தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Apr 07, 2020

চিনে দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ! বিদেশিদের থেকে ছড়াচ্ছে কোভিড-১৯ মহামারী

COVID-19: এনএইচসি জানিয়েছে যে, নতুন অ্যাসিম্পটোমেটিক কোভিড-১৯-এর ১০৪৭ টি ঘটনা এখনও চিকিৎসা পর্যবেক্ষণে রয়েছে। অ্যাসিম্পটোমেটিক করোনাভাইরাস কেসগুলি হ'ল যাদের ভাইরাস পজিটিভ ফলাফল বেরিয়েছে কিন্তু শরীরে কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।

Advertisement
ওয়ার্ল্ড Edited by

বর্তমানে চিন বিদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে এবং কেবল বিদেশে থাকা চিনের মানুষদের দেশে ফিরতে অনুমতি দিচ্ছে

Highlights

  • রবিবার অবধি ৯৫১ টি বাইরে থেকে আসা সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে
  • বর্তমানে চিন বিদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে
  • কেবল বিদেশে থাকা চিনের মানুষদের দেশে ফিরতে অনুমতি দিচ্ছে চিন।
বেইজিং :

সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও কড়া করল চিন। কারণ, বাইরে থেকে এসে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর সংখ্যা আচমকাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫১ এবং অ্যাসিম্পটোম্যাটিক ঘটনাও বাড়ছে দ্রুত। কঠোর নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসা চিনা নাগরিকদের মধ্যে থেকে সংক্রমণ ছড়ানোয় দ্বিতীয় ধাপে চিনে COVID-19 সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়েছে। বেইজিংয়ের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক সতর্ক করে জানিয়েছেন যে চিনের রাজধানী বেইজিং সম্ভবত দীর্ঘমেয়াদী করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণে থাকবে। জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের (NHC) এক মুখপাত্র এমআই ফেং সোমবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রবিবার অবধি ৯৫১ টি বাইরে থেকে আসা সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে, যেহেতু চিন বর্তমানে বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া চিনা নাগরিকদের এদেশে ফিরিয়ে এনেছে। এমআই বলেন, চিনে বিদেশি সংক্রমণের ঘটনা বাড়ছে, বিশেষত প্রতিবেশী দেশগুলির থেকে।

সোমবার রাষ্ট্রীয় সিংহুয়া সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার চিন ও রাশিয়ার সীমান্তবর্তী বন্দর নগরী সুইফেনহে, যার জনসংখ্যা ৭০,০০০, সেখানে ২০ টি বিদেশি সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। বর্তমানে চিন বিদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে এবং কেবল বিদেশে থাকা চিনের মানুষদের দেশে ফিরতে অনুমতি দিচ্ছে।

চিনে নতুন করে ৩৯ টি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে, যার মধ্যে ৩৮ টিই বাইরে থেকে আসা। অ্যাসিম্পটোমেটিক নানা সংক্রমণের নজির দ্বিতীয় দফায় COVID-19 সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। এনএইচসি জানিয়েছে, শিল্পপ্রধান অঞ্চল গুয়াংডং প্রদেশ থেকে একটি নতুন দেশীয় সংক্রমণ সামনে এসেছে।

Advertisement

রবিবার মূল ভূখণ্ডে ৭৮ জন নতুন আক্রান্তের ঘটনার রিপোর্ট আসে, যার মধ্যে ৪০ টিই বাইরে থেকে আসা। এনএইচসি জানিয়েছে যে, নতুন অ্যাসিম্পটোমেটিক কোভিড-১৯-এর ১০৪৭ টি ঘটনা এখনও চিকিৎসা পর্যবেক্ষণে রয়েছে। অ্যাসিম্পটোমেটিক করোনাভাইরাস কেসগুলি হ'ল যাদের ভাইরাস পজিটিভ ফলাফল বেরিয়েছে কিন্তু শরীরে কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।

রবিবার করোনাভাইরাসের কেন্দ্রস্থল হুবেই প্রদেশে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩,৩৩১ জন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

এনএইচসি জানিয়েছে, মূল ভূখণ্ডে সার্বিকভাবে নিশ্চিত হওয়া আক্রান্তের সংখ্যা রবিবার দাঁড়িয়েছে ৮১,৭০৮-এ, যার মধ্যে এখনও ১,২৯৯ জন রোগীর চিকিত্সা চলছে। ৭৭,০৭৮ জন রোগী সুস্থ হওয়ার পরে অব্যাহতি পেয়েছেন এবং ৩,৩৩১ জন এই রোগে মারা গেছেন।

রবিবার হংকংয়ে চারটি মৃতু সহ ৮৯০ জনের সংক্রমণের ঘটনা, ম্যাকাওতে ৪৪ জন এবং তাইওয়ানে ৩৬৩ টি সংক্রমণ সহ পাঁচটি মৃত্যুর খবর মিলেছে।

Advertisement

অন্যদিকে, এখানকার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক সতর্ক করেছেন যে বেইজিংয়ে করোনাভাইরাস মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এক দীর্ঘমেয়াদী কাজ। কোভিড-১৯ মহামারীর বিশ্বব্যাপী বিস্তার ত্বরান্বিত হওয়ায় বেইজিং এখনও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পৌর সরকারের মুখপাত্র সু হিজিয়ান বলেন, আন্তর্জাতিক বিনিময়ের ক্ষেত্র এই শহর, এখানে কোনও যোগাযোগ বন্ধ করার সুযোগ নেই। অল্প সময়ের মধ্যে শহরের প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের কাজ বন্ধের প্রশ্নই নেই।

তিনি আরও জানান, আমদানি হওয়া ঘটনা এবং এখানকার মানুষের মধ্যে রোগের প্রত্যাবর্তন ঘটলে সুরক্ষার সামগ্রিক কৌশল অপরিবর্তিত থাকবে।

Advertisement