোবর। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ভারতে এবছর গড় বৃষ্টিপাতের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এবং বিগত ২৫ বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে এবার।

Mumbai Rain: মাত্র এক মাসের ব্যবধান। ফের বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত বাণিজ্যনগরী মুম্বাইয়ের জনজীবন। শুক্রবার রাত থেকে অতি বৃষ্টির(heavy rainfall) জেরে মুম্বাই সহ সংলগ্ন নিচু এলাকায় জল জমেছে। রাস্তা থেকে ট্রেনের লাইনে জল জমেছে। ফলে যাতায়াত ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। শনিবার অনবরত বৃষ্টি হয়ে চলেছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় অতিভারী বৃষ্টির(heavy rainfall)  পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর (IMD)। এরই সঙ্গে সমুদ্র উত্তাল  থাকবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান মেট্রোলজিক্যাল দফতর(IMD)  জানাচ্ছে আবহাওয়া এরকম থাকলে আরব সাগরের বড় বড় ঢেউ হবে। তীব্র জোয়ার আসবে।

সোমবার রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি আরোও খারাপ হয়ে ওঠায় রেড এলার্ট ঘোষণা করে অসম সরকার। রাজ্য সরকার থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, বন্যার জন্য রাজ্যের ৪১৫৭ গুলি গ্রাম ও ৩০ টি জেলা জলে ভরে গেছে। বন্যার ফলে মুখ্যত ধেমাজী, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, সোনিতপুর, উদলগুরী, বকসা, বরপেটা, নালবারী এবং চিরাঙ্গ খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে ইতিমধ্যে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ তে। সোমবার প্রাণ হারিয়েছেন চার জন।

বৃষ্টিতে দুর্ঘটনায় মুম্বই ও পাশের শহর থানেতে দু’টি দুর্ঘটনায় মৃত ষোলো। রেললাইন জলমগ্ন হয়ে পড়ায় শহরতলি ও দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল ব্যাহত।

সারা রাত ধরে প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন মুম্বই। জলে ডুবে গিয়েছে বহু জায়গার রেলপথ। সেই কারণে বহু লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল বা দেরিতে চলছে।

আজ সকাল ৮ টায় ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছে সাইক্লোন ফণী। পুরী শহর ইতিমধ্যেই কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির জেরে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে এই রাজ্যে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার দলগুলিও পৌঁছেছে এই এলাকায়। নৌ বাহিনী ইতিমধ্যেই ওড়িশা পৌঁছেছে। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে উপকূলীয় এলাকা থেকে সরিয় নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি জটিল হতে থাকায় গতকাল রাত ১ টা থেকেই ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১০০ টিরও বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রাজ্যের সব স্কুল-কলেজ ও অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে, সাধারণ মানুষকেও বাড়িতেই থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওড়িশা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খন্ডেও ফণীর জন্য কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশ ও বিহারেও ফণীর প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে। কৃষকদের নিজেদের ফসল নিরাপদ স্থানে রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজ প্রতি ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইবে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে এখানে।

Monsoon in India: যতীন বলেন, “প্রশান্ত মহাসাগর গড় উষ্ণতার তুলনায় বেশিই উষ্ণ হয়ে উঠেছে। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে এল নিনোর ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে বলেই প্রোজেকশন মডেলে দেখা যাচ্ছে, অন্যদিকে জুন থেকে মে মাসের সম্ভাবনা রয়েছে ৬০%।"

এর আগে শুক্রবার ভোরে নাগাপাট্টিনামে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়।বৃষ্টির সঙ্গেই ছিল ঝড়ো হাওয়া। এ পর্যন্ত নাগাপাট্টিনাম, পুদুকোট্টাই,রামানাথপুরাম, ত্রিভুর সহ ছ’টি জেলার 76 হাজার মানুষকে উদ্ধার করে 300টি শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে।

বুধবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে (Heavy rain in Kolkata) জল থৈ থৈ কলকাতা শহর ও শহরতলীর বহু অঞ্চল। লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বহু এলাকায় জল জমে গেছে।

আজ (মঙ্গলবার) থেকেই তুমুল বৃষ্টিতে ভাসতে চলেছে রাজ্য (West Bengal)। আবহাওয়া দফতর তার পূর্বাভাসে বলেছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ার কারণে মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার, এই ৩ দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের (Monsoon 2020 updates) সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার এই নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।

একে করোনা ভাইরাসের দাপটে নাজেহাল রাজ্যের মানুষ, তার উপর আবার আজ (বৃহস্পতিবার) উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতের (Monsoon 2020 update) সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস (West Bengal Weather Forecast) দিল হাওয়া অফিস। তবে শুক্রবার সকালে দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই একটানা বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গে, তার ফলে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের বহু নিচু এলাকা বৃষ্টির জলে ভেসে গেছে। 

Kolkata Weather Update: শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। বৃষ্টির পরিমাণ ১১.৮ মিলিমিটার। বেলা বাড়লেও আকাশ মেঘাচ্ছন্নই রইবে বলে খবর।

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ ১২ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা এরকমই থাকবে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গতকাল যদিও তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায়।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল ডিসেম্বরের শুরুতেই তাপমাত্রা কমবে। কলকাতায় শীত ধীরে ধীরে প্রবেশ করবে ।তবে প্রথম সপ্তাহ থেকে এখন প্রায় শেষ সপ্তাহের দিকে আমরা এগোচ্ছি। গতকাল থেকে কলকাতায় শীতের কাঁপন অনুভব করা যাচ্ছে। গতকাল শহরের তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ২ ডিগ্রি নেমে যায়। গত পরশু যা ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল তা নেমে দাঁড়ায় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। আজ তাপমাত্রা আরও খানিকটা কমে নেমে যায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নীচে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে  আজ রাতের দিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে। গত কয়েক বছর আবহাওয়ার  খামখেয়ালিপনায় শীতের আমেজ সেভাবে অনুভুত হয়নি।

