আরও ৩২৩ জন ভারতীয় নাগরিকদের নিয়ে ফিরল এয়ার ইন্ডিয়া
হাইলাইটস
- এয়ার ইন্ডিয়ার দ্বিতীয় বিমান ফিরিয়ে আনল ৩২৩ জন ভারতীয়কে
- প্রচণ্ড জ্বরের কারণে ফিরতে পারেননি ৪ জন
- এখনও চিনে রয়ে গেছেন ১০০ ভারতীয়
নয়া দিল্লি: শনিবার সকালে coronavirus কবলিত চিনের Wuhan থেকে ৩২৪ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে এনেছিল Air India-র বিশেষ বিমান। এরপরেই সংস্থার মুখপাত্র ধনঞ্জয় কুমার জানিয়েছিলেন, এয়ার ইন্ডিয়ার দ্বিতীয় বিশেষ বিমান শনিবার দুপুরে নয়াদিল্লি থেকে রওনা হবে Wuhan-এ। আটকে পড়া বাকি ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধারের উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে আরও ৩২৩ জন ভারতীয় নাগরিককে নিয়ে সেই বিমান দেশের মাটি ছুঁল রবিবার। ঘড়িতে তখন সকাল ৯.৪০ মিনিট। প্রায় মহামারির আকার নেওয়ায় ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে সতর্কতা জারি করেছে WHO। চিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজারেরও বেশি। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩০০ জনের। কেরলে একাধিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।
সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া, প্রসংশায় পঞ্চমুখ Harbhajan
রবিবার ভোর ৩.১০ মিনিটে Wuhan-এর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সংস্থার বিশেষ বিমান। ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে ওই বিমান করোনা ভাইরাস কবলিত শহর থেকে ফিরিয়ে আনে সাত মালদ্বীপের বাসিন্দাকেও। তার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান দ্বীপপুঞ্জবাসী। প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে Boeing 747 ৩২৪ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করে আনে। তাঁদের মধ্যে ২১১ জন পড়ুয়া, তিন জন শিশু। সেই খবর জানার পরেই Air India-র প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন ভারতীয় স্পিনার হরভজন সিং।
চিনা সরকার এবং ভারতীয় বিমান সংস্থার ভূয়সী প্রশংসা করে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি বলেন, "এই কৃতিত্বের জন্য প্রশংসা প্রাপ্য দুই অফিসার দীপক পদ্মকুমার এবং এম বালাকৃষ্ণনের। চিনা প্রশাসনের সহায়তায় তাঁরা যেভাবে ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার করে জনসেবার উদাহরণ তৈরি করলেন, দেশ তা মনে রাখবে আজীবন।" তিনি আরও জানান, প্রচণ্ড জ্বরের কারণে চার ভারতীয়কে এই বিমানে আনা সম্ভব হয়নি। একই কারণে শনিবার, ছয় ভারতীয় উঠতে পারেননি প্রথম বিমানে।
মিশ্রি বলেন, এখনও ১০০ ভারতীয় রয়ে গেছেন উওহানে। তাঁদেরও ফিরিয়ে নিয়ে আসার বন্দোবস্ত করা হবে। নিজেদের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি নিয়ে বিমান চালক, কেবিন স্ক্রুদের এই মানবিক চেহারা আজীবন দেশবাসী স্মরণ করবে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে। প্রথণ বিমান অবতরণের পরেই ৩২৪ যাত্রীর মধ্যে ৯৯ জনকে চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের জন্য বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের (আইটিবিপি) ছাওলা ক্যাম্পে।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে দেশে ফিরলেন চিনে আটক ভারতীয়রা
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরে চিনের এই শহরে প্রথম দেখা দেয় করোনা ভাইরাস। কয়েক মাসের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা শহরে। সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বে। প্রায় মহামারির আকার ধারণ করা এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই সেই শহরে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করেছে চিনা প্রশাসন। শহর থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভিনেদেশের বাসিন্দাদের। ভাইরাস চিনের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ সাতটি এশিয় দেশে ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই মহামারী রোধে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে।