পুলিশ কর্মী বীজেন্দ্র কুমারের মনে হচ্ছে তিনি যেন দ্বিতীয় জীবন পেলেন।
ফিরোজাবাদ (উত্তরপ্রদেশ): একেই বলে ‘রাখে হরি মারে কে'। শনিবার নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে (Citizenship Protest) আন্দোলনের সময় উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ফিরোজাবাদের এক কনস্টেবলকে ছুঁতে গিয়েও ব্যর্থ হল বুলেট। অথচ বুলেটপ্রুফকেও ফুটো করে দিয়েছিল তা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই কনস্টেবলের পার্সে এসে আটকে যায় বুলেটটি (Wallet Stops Bullet)। এমন আশ্চর্য পরিত্রাণের পর পুলিশ কর্মী বীজেন্দ্র কুমারের মনে হচ্ছে তিনি যেন দ্বিতীয় জীবন পেলেন। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘আমি নলবন্দ অঞ্চলে ডিউটিতে ছিলাম। তখনই কয়েকজন প্রতিবাদী আমাদের উদ্দেশে গুলি চালায়। বুলেটটি আমার পোশাক ভেদ করে আটকে যায় আমার ওয়ালেটে। আমার জ্যাকেটের পকেটে রাখা ছিল ওয়ালেটটি। সেখানে ছিল ৪টি এটিএম কার্ড ও শিব, সাইবাবার কিছু ছবি। মনে হচ্ছে জ্বিতীয় জীবন পেলাম।''
"পুলিশ গুলি চালায়নি" দাবি নস্যাৎ করল ভিডিও! হাতে রিভলভার নিয়ে গুলি চালাচ্ছে কানপুরের পুলিশ
পুলিশের দাবি, ওই অঞ্চলের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘‘এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের পুলিশ জনসেবায় দায়বদ্ধ। মানুষকে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রদান আমাদের প্রাথমিক কর্তব্য। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।''
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ, গাজিয়াবাদে গ্রেফতার ৬৫ জন
এখনও পর্যন্ত নতুন নাগরিক আইনের প্রতিবাদে পনেরো জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২৬৩ জন পুলিশ কর্মী। তাঁদের মধ্যে ৫৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার ইনস্পেকটর জেনারেল প্রবীণ কুমার জানিয়েছেন ৭০৫ জন কে ওই সহিংস আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। সতর্কতামূল গ্রেফতারির পর ৪,৫০০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বীজেন্দ্র কুমারের দাবি, ওই হিংসায় অনেকেরই কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। প্রতিবাদের স্থল থেকে দেশি পিস্তলের ৪০৫টি বুলেটের খোল পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় পুলিশের সঙ্গে প্রতিবাদীদের সংঘর্ষ বাঁধে।