উত্তরপ্রদেশ সরকার

সকলের স্বার্থে আন্তঃরাজ্য চলাচলের জন্যে ভাবুন, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানাকে বলল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এবিষয়ে রাজ্য সরকারগুলোর সিদ্ধান্তের কথা আদালতকে (Supreme Court) জানানোর নির্দেশও দেওয়া হল। পাশাপাশি এবিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার একটি বৈঠক করুক, এই পরামর্শও দিল দেশের শীর্ষ আদালত। 

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মারাত্মক করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ল আরও ৬,৫৩৫ জনের দেহে। দেশব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১.৪৫ লক্ষ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,৪৫,৩৮০, যার মধ্যে ৪,১৬৭ জন মারা গেছেন। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তামিলনাড়ু এবং দিল্লিতে বিপুল সংখ্যক করোনা পজিটিভ রয়েছেন, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা এবং ঝাড়খন্ডের মতো রাজ্যগুলিতেও কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনা বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণার দু'মাস পরে সরকার কর্তৃক তা শিথিল করার পরে ভারতে সংক্রমনের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।

করোনা ভাইরাস লকডাউনের কারণে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে ১,০০টি বাসের অফার দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতেোর। উত্তরপ্রদেশ সরকারের অভিযোগ, বাসের নম্বরের যে তালিকা কংগ্রেস নেত্রীর তরফে দেওয়া হয়েছে, যেগুলি নাকি বেশিরভাগই অটো, দু চাকার গাড়ি বা পণ্যপরিবহনকারী গাড়ির। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে বাসের নম্বর ও চালকদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়।

দেশ জুড়ে যেভাবে করোনাকে (Coronavirus) রুখতে জারি লকডাউনের কারণে হেনস্থা হতে হচ্ছে অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের তা নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিল কংগ্রেস। ওই পরিযায়ীদের ফেরাতে হাজার খানেক বাসের ব্যবস্থা করছে কংগ্রেসই, উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারকে এই প্রস্তাব দেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা (Priyanka Gandhi Vadra)। তাতে সম্মতি দিয়ে প্রাথমিকভাবে কংগ্রেসের এক হাজার বাসকে উত্তরপ্রদেশে ঢোকার অনুমতি দিলেও তার মধ্যে বেশ কিছু শর্ত দিয়ে রেখেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার (Yogi Adityanath)।

করোনা ভাইরাস লকডাউনের (Coronavirus Lockdownm) কারণে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের তাঁদের নিজেদের রাজ্যে ফেরাতে ১২,০০০ বাস দেবে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সূত্রের খবর, যে সমস্ত শ্রমিক তাঁদের বাড়ি ফিরতে চান, রাজ্যগুলির থেকে তাঁদের নামের তালিকা চেয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার (Yogi Adityanath) ।

পরিযায়ী শ্রমিকদের (migrants Labour) জন্য ১,০০০ বাস নামাতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধির (Priyanka Gandhi Vadra) আবেদন মঞ্জুর করল উত্তরপ্রদেশ সরকার। বাসের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়ে কংগ্রেস নেত্রীর দফতরে চিঠি লিখেছে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকার, সেখানে বাসের নম্বর এবং চালকদের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে।

একেই বোধহয় বলে বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো। করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত সন্দেহে আগ্রার একটি কোয়ারান্টাইন সেন্টারে (Agra Quarantine) রাখা হয়েছে বহু মানুষজনকে। উদ্দেশ্য একটাই, যাতে অন্যদের মধ্যে COVID- 19 এর সংক্রমণ না ছড়ায়। কিন্তু বাস্তবে যা দেখা গেল তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। সম্প্রতি দুটি মোবাইল ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে ওই কোয়ারান্টাইন সেন্টারে থাকা মানুষজন (Agra Coronavirus) সেখানকার পিছনের গেট দিয়ে দিব্যি চা-বিস্কুট-জলের বোতল কিনছে। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার

কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী বলেছেন, "আমি শুনলাম উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি। আমি উনাকে অনুরোধ করব না এখনই পথে বাস নামাবেন না। আমার মনে হয় এখন সবার সতর্ক থাকার সময়। এটা সঠিক সময় না। যদি কোনও শ্রমিক সংক্রমিত হয়ে থাকে, তাহলে সেটা উত্তরপ্রদেশের জন্য বড় সমস্যা হপয়ে দাঁড়াবে"

