Bengali | Edited by Biswadip Dey | Friday January 10, 2020
আমেরিকা (US) ও ইরানের (Iran) মধ্যে উত্তেজনার আঁচ ক্রমেই বাড়ছে। গত শুক্রবার বাগদাদে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন জেনারেল কাসেম সোলেমানি (Qasem Soleimani) ও আরও কয়েকজন। প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছিল ইরান। তারপরই মঙ্গলবার রাতে ইরাকের দু’টি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে তারা। এরপর বুধবার রাতে আবারও হামলা চালাল তারা। বাগদাদের গ্নিন জোনে দু’টি রকেট নিক্ষেপ করে ইরান। হামলায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। এরই পাশাপাশি ওই দিনই, অর্থাৎ বুধবার তেহরান থেকে আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইউক্রেনের এক যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৭৬ জন যাত্রীর। আমেরিকার চাঞ্চল্যকর দাবি, ইরানই ভ্রান্তিবশত ওই বিমানটিকে ধ্বংস করেছে। নিউজ উইক, সিবিএস ও সিএনন জানিয়েছে, উপগ্রহ, রাডার ও বৈদুতিন তথ্যের ইঙ্গিতও বড় দুর্ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করছে। ইরান নিক্ষিপ্ত ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ওই বিমান দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমার সন্দেহ রয়েছে। হয়তো বিমানটি কোনও স্পর্শকাতর এলাকায় ঢুকে পড়েছিল। তখনই কেউ ভুল করে কিছু করে ফেলেছে। কেউ কেউ বলছেন বটে, প্রযুক্তিগত গণ্ডগোল। কিন্তু আমি তা মনে করছি না। কোনও বড় ভুল হয়েছে।’’ এভাবেই নাম না করেও ইরানকেই বিঁধেছেন ট্রাম্প।
www.ndtv.com/bengali