This Article is From Jun 02, 2018

পুরুলিয়াতে আবার একজনের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গেল, বিজেপি জানাল মৃত ব্যক্তি তাদের কর্মী

পুরুলিয়াতে এক তরুণ বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ গাছ থেকে উদ্ধার করার দিন কয়েকের মধ্যেই এক 30 বছর বয়সী লোকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হল পুরুলিয়ারই দাবহা গ্রাম থেকে।

পুরুলিয়াতে আবার একজনের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গেল, বিজেপি জানাল মৃত ব্যক্তি তাদের কর্মী

দুলাল কর্মকারের দেহ নিতে পুলিশকে বাধা বিজেপি কর্মীদের

পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ: পুরুলিয়াতে এক তরুণ বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ গাছ থেকে উদ্ধার করার দিন কয়েকের মধ্যেই আর এক 30 বছর বয়সী লোকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হল পুরুলিয়ারই দাবহা গ্রাম থেকে। এইবার গাছের বদলে কেবল হাই টেনশন ইলেকট্রিক টাওয়ার। বিজেপি জানায়, মৃত দুলাল কর্মকার ছিলেন তাদের একজন পার্টিকর্মী। যদিও, বিজেপির এই দাবি ব্যক্তির মা-সহ স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস  নেতৃত্ব সকলেই অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি এবং তাঁর বাড়ির সকলেই তৃণমূলের সমর্থক। দুলালের মা আত্মহত্যার দাবিও নস্যাৎ করে দিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিআইডিকে এই ঘটনার তদন্ত করে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন।

বিজেপি কর্মীর খুন: প্রতিবাদে কলকাতা ও দিল্লিতে ধরনা

গতকাল রাত 8'টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন দুলাল। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিজের মোটরবাইকে চড়ে বেরিয়েছিলেন তিনি। বহুক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোক তাঁর খোঁজে বেরোয়।

তারপর তারা পুলিশকে জানায় যে, তাঁর বাইকটি মাঠে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। ভোর 5:45 নাগাদ তাঁর দেহটি হাই টেনশন ইলেকট্রিক পাওয়ারের খুঁটি থেকে ঝুলে থাকতে দেখা যায়। খবর ছড়িয়ে যাওয়ার পরে তাঁর পরিবারের লোক, প্রতিবেশী, বিজেপি কর্মীরা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যায়।

বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুলাল কর্মকার তাদের দলের হয়ে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়েও কাজ করেছেন। অভিযোগ, দলীয় সমর্থকরা পুলিশকে তাঁর দেহ নিয়ে যেতে দেননি।

পুলিশ এবং ডিএসপি অতুল চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি আটকে রাখে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। তারপর সেই গাড়িগুলোতে ভাংচুর চালানো হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বলরামপুর-বাঘমুণ্ডি রোড অবরোধ করেছে বিজেপি সমর্থকরা।

“আমরা ওকে কাল রাত 9’টা থেকেই তন্নতন্ন করে খুঁজতে আরম্ভ করি। একবার ফোনও করেছিলাম। কিন্তু, ও ফোনটা ধরেই কেটে দেয় কলটা”। জানিয়েছে দুলাল কর্মকারের এক ভাই রূপচাঁদ কর্মকার।

দুলাল যে বিজেপি কর্মী ছিল, তা পুনর্বার উল্লেখ করে রাহুল সিনহা বলেন, বাংলায় এখন জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। এবং একমাত্র সিবিআই তদন্ত করলেই এর কিছু সুরাহা হতে পারে।

তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও’ব্রায়ানও একটি টুইট করে এই ঘটনার জোরালো তদন্তের দাবি জানান। “এই ঘৃণ্য ঘটনার কঠোরতম ভাষায় নিন্দা করছি আমরা। সবক’টা দিকই খতিয়ে দেখতে হবে। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই। ঝাড়খণ্ড সীমান্তের এই ঘটনায় ভূমিকা কী? এই ঘটনায় বিজেপি, মাওবাদী এবং বজরং দল ঠিক কতখানি জড়িত, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্যটি সামনে আসুক”, বলেছেন তিনি।

 
 
.