ইসলামি মিশনারি গোষ্ঠা তাবলিগ-ই-জামাতের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকার। দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকার মসজিদে আয়োজিত ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দেওয়ায় গাজিয়াবাদের একটি হাসপাতালে কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে বেশ কিছু তাবলিগ সদস্যদের। তাঁদের (Tablighi Jamaat) মধ্যেই কয়েকজন বৃহস্পতিবার হাসপাতালের কিছু মহিলা কর্মীদের সঙ্গে দুর্বব্যবহার ও অশোভন আচরণ করেন বলে অভিযোগ। ওই অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণ হলে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হবে জাতীয় নিরাপত্তা আইন বা এনএসএ (National Security Act), স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

কঠোর ভাবে জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হবে হামলাকারীদের উপরে। রাজ্যে এই ধরনের বেশ কিছু ঘটনার কথা সামনে আসায় এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার।

দিনরাত এক করে সেবা করছেন তাঁরা, গোটা দেশ যখন ঘরের দরজায় খিল তুলেছে, ঠিক সেই সময় চৌকাঠ পেরিয়ে হাসপাতালে করোনা (COVID-19) আক্রান্তদের চিকিৎসা করছেন তাঁরা। এবার সেই চিকিৎসক ও নার্সিং স্টাফ তথা প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের জন্যে ভাবলো দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ সরকার। মারাত্মক ছোঁয়াচে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে সময় কাটাতে কাটাতে অনেক চিকিৎসক নিজেই ওই রোগের শিকার হচ্ছেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে সতর্কতা হিসাবেই করোনা আক্রান্তদের (Coronavirus) চিকিৎসারত মেডিকেল কর্মীদের আলাদা করে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে সরকার। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি সরকার এবং উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকার, দুই রাজ্যের তরফ থেকেই চিকিৎসাকর্মীদের ফাইভ স্টার হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করছে। 

এক্স জোনের ডিসিপি অঙ্কিত গোয়েল বলেছেন, পুরসভা ওই ৬৪ জন শ্রমিকের তাঁদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে। এদিকে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৯ ও ১৮৮ ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জীবন সংশয় হতে পারে এমন রোগ সম্বন্ধে জেনেও অবজ্ঞা করা এবং সরকারি আইন অমান্যের মতো ধারাগুলো আছে। 

জানা গিয়েছে, লখনউ থেকে একাধিক বাস বিভিন্ন রুটে কানপুর, বালিয়া, গোরখপুর, বারানসী, আজমগড়, ফৈজাবাদ, প্রাতাপগড়, আমেঠি, রায়বরেলি, গোণ্ডা, বাহরাইচের উদ্দেশে যাত্রা করছে। সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক হিতেশ অবস্থি আর লখনউয়ের পুলিশ কমিশনার সুজিত পাণ্ডে, ব্যাক্তিগত ভাবে উপস্থিত থেকে তদারকি করছেন। 

দেশ জুড়ে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের আবহের মধ্যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মোদি সরকার। সেই মতো দেশের সব রাজ্যগুলিতেই আপাতত স্কুলগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এই সময়টাই তো প্রায় সব স্কুলেই ছাত্রছাত্রীদের এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে ওঠার সময়। কিন্তু অনেক স্কুলেই হঠাৎ করে বন্ধ রাখার জেরে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি পরীক্ষা। এই পরিস্থিতিতে অভিনব সিদ্ধান্ত নিল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। রাজ্যের (Uttar Pradesh) সমস্ত স্কুলগুলিতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের পরবর্তী শ্রেণিতে উঠিয়ে দেওয়া হবে (Class Promotion) বিনা পরীক্ষাতেই, নেওয়া হল এই সিদ্ধান্ত। শিক্ষা দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী দীনেশ শর্মা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের পরেই এই বিবেচনা করা হয়েছে।

বিচারপতি ইউইউ ললিত বলেন, ‘‘যারা অন্যায় করেছে তাদের আটক করা হবে। কিন্তু রাষ্ট্র কি তার বেশি কিছু করতে পারে?'' তিনি প্রশ্ন তোলেন রাজ্য সরকার এই ধরনের হোর্ডিং টাঙাতে পারে কিনা তা নিয়ে।

সকলের স্বার্থে আন্তঃরাজ্য চলাচলের জন্যে ভাবুন, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানাকে বলল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এবিষয়ে রাজ্য সরকারগুলোর সিদ্ধান্তের কথা আদালতকে (Supreme Court) জানানোর নির্দেশও দেওয়া হল। পাশাপাশি এবিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার একটি বৈঠক করুক, এই পরামর্শও দিল দেশের শীর্ষ আদালত। 

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মারাত্মক করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ল আরও ৬,৫৩৫ জনের দেহে। দেশব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১.৪৫ লক্ষ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,৪৫,৩৮০, যার মধ্যে ৪,১৬৭ জন মারা গেছেন। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তামিলনাড়ু এবং দিল্লিতে বিপুল সংখ্যক করোনা পজিটিভ রয়েছেন, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা এবং ঝাড়খন্ডের মতো রাজ্যগুলিতেও কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনা বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণার দু'মাস পরে সরকার কর্তৃক তা শিথিল করার পরে ভারতে সংক্রমনের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।

করোনা ভাইরাস লকডাউনের কারণে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে ১,০০টি বাসের অফার দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতেোর। উত্তরপ্রদেশ সরকারের অভিযোগ, বাসের নম্বরের যে তালিকা কংগ্রেস নেত্রীর তরফে দেওয়া হয়েছে, যেগুলি নাকি বেশিরভাগই অটো, দু চাকার গাড়ি বা পণ্যপরিবহনকারী গাড়ির। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে বাসের নম্বর ও চালকদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়।

দেশ জুড়ে যেভাবে করোনাকে (Coronavirus) রুখতে জারি লকডাউনের কারণে হেনস্থা হতে হচ্ছে অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের তা নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিল কংগ্রেস। ওই পরিযায়ীদের ফেরাতে হাজার খানেক বাসের ব্যবস্থা করছে কংগ্রেসই, উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারকে এই প্রস্তাব দেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা (Priyanka Gandhi Vadra)। তাতে সম্মতি দিয়ে প্রাথমিকভাবে কংগ্রেসের এক হাজার বাসকে উত্তরপ্রদেশে ঢোকার অনুমতি দিলেও তার মধ্যে বেশ কিছু শর্ত দিয়ে রেখেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার (Yogi Adityanath)।

করোনা ভাইরাস লকডাউনের (Coronavirus Lockdownm) কারণে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের তাঁদের নিজেদের রাজ্যে ফেরাতে ১২,০০০ বাস দেবে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সূত্রের খবর, যে সমস্ত শ্রমিক তাঁদের বাড়ি ফিরতে চান, রাজ্যগুলির থেকে তাঁদের নামের তালিকা চেয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার (Yogi Adityanath) ।

পরিযায়ী শ্রমিকদের (migrants Labour) জন্য ১,০০০ বাস নামাতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধির (Priyanka Gandhi Vadra) আবেদন মঞ্জুর করল উত্তরপ্রদেশ সরকার। বাসের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়ে কংগ্রেস নেত্রীর দফতরে চিঠি লিখেছে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকার, সেখানে বাসের নম্বর এবং চালকদের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে।

একেই বোধহয় বলে বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো। করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত সন্দেহে আগ্রার একটি কোয়ারান্টাইন সেন্টারে (Agra Quarantine) রাখা হয়েছে বহু মানুষজনকে। উদ্দেশ্য একটাই, যাতে অন্যদের মধ্যে COVID- 19 এর সংক্রমণ না ছড়ায়। কিন্তু বাস্তবে যা দেখা গেল তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। সম্প্রতি দুটি মোবাইল ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে ওই কোয়ারান্টাইন সেন্টারে থাকা মানুষজন (Agra Coronavirus) সেখানকার পিছনের গেট দিয়ে দিব্যি চা-বিস্কুট-জলের বোতল কিনছে। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার

কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী বলেছেন, "আমি শুনলাম উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি। আমি উনাকে অনুরোধ করব না এখনই পথে বাস নামাবেন না। আমার মনে হয় এখন সবার সতর্ক থাকার সময়। এটা সঠিক সময় না। যদি কোনও শ্রমিক সংক্রমিত হয়ে থাকে, তাহলে সেটা উত্তরপ্রদেশের জন্য বড় সমস্যা হপয়ে দাঁড়াবে"

ইসলামি মিশনারি গোষ্ঠা তাবলিগ-ই-জামাতের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকার। দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকার মসজিদে আয়োজিত ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দেওয়ায় গাজিয়াবাদের একটি হাসপাতালে কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে বেশ কিছু তাবলিগ সদস্যদের। তাঁদের (Tablighi Jamaat) মধ্যেই কয়েকজন বৃহস্পতিবার হাসপাতালের কিছু মহিলা কর্মীদের সঙ্গে দুর্বব্যবহার ও অশোভন আচরণ করেন বলে অভিযোগ। ওই অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণ হলে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হবে জাতীয় নিরাপত্তা আইন বা এনএসএ (National Security Act), স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

কঠোর ভাবে জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হবে হামলাকারীদের উপরে। রাজ্যে এই ধরনের বেশ কিছু ঘটনার কথা সামনে আসায় এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার।

দিনরাত এক করে সেবা করছেন তাঁরা, গোটা দেশ যখন ঘরের দরজায় খিল তুলেছে, ঠিক সেই সময় চৌকাঠ পেরিয়ে হাসপাতালে করোনা (COVID-19) আক্রান্তদের চিকিৎসা করছেন তাঁরা। এবার সেই চিকিৎসক ও নার্সিং স্টাফ তথা প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের জন্যে ভাবলো দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ সরকার। মারাত্মক ছোঁয়াচে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে সময় কাটাতে কাটাতে অনেক চিকিৎসক নিজেই ওই রোগের শিকার হচ্ছেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে সতর্কতা হিসাবেই করোনা আক্রান্তদের (Coronavirus) চিকিৎসারত মেডিকেল কর্মীদের আলাদা করে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে সরকার। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি সরকার এবং উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকার, দুই রাজ্যের তরফ থেকেই চিকিৎসাকর্মীদের ফাইভ স্টার হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করছে। 

এক্স জোনের ডিসিপি অঙ্কিত গোয়েল বলেছেন, পুরসভা ওই ৬৪ জন শ্রমিকের তাঁদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে। এদিকে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৯ ও ১৮৮ ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জীবন সংশয় হতে পারে এমন রোগ সম্বন্ধে জেনেও অবজ্ঞা করা এবং সরকারি আইন অমান্যের মতো ধারাগুলো আছে। 

জানা গিয়েছে, লখনউ থেকে একাধিক বাস বিভিন্ন রুটে কানপুর, বালিয়া, গোরখপুর, বারানসী, আজমগড়, ফৈজাবাদ, প্রাতাপগড়, আমেঠি, রায়বরেলি, গোণ্ডা, বাহরাইচের উদ্দেশে যাত্রা করছে। সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক হিতেশ অবস্থি আর লখনউয়ের পুলিশ কমিশনার সুজিত পাণ্ডে, ব্যাক্তিগত ভাবে উপস্থিত থেকে তদারকি করছেন। 

দেশ জুড়ে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের আবহের মধ্যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মোদি সরকার। সেই মতো দেশের সব রাজ্যগুলিতেই আপাতত স্কুলগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এই সময়টাই তো প্রায় সব স্কুলেই ছাত্রছাত্রীদের এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে ওঠার সময়। কিন্তু অনেক স্কুলেই হঠাৎ করে বন্ধ রাখার জেরে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি পরীক্ষা। এই পরিস্থিতিতে অভিনব সিদ্ধান্ত নিল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। রাজ্যের (Uttar Pradesh) সমস্ত স্কুলগুলিতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের পরবর্তী শ্রেণিতে উঠিয়ে দেওয়া হবে (Class Promotion) বিনা পরীক্ষাতেই, নেওয়া হল এই সিদ্ধান্ত। শিক্ষা দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী দীনেশ শর্মা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের পরেই এই বিবেচনা করা হয়েছে।

বিচারপতি ইউইউ ললিত বলেন, ‘‘যারা অন্যায় করেছে তাদের আটক করা হবে। কিন্তু রাষ্ট্র কি তার বেশি কিছু করতে পারে?'' তিনি প্রশ্ন তোলেন রাজ্য সরকার এই ধরনের হোর্ডিং টাঙাতে পারে কিনা তা নিয়ে।