Supreme Court: জম্মু ও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে একটি যুগান্তকারী রায় দিল সর্বোচ্চ আদালত
হাইলাইটস
- ১৪৪ ধারা বারবার ব্যবহার করে আসলে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে, বলে আদালত
- এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্যে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
- ৩৭০ ধারা রদের পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে ১৪৪ ধারা জারি করে সরকার
নয়া দিল্লি: যেভাবে মোদি সরকার লাগাতার জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা প্রয়োগ করছে তা আসলে "ক্ষমতার অপব্যবহার" এর সমান, এভাবেই শুক্রবার কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি আজকাল বিভিন্ন জায়গার বিক্ষোভ প্রতিরোধেও যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকার এই আইনটি (Section 144) প্রয়োগ করছে তা নিয়েও রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court)। জম্মু ও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে করা একটি মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। "যে কোনও গণতান্ত্রিক অধিকারের বৈধ অভিব্যক্তি বা অভিযোগের বিরোধিতা" লঙ্ঘন আটকাতে যেভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সেই বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্যে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সব বিধিনিষেধ পুনর্বিবেচনা করার কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট।
ইন্টারনেট পরিষেবা সহ জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্ত নিষেধাজ্ঞার নির্দেশকে পুনর্বিবেচনার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
"১৪৪ ধারাকে কোনও গণতান্ত্রিক অধিকারের বৈধ মতামত বা অভিযোগ রোধ করার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। সংবিধান সবসময় বিভিন্ন ধরণের দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশকে স্বাগত জানিয়েছে ... কিন্তু সহিংসতা বা জননিরাপত্তার ক্ষেত্রে আশঙ্কা এড়াতে কোনওভাবেই দিনের পর দিন ১৪৪ ধারা জারি রাখাকে মেনে নেওয়া যায় না", শুক্রবার সকালে এই কথা জানায় শীর্ষ আদালত।
"লাগাতার ১৪৪ ধারা জারি করে রাখা আসলে ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছু নয়", এ কথা বলে আদালত।
বিচারপতি এনভি রমনা, আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিআর গাওয়াই সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ ইন্টারনেটের অধিকারকেও বাকস্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতার অংশ হিসাবে উল্লেখ করে অনির্দিষ্টকালের জন্যে জম্মু ও কাশ্মীরের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা নিয়েও সরকারের সমালোচনা করেছে।
বিদেশি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ, পিডিপি থেকে বহিষ্কৃত আট নেতা
যেভাবে বারবার সরকার ১৪৪ ধারা প্রয়োগ করেছে তা নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রশাসনকে ১৪৪ ধারা এবং অন্যান্য বিধিনিষেধের ব্যবহার সংক্রান্ত সমস্ত আদেশের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশও দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ডিভিশন বেঞ্চ এও বলে যে, “মতপার্থক্যকে দমন করার অস্ত্র হিসেবে এটাকে ব্যবহার করা যায় না।”
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদের পরেই সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা' তুলে নিয়ে তাকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। এরপর থেকেই সেখানে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় যে কোনও বড় জমায়েতেও। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের পদক্ষেপের ফলে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।