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত আর তাই আগামী দুদিন কলকাতায়(Kolkata Weather Update) বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী  বৃষ্টি হবে মাঝেমাঝেই,  জানাল আবহাওয়া দফতর। আজ সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন।   রাত থেকেই বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। কখনও  বিক্ষিপ্ত   কখনও জোড়ে বৃষ্টি পড়ছে। নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে বঙ্গোপসাগরের ওপর, তার ফলেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং বৃষ্টি চলবে। ভারী বৃষ্টিও হতে পারে মাঝে মাঝেই, জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী দুদিন ভারী বৃষ্টি  সতর্কতা রয়েছে কলকাতায়। শুধু কলকাতা নয় রাজ্যের সমস্ত জেলাতেও বৃষ্টি সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত সপ্তাহেও ভিজেছিল কলকাতা(Kolkata Weather Update) , বৃষ্টি হয়েছিল । কোথাও ছিটেফোঁটা কোথাও আবার সামান্য একটু বেশি। যদিও আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে কালীপুজোর দিন আবহাওয়ার উন্নতি হবে,মেঘ কেটে গিয়ে অবস্থার উন্নতি হবে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে তার ফলেই এই বৃষ্টি এবং এই বৃষ্টি ক্রমেই বাড়াবে ।

এর আগে ১৯৭১ সালে শেষ এমন দেরি করে বর্ষা বিদায় নিয়েছিল রাজ্য থেকে। বর্ষা সেবার বিদায় নিয়েছিল ১ অক্টোবর। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ভারতে এবছর গড় বৃষ্টিপাতের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এবং বিগত ২৫ বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে এবার।

Mumbai Rain: মাত্র এক মাসের ব্যবধান। ফের বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত বাণিজ্যনগরী মুম্বাইয়ের জনজীবন। শুক্রবার রাত থেকে অতি বৃষ্টির(heavy rainfall) জেরে মুম্বাই সহ সংলগ্ন নিচু এলাকায় জল জমেছে। রাস্তা থেকে ট্রেনের লাইনে জল জমেছে। ফলে যাতায়াত ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। শনিবার অনবরত বৃষ্টি হয়ে চলেছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় অতিভারী বৃষ্টির(heavy rainfall)  পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর (IMD)। এরই সঙ্গে সমুদ্র উত্তাল  থাকবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান মেট্রোলজিক্যাল দফতর(IMD)  জানাচ্ছে আবহাওয়া এরকম থাকলে আরব সাগরের বড় বড় ঢেউ হবে। তীব্র জোয়ার আসবে।

সোমবার রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি আরোও খারাপ হয়ে ওঠায় রেড এলার্ট ঘোষণা করে অসম সরকার। রাজ্য সরকার থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, বন্যার জন্য রাজ্যের ৪১৫৭ গুলি গ্রাম ও ৩০ টি জেলা জলে ভরে গেছে। বন্যার ফলে মুখ্যত ধেমাজী, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, সোনিতপুর, উদলগুরী, বকসা, বরপেটা, নালবারী এবং চিরাঙ্গ খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে ইতিমধ্যে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ তে। সোমবার প্রাণ হারিয়েছেন চার জন।

বৃষ্টিতে দুর্ঘটনায় মুম্বই ও পাশের শহর থানেতে দু’টি দুর্ঘটনায় মৃত ষোলো। রেললাইন জলমগ্ন হয়ে পড়ায় শহরতলি ও দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল ব্যাহত।

সারা রাত ধরে প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন মুম্বই। জলে ডুবে গিয়েছে বহু জায়গার রেলপথ। সেই কারণে বহু লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল বা দেরিতে চলছে।

আজ সকাল ৮ টায় ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছে সাইক্লোন ফণী। পুরী শহর ইতিমধ্যেই কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির জেরে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে এই রাজ্যে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার দলগুলিও পৌঁছেছে এই এলাকায়। নৌ বাহিনী ইতিমধ্যেই ওড়িশা পৌঁছেছে। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে উপকূলীয় এলাকা থেকে সরিয় নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি জটিল হতে থাকায় গতকাল রাত ১ টা থেকেই ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১০০ টিরও বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রাজ্যের সব স্কুল-কলেজ ও অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে, সাধারণ মানুষকেও বাড়িতেই থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওড়িশা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খন্ডেও ফণীর জন্য কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশ ও বিহারেও ফণীর প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে। কৃষকদের নিজেদের ফসল নিরাপদ স্থানে রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজ প্রতি ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইবে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে এখানে।

Monsoon in India: যতীন বলেন, “প্রশান্ত মহাসাগর গড় উষ্ণতার তুলনায় বেশিই উষ্ণ হয়ে উঠেছে। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে এল নিনোর ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে বলেই প্রোজেকশন মডেলে দেখা যাচ্ছে, অন্যদিকে জুন থেকে মে মাসের সম্ভাবনা রয়েছে ৬০%।"

এর আগে শুক্রবার ভোরে নাগাপাট্টিনামে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়।বৃষ্টির সঙ্গেই ছিল ঝড়ো হাওয়া। এ পর্যন্ত নাগাপাট্টিনাম, পুদুকোট্টাই,রামানাথপুরাম, ত্রিভুর সহ ছ’টি জেলার 76 হাজার মানুষকে উদ্ধার করে 300টি শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